published : ২১ জুলাই ২০১৩
ক্লাউড কম্পিউটিং–শুনতেই কেমন যেন লাগে। ক্লাউড এর অর্থ হচ্ছে মেঘ আর কম্পিউটিং মানে যোগ-বিয়োগ। তাহলে কি মেঘের সাথে যোগ-বিয়োগ? কম্পিউটারের সাথে মেঘের আবার সম্পর্ক কী? আমাদের মাথার উপরে সর্বত্র যেভাবে মেঘ ছড়িয়ে আছে, ইন্টারনেটও ঠিক তেমনিভাবে সর্বত্র জালের মত ছড়িয়ে আছে। ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন খরচে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার উপায় বের করতে গিয়েই ক্লাউড কম্পিউটিং-এর জন্ম। নেটওয়ার্কে যুক্ত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে থাকা আরেকটি কম্পিউটারের ক্ষমতাকে ভাগাভাগি করে ব্যবহারের প্রযুক্তির নাম ক্লাউড কম্পিউটিং।
ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থায় অনলাইনের একটি নির্দিষ্ট স্থানে ব্যবহারকারীরা তাদের Application সফটওয়্যারসহ যেকোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারেন এবং সেই স্থানেই তার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলোও সংরক্ষণ করতে পারেন। এখন ওই ব্যবহারকারীরা যদি নিজের কম্পিউটারে না বসে অন্য কোনো কম্পিউটারে বসেন তাহলেও ক্লাউডে লগ ইন করে ঐ Application সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আসলে জেনে হোক বা না জেনে হোক অনেক আগে থেকেই আমরা ক্লাউড ব্যবহার করছি।
যেমন আমরা যখন ইয়াহু বা জিমেইল বা হটমেইল ব্যবহার করি, আমাদের কিন্তু আলাদা কোনো ইমেইল প্রোগ্রামের দরকার হয় না। দরকার শুধুমাত্র ইন্টারনেট। ইন্টারনেট আর ইমেইল একাউন্ট থাকলেই আমরা যেকোনো জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবহার-উপযোগী যেকোনো ডিভাইস থেকে ইমেইল ব্যবহার করতে পারি। আমাদের ভাবতে হয় না কোথায় আমাদের ইমেলগুলি সংরক্ষণ করা হচ্ছে কিংবা কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ক্লাউড কম্পিউটিং-ই হবে আগামী তথ্য যুগের প্রধান নিয়ন্ত্রক। আর এজন্যই সব বড় বড় কোম্পানি যেমন মাইক্রোসফট, গুগল, ইয়াহু, আমাজন, ভিএমওয়ার সবাই তাদের বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসছে ক্লাউড কম্পিউটিং-এ।
ক্লাউড কম্পিউটিং এ আছে নানা সুবিধাজনক দিক। এর মাধ্যমে কম্পিউটিংয়ে গতি সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা নিজের কম্পিউটারটি যেমন ব্যবহার করেন সেভাবে অন্য কোনো কম্পিউটারে লগ ইন করে নিজের কম্পিউটারের ইন্টারফেসটিই পাবেন। এতে সহজেই চাহিদা মত সফটওয়্যার, রিসোর্স ও তথ্যগুলো শেয়ার বা বিনিময় করা যাবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর কোনো অ্যাপ্লিকেশন চালুর সময় অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে । আর তাছাড়া ক্লাউড কম্পিউটিং নিঃসন্দেহে একটি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি। এতে ব্যবহারকারীরা তার ড্রাইভ এর পরিবর্তে ডাটা সেন্টারের রক্ষিত ডাটা ব্যবহার করতে পারছে।
বর্তমানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের Software গুলোর ক্লাউড র্ভাসন তৈরি করছে।