খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : অভিভাবক ও শিক্ষক হিসেবে আপনার করণীয় কী?

করোনাভাইরাসের কারণে ১০ মাসেরও বেশি সময়কাল বন্ধ থাকার পর দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার কথা চিন্তা করছেন কর্তৃপক্ষ।  

নতুন এই শুরুর সাথে অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা কীভাবে খাপ খাওয়াবেন সে পরামর্শ নিয়েই এই গ্রন্থনা-

প্রথমেই প্রয়োজন মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি

স্কুল খুলবে এটাই স্বাভাবিক-

স্কুল খোলা থাকবে, বাচ্চারা স্কুলে যাবে - এটাই তো স্বাভাবিক (normal)। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন স্কুল বন্ধ থাকা কোন অবস্থাতেই স্বাভাবিক (normal) হতে পারে না। এটা অস্বাভাবিক (abnormal)। বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার মাধ্যমে অস্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকের আচরণে ফিরে আসছে।

স্কুল/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সংবাদ এ সময়ের সবচেয়ে বড় আনন্দের সংবাদ-

এবং এটাকে আনন্দ সংবাদ হিসাবেই গ্রহণ করতে হবে। সন্তানদের সামনে সেভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এ বিষয়ে যে-কোনো ধরনের নেতিবাচক আলোচনা সচেতনভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।

ভয়ের কিছু নেই-

সারা বিশ্বে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে ধারাবাহিকভাবেই যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা হলো- ১৮ বছরের কম বয়সীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে কম (৮.৫%)! ফ্যাটালিটি বা মারাত্মক হওয়ার হারও খুব সামান্য!

আর আমাদের শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বেশি! বাঙালির ৮ বছরের বালকের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ইউরোপ-আমেরিকার ২৫ বছরের যুবকেরও সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই। শীতের দেশ হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই গরম পানিতে গোসল এর একটা কারণ। 

যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে খুলে দেয়া দরকার...
প্রয়োজন ধৈর্য ও মমতা-

দীর্ঘদিনের অনভ্যাসের ও ভুল জীবনাচারের ফলে কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক অনীহা বা ভয় কাজ করতে পারে।

আবার স্কুলে গিয়েও কারও হয়তো মানিয়ে নিতে বা মনোযোগ দিতে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায়িত্ব একটু বেশি। বাচ্চাকে সময় দিতে হবে। মনোযোগ ও মমতা দিয়ে বোঝাতে হবে। উৎসাহ দিতে হবে।

কোনো কারণে তারা হতাশ হয়ে পড়লেও আপনাকে ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখতে হবে। এসময় বিরক্তি, চাপাচাপি বা রাগারাগি পরিস্থিতি জটিল করতে তুলতে পারে। 

সন্তানের সাথে করা ১০ ভুল

প্রযুক্তি আসক্তি থেকে কীভাবে বের করে আনবেন

একদিকে অনলাইন ক্লাস অন্যদিকে লকডাউনে দিনের পর দিন ঘরবন্দি জীবনে সঙ্গদান- এই দুই কারণে বহু শিশু-কিশোরের মধ্যে এখন আশঙ্কাজনক হারে দেখা যাচ্ছে ডিভাইজ-আসক্তি।

কিন্তু যতদিন শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু না হচ্ছে ততদিন এর বিকল্পই বা কী? বাস্তব প্রয়োজনে সন্তানের হাতে স্মার্ট ডিভাইজ যদি দিতেই হয় তো রাখতে হবে নজরদারিও

আর এ-জন্যে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কিছু আইটি টিপসের কথা

প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করুন-

গুগলে একটি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম আছে যা ব্যবহার করে শিশু কী দেখছে তার উপর নজরদারি করা সম্ভব।

নতুন ডিভাইজ চালু করার সময় একটি ইমেইল একাউন্ট দরকার হয়। সন্তানকে যে ডিভাইজটি দিচ্ছেন তা চালু করার সময় যে একাউন্টটি ব্যবহার করবেন সেটাকে আপনি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল একাউন্ট হিসেবে চালু করতে পারেন।

কীভাবে?

জিমেইল খোলার সময় শিশুর জন্ম তারিখটি সংযুক্ত করার পর সেটি যদি ১৩ বছরের নিচে হয় তাহলে গুগল আপনা-আপনিই বলবে যে, ওই অ্যাকাউন্টটি প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের অধীনে হবে। আপনি করতে চান কিনা। সেক্ষেত্রে একজন অভিভাবকের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট চাইবে। তখন আপনার একাউন্টটি এখানে ব্যবহার করুন।

এরপর থেকে এই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে যখন ডিভাইসের অ্যাকাউন্ট লগ-ইন করা হবে তখন সে এটি দিয়ে কী কী খুঁজলো, কী কী অ্যাপ ইন্সটল করলো, ইউটিউব-ফেসবুকে কী দেখলো-সবকিছু তার অভিভাবকের ই-মেইল অ্যাড্রেস থেকে দেখা যাবে।

