published : ২৪ জুন ২০১৩
১৯৯৬ সালে গবেষণা প্রকল্প হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন পিএইচডি কোর্সের ছাত্র ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন এর কাজ শুরু করেন। তাদের তত্ত্ব ছিল তখনকার কৌশলগুলোর চেয়ে নতুন কৌশলে কোনো একটা সার্চ ইঞ্জিন যদি বানানো হয়, যেটি ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে যদি ফলাফল বের করা যায় তাহলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। ১৯৯৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমানে Google বিজ্ঞাপন জগতে নিজেদের অবস্থান করেছে সুদৃঢ়। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি কিনে এবং অংশীদারিত্ব নিয়ে সেবাকে আরো সমৃদ্ধ করছে। সার্চের পাশাপাশি ই-মেইল, ভিডিও শেয়ারিং, সোশাল নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি বিষয়ে গুগলের সেবা রয়েছে। বর্তমানে Google এর সবচেয়ে বড় দুটি আবিষ্কার হচ্ছে Google glass এবং Google driver less car।
Google glass দেখতে সাধারণ চশমার মত। smart phone এর সকল সুবিধা রয়েছে Google glass এ। এর ডান দিকে যুক্ত করা হয়েছে কম্পিউটার চিপ। এতে রয়েছে এ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম যা ডান চোখে সেট করা। এর দ্বারা গুগল ম্যাপ, ভিডিও চ্যাট এবং ভয়েস কমান্ড ফিচার ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও রয়েছে ক্যামেরা যার দ্বারা ছবি তুলতে পারবেন শুধুমাত্র একটি মৌখিক আদেশ দিয়ে। আরো রয়েছে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই।
গুগল গ্লাস বিভিন্ন রঙের পাওয়া যাবে। গুগল গ্লাস এর “এক্সপ্লোরার” এডিশনে থাকবে সানগ্লাস এর ছোঁয়া। তবে য়ারা চশমা পরেন তারা ইচ্ছামত লেন্স লাগাতে পারবেন। ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে গুগল গ্লাস চালাতে হয়। কিন্তু সে যদি আপনার সব কথা শোনে তাহলে তো সমস্যা! তাই কোন কমান্ড দেওয়ার আগে ok glass বলতে হয়।
Google glass সম্পর্কে বোঝাতে এ ভিডিওটি দেখানো হয়: http://www.google.com/glass/start/how-it-feels/
'চালকবিহীন গাড়ি' কল্পবিজ্ঞানের বস্তু বলে মনে হলেও, বাস্তবে এর কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। চলছে পরীক্ষামূলক ব্যবহার। আর এই প্রজেক্ট 'গুগল কার' নিয়ে মাঠে নেমেছে গুগল। সহযোগিতায় রয়েছে টয়োটা। গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বোতাম টিপে গন্তব্য ঠিক করে দিলে এই গাড়িটিই পৌঁছে দেবে গন্তব্যে। কীভাবে? সেটাই তো এই গাড়ির অভিনবত্ব। গাড়ির ওপরে লাগানো থাকে একটি ক্যামেরা-সেন্সর। ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ৬৪ বিম লেসার নজরদারি চালাবে। সামনের গাড়িটি কত স্পিডে চলছে, রাস্তায় হঠাৎ কুকুর চলে এলো কিনা, কোথায় বাঁক রয়েছে এ সবই গাড়ির যন্ত্রমস্তিষ্কে থ্রিডি ইমেজ হিসেবে স্টোর হতে থাকবে। গাড়ির চাকাতেও থাকবে হুইল মোশন সেন্সর। আর থাকবে জিপিএস। এই সব ক'টি মিলিয়ে চলবে গুগল কার। গাড়ির মেমোরিতে থাকবে ট্রাফিক লাইটের কোনটার মানে কী, কোন রোড সাইনে কী করা উচিত, সে সব। গুগলের এই গাড়ির লাইসেন্স প্লেট লাল রঙের। এর কারণ হচ্ছে, গাড়িটিকে যেন আলাদাভাবে শনাক্ত করা যায়।
মার্কিন মূলুকে নেভাডা এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় ড্রাইভারলেস কারের জন্য প্রয়োজনীয় পারমিট দেওয়া হয়েছে। সেখানে পরীক্ষামূলক ড্রাইভিংও চলছে অবিরত। নেভাদার মোটর ভেহিক্যালস বিভাগের পরিচালক ব্রস ব্রেসলো মনে করেন, চালকবিহীন গাড়ি হচ্ছে ভবিষ্যতের গাড়ি। রাস্তায় চালকবিহীন গাড়ি চলাচলের অনুমতি প্রদান করতে গত মার্চ মাসে আইন পরিবর্তন করে নেভাদা রাজ্য। পরীক্ষায় সাফল্য এলেও নিরাপত্তা উদ্বেগটা পুরোপুরি যাচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে বিষয়বস্তু বোঝাতে এ ভিডিওটি দেখানো হয়: http://www.youtube.com/watch?v=J17Qgc4a8xY