সাক্ষাৎকার, কুইজ বিড়ম্বনা ও আমাদের শিক্ষা—অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ

শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে স্বভাবতই শিক্ষক হিসাবে আমি কাঠগড়ায়, আমার সহকর্মীদের নিয়েই। যদিও তা কোনোভাবেই আমার দায়বদ্ধতা কিংবা অস্বস্তি কমাতে পারে না। পেশার কারণে অনেক সাক্ষাৎকার/নির্বাচনী বোর্ডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছে। আজ থেকে ২৩/২৪ বছর আগে কোনো ব্যাংকের প্রোগ্রামার পদে নিয়োগের সাক্ষাৎকারে আমি ছিলাম এবং যেহেতু বাংলাদেশে তখনো কম্পিউটারের স্নাতক পর্যাপ্ত সংখ্যক ছিল না বিভিন্ন বিষয়, যেমন গণিত, পদার্থবিদ্যা, পরিসংখ্যান, রসায়ন থেকেও স্নাতকেরা কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট চাকরীতে আবেদন করতো। প্রকৃতপক্ষে এই সাক্ষাৎকারে কম্পিউটার বিষয়ে পাশ করা কেউ ছিল না।

আই বি এম যেমন আমাদের দেশে এসে শিক্ষানবীশ প্রোগ্রামার নিয়োগের নিমিত্তে এপটিচিউড টেস্ট নিত আমিও ভাবলাম এরকম প্রশ্ন করে প্রার্থীর সাধারণ জ্ঞান এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা যাচাই করবো। সাক্ষাৎকারে প্রায় ৪০/৫০ জন প্রার্থী যাদের সবাই প্রথম শ্রেণির স্নাতক। তাদের আমি এই প্রশ্নটি করলাম, “ এক ছাত্র বাসা থেকে ৬ কিলোমিটার দ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালো এবং ৪ কিলোমিটার দ্রুতিতে বাসায় ফিরলো। গোটা ভ্রমণে তার গড় দ্রুতি কত?” অনেকে জিজ্ঞাসা করলো বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব কত? কেউবা যানবাহনের প্রকারভেদ সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করলো অথবা ভ্রমণ কি সকালে না বিকালে হয়েছে- এরকম আরো অনেক কিছু। তবে কোনো প্রশ্ন ছাড়া যারা উত্তর করলো তারা বললো গড় দ্রুতি ৫। আমি অনেককেই বললাম এটা যদি ৪ আর ৬ এর গড় হতো তাহলে নিশ্চয়ই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির স্নাতককে জিজ্ঞাসা করতাম না। এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই উত্তর করতে কেউ এতোটুকু সময় নিল না, ভাবলো না প্রশ্নটি সম্ভবত এতো সোজা নয়।

এই যে আমরা বাস্তবসম্মতভাবে ভাবতে পারি না, সাধারণ জ্ঞানের নিদারুণ অভাবের ফলে প্রকৃত প্রশ্নে মনোযোগ না দিয়ে অনেক অবান্তর প্রশ্নের চক্রে ঘুরে চাকুরীপ্রার্থীদের চিন্তা আবর্তিত হচ্ছে এর দায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিতে হবে। একান্তই হতাশাগ্রস্ত হয়ে তখন ভোরের কাগজে ‘লাখ টাকার প্রশ্ন’ শিরোনামে একটি কলাম লিখেছিলাম। এতো হতাশার মধ্যে আশার আলো হলো ঐ পত্রিকার সম্পাদকের সম্পর্কিত ষষ্ঠ শ্রেণিতে-ওঠা মেয়ে ঠিকঠিক উত্তরটি করেছিল। ষষ্ঠ শ্রেণির মেয়েটির মুক্তচিন্তা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা তখনো কেড়ে নিতে পারে নি, মুখস্তশক্তির অশুভ প্রভাবে তার সৃজনশীলতা তখনো লোপ পায় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্বাচনী সাক্ষাৎকারে ২৩/২৪ বছর পরও সেই প্রশ্নের উত্তরের পারফরম্যান্স আগের থেকে ভালো নয়।