শুধু ইমেইলই না, আজকালকার স্মার্টফোন, ল্যাপটপেও আপনি দিতে পারেন এই প্যারেন্টাল কন্ট্রোল। বয়স বেঁধে দিতে পারেন ফেসবুক, ইউটিউব এবং ব্রাউজারে। ফলে সে ইউটিউব-ফেসবুকে যাবে ঠিকই। কিন্তু ক্ষতিকর বা অযাচিত কোনো কনটেন্ট দেখতে পাবে না।     

ব্যবহার করুন সিকিউরিটি অ্যাপস-

স্মার্টফোন ল্যাপটপ পার্সোনাল কম্পিউটার- অর্থাৎ যে ডিভাইজ আপনার সন্তান ব্যবহার করছে সেটাতে ব্যবহার করতে পারেন সেফ ব্রাউজার-প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপস

এতে সে কোনো ধরণের অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট দেখতে পারবে না।

সিকিউরিটি বিষয়ক আরো অ্যাপস আছে যেগুলো ইন্সটল করে রাখলে অন্যান্য অ্যাপসেও যাতে অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট না আসে সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এ-ছাড়াও পিসি বা ল্যাপটপের ব্রাউজারে আলাদা ছোট প্লাগ-ইনস এর মতো ফ্রি "ব্রাউজার এক্সটেনশন" ইন্সটল করে রাখলে সেটিও অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট আসা বন্ধ করে দেয়। এমনকি সার্চ করলেও পাওয়া আসবে না।

আর কোনো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নেয়ার সময় বাচ্চাদের জন্য সেফ ইন্টারনেট-এর ফিচারটি আছে কিনা সেটি জেনে নিন।

এই ফিচারটি থাকলে সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছ থেকেই কিছু সাইট বা কন্টেন্ট ব্লক করে দেয়ার ব্যবস্থা থাকে।

আপনার সন্তান কতক্ষণ অনলাইন বা ইন্টারনেটে থাকবে তার একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন

প্রয়োজনে ইন্টারনেট সংযোগ বাসায় কখন কখন থাকবে আর কখন থাকবে না সেটির একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিন।

এক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের পোর্টালে ঢুকে একটা আবেদনের মাধ্যমে সংযোগের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেয়া যায়।

আইএসপির- সহযোগিতায় আপনি কিছু সাইট, অ্যাপসকে ব্লকও করে রাখতে পারেন। পারেন কোন কোন ডিভাইসে কখন ইন্টারনেট থাকবে না থাকবে না সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে। 

আপনিও তার সাথে বসুন

আপনার জন্যে কিছুটা কঠিন। তারপরও ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আপনিও শিশুর সাথে বসুন। শিক্ষামূলক বিভিন্ন চ্যানেল, ওয়েবসাইট শিশুকে দেখতে উৎসাহিত করুন। নতুন কিছু শিখতে বা তৈরি করতে আগ্রহী করে তুলুন। 

ইউটিউব জাতীয় সাইটগুলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী যা দেখে, সে ধরনের বিষয় বা কন্টেন্টই সাজেশন হিসেবে দিতে থাকে। ফলে ভালো কনটেন্ট দেখলে ভালো কনটেন্টের সাজেশনই তার কাছে আসতে থাকবে। তৈরি হবে তার গণ্ডিবদ্ধ ভিশন।   

পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলা- সমাধান কী?

ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, কবে শুরু হবে নেই তার কোনো লক্ষণ/আলামত-

শিক্ষার্থীদের হতোদ্যম হয়ে লেখাপড়ার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলাটা-ই কিন্তু স্বাভাবিক!

একটি চলন্ত গাড়ি যখন পুরোপুরি থেমে যায় তখন কিন্তু এটাকে ঝট করে আগের গতিতে ফেরানো যায় না, সময় লাগে।

তেমনি ইন-পারসন ক্লাস থেকে দশ মাসাধিক বঞ্চিত আছে যে ছেলেমেয়েরা ক্লাস শুরু হওয়ামাত্র তারা আগের মতো গতিতে পড়ালেখা করবে, পরীক্ষা দেবে- এই প্রত্যাশা অযৌক্তিক।

অতএব, আপনার সন্তানকে শুরুতেই বেশি চাপ দেবেন না, পড়ালেখা নিয়ে বেশি কঠোর হবেন না। তাকে শিক্ষণ প্রক্রিয়ার সাথে মানিয়ে নিতে সময় দিন।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে যে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে, সেখানেও এই বিষয়টিকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।

ক্লাস শুরুর ১/২ সপ্তাহ একাডেমিক পড়ালেখার বদলে খেলাধুলা ও সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রথম দুই মাসের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা না নেয়ার কথা বলা হয়েছে এতে।

আর এর সবগুলো করা সহজ হবে ক্লাস যখন পুরোপুরি চালু হবে।

কারণ আর দশটা সমবয়সীর সাথে একত্রে ক্লাস মেলামেশা কথোপকথন আর খেলাধুলা-

আপনার সন্তানের জন্যে এগুলোই হলো স্বাভাবিক!

রুটিনে কীভাবে ফিরিয়ে আনবেন

একই কথা প্রযোজ্য দৈনন্দিন রুটিনের ক্ষেত্রেও

শুরুতেই কঠোর না হয়ে সন্তানকে সময় দিতে হবে অভ্যস্ত হতে

আর রুটিনে ফেরাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে পরিবারকে

পরিবারে থেকেই সন্তান নিয়মতান্ত্রিক জীবনে যেন অভ্যস্ত থাকে বাবা মাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে

তবে এর জন্যে স্কুল খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার নেই!

জীবনের ছন্দ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে এখনই সন্তানকে দৈনন্দিন কাজের একটি রুটিন করে দিন

রাতে ঠিক সময়ে ঘুমানো, সকালে সময়মত ওঠা, সময়মতো খাবার গ্রহণ, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাড়ির কাজে সাহায্য করা- আপাতত এগুলোই রাখুন কার্যতালিকায়।

পড়াশুনার জন্যও একটা সময় বেঁধে দিতে হবে। আর সন্তানের স্কুল টাইম মাথায় রাখুন

স্কুলে খোলা থাকলে যে সময় ঘুম থেকে উঠতে হতো, স্কুল থেকে ফিরে সে সময় খাবার গ্রহণ করতো- এসব মাথায় রেখে এখন থেকে প্রাত্যহিক কর্মপরিকল্পনা সাজান

এতে স্কুল খোলের আগেই ধীরে ধীরে সন্তান অভ্যস্ত হয়ে উঠবে এবং নতুন স্কুল জীবনের সাথেও মানিয়ে নেওয়া তার পক্ষে সহজ হবে

পড়ালেখায় ঘাটতি মোকাবেলায়

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী সহায়তা সংস্থা Northwest Evaluation Association এর সমীক্ষায় দেখা গেছে-

গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় দেশটির থার্ড গ্রেডের শিক্ষার্থীরা পড়ায় ২০% এবং গণিতে ২৭% অর্জন খুইয়ে ফেলে যা সে এর আগে করেছিল। নবম গ্রেডের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে ৩৯% ও ৫০%।

যুক্তরাষ্ট্রে একে বলে 'সামার স্লাইড'।

গ্রীষ্মকালীন ছুটির মাত্র কয়েক সপ্তাহেই যদি শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় এরকম বিরূপ প্রভাব পড়ে তাহলে মহামারির অজুহাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই দীর্ঘ বন্ধ কতটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর দে হিসাব করে দেখিয়েছেন, দৈনিক গড়ে চার শ্রেণিঘণ্টা হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাস্তরে অধ্যয়নরত প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর প্রতিদিন প্রায় ১৮ কোটি শ্রেণিঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে।

তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কেবল শিক্ষাঘন্টার হিসাবে বোঝানো সম্ভব নয়। এর প্রভাব আরো দূরপ্রসারি।

আমাদের দেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া পরস্পর এমনভাবে সংযুক্ত, যে এক পর্যায়ে ঘাটতির প্রভাব পড়ে অন্য স্তরে।

যেমন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা প্রভাব ফেলবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের লেখাপড়ায়। আর, মাধ্যমিকের ঘাটতির প্রভাব পড়বে উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা উভয় পর্যায়েই।

এখন এর সমাধানকল্পে সরকারি নীতিমালা বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যা করবেন তা অনুসরণের পাশাপাশি অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা যা করতে পারেন – পাঠ্যবইটি যেহেতু তাদের কাছেই আছে স্কুলে না যাওয়ার এই সময়গুলোতে তা নিজেদের মতো করেই আয়ত্ত করা, পড়া। একটা গল্পের বই বা একটা মুভি যেমন আমরা নিজেদের উদ্যোগেই পড়ি বা দেখি, সেভাবে এই নতুন শেখার বিষয়টিকেও ভাবতে হবে একটি প্রয়োজনীয় করণীয়।

ক্লাস-পরীক্ষার মানসিক চাপ কীভাবে মোকাবেলা করা যায়

একটানা এত লম্বা সময় ক্লাস না হওয়া স্বাধীন বাংলাদেশে এর আগে কখনো হয় নি

ফলে পড়ালেখার সেট ময়দান থেকে দূরে থাকার জীবনে তাদের অভ্যস্ত হতে যেমন বেগ পেতে হয়েছে তেমনি সেট হয়ে যাওয়ার পর আবার নতুন করে ক্লাস পড়ালেখা পরীক্ষা- সন্তানের জন্যে মানসিক চাপের কারণ হওয়াটাই স্বাভাবিক

নতুন এই শুরুটাকে স্বস্তিকর করতেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইনে এগুলোকে নিরাপদ ও আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে

যেখানে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে মেডিটেশনের।

কাজেই আপনার সন্তানকে এখন থেকেই বাসায় নিয়মিত দুই বেলা মেডিটেশনে উদ্বুদ্ধ করুন।

সপরিবারে আসুন সাদাকায়নে।

আপনার সন্তান আগামীর সম্পদ। তার সম্ভাবনা বিকাশে এই মুহূর্তে মেডিটেশনের কোনো বিকল্প নেই