এবিষয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের থেকে শোনা একটি ঘটনা বর্ণনার লোভ সম্বরণ করতে পারছি না। এক দম্পতি তাদের প্রাথমিক স্কুল-পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তিনি মেয়েটিকে বিড়ালের উপর একটি প্যারা লিখতে বলেছেন। মেয়েটি রাতের আধারে চোখ জ্বলজ্বল করা বিড়ালের বর্ণনাসহ তার চৌর্যবৃত্তির স্বভাব সুন্দর করে তুলে ধরে তার প্রিয় লেখককে মুগ্ধ করেছে। একই মেয়ে একযুগ পরে দেখা করতে এসে যখন শিক্ষাবিদকে জানিয়েছে সে যারপরনাই প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাছাই পরীক্ষায় অসংখ্য চাকুরীপ্রার্থীকে পিছনে ফেলে অত্যন্ত লোভনীয় চাকুরীতে যোগদান করতে যাচ্ছে এশুনেও তিনি বিড়ালের বর্ণনা লিখতে বললে হতাশাগ্রস্ত যুবতী সার্কের ভবিষ্যৎ, জোটনিরপেক্ষ দেশসমূহ কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিজাতীয় প্রসঙ্গ হলে যুৎসই টপিক হতো বলে বিড়ালের মতো ক্ষুদ্র প্রাণির বিষয়ে লেখাতে অনীহা প্রকাশ করলো। প্রকৃতপক্ষে আমাদের শিক্ষা, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থা তার মূল্যবান মস্তিষ্ককে বুদ্ধিবৃত্তিক সৃজনশীল কাজে ব্যবহারের পরিবর্তে তথ্যসংরক্ষণাগারে পরিণত করেছে। লোভনীয় ক্যাডার সার্ভিসে মুখস্ত-নির্ভর প্রশ্নের গুরুত্ব কমিয়ে দিয়ে সৃজনশীল, বিশ্লেষণী ক্ষমতা-নির্ভর প্রশ্নের গুরুত্ব বাড়াতে হবে যেমনটি আমাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নেও।

অবশ্যি ২৩/২৪ বছর পূর্বের এই অভিজ্ঞতাটিই আজের কলামের প্রতিপাদ্য নয়। এই দুই যুগে আমরা কতটুকু এগুলাম সেটিই বিষয়। বিশেষ করে বিগত ৪/৫ বছরের অভিজ্ঞতা আমি শেয়ার করতে চাই। কর্মজীবন আমি কাটিয়ে দিলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে, বয়স আর নিয়মের কারণে উৎপাদনশীল হওয়ার সম্ভাবনা কম তাই অবসরে। সৌভাগ্যক্রমে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আবার কাজ করার সুযোগ দিয়ে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছে। যাহোক নির্বাচনী বোর্ড কিংবা কুইজ প্রতিযোগিতা যেখানেই সুযোগ হয় বিশ্লেষণী, যুক্তি-নির্ভর সমস্যা দিয়ে থাকি। এরই কয়েকটি খণ্ডচিত্র নিম্নে তুলে ধরছি।

১। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ প্রতিযোগিতায় উপাচার্য মহোদয় আমাকে অতিথি করে সম্মানিত করেছেন। শুরুতেই আমি নিজের কিছু প্রশ্ন করার আগ্রহ প্রকাশ করলাম। দূরদর্শী উপাচার্য মহোদয় বললেন, রেগুলার কুইজ হওয়ার পর আমার সেশন হবে। রেগুলার কুইজে ছাত্রদের জ্ঞানের পরিধি দেখে আমি বিস্মিত- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির মানের ক্রমোন্নতি হচ্ছে, তবে এখনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে একেবারে প্রথম কাতারের তাও বলা যাবে না। প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে বাজার বেজে উঠছে। কোনো প্রশ্নই শুদ্ধ উত্তর-বিহীন যাচ্ছে না। আমি রীতিমতো অবাক। ঐ প্রশ্নগুলোর সিংহভাগের উত্তর আমার অজানা। এবার আমার পালা। “ A বিন্দু থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে যেয়ে B বিন্দুতে পৌঁছলাম। B বিন্দু থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে যেয়ে C বিন্দুতে পৌঁছলাম। A থেকে Cএর সর্বোচ্চ দূরত্ব কত?”সব ছাত্রের সুইচ থেকে বাজার পারলে একসঙ্গে বেজে উঠে বলার জন্য যে, উত্তর শুন্য। এরকম আরো অনেকগুলো প্রশ্ন করলাম তাতে তাদের স্কোরের কোনো পরিবর্তন হলো না। সম্ভবত দূরদর্শী উপাচার্য আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। আমি আমাদের চৌকষ ছাত্রদের বুদ্ধিমত্তায় রীতিমত অভিভূত(?)!

২। সমীহ-জাগানো প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিজ্ঞানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদের জন্য সাক্ষাৎকার। বেতন-ভাতাদি আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। প্রার্থীদের বয়সও এমন নয় ৩৫ থেকে ৪৫। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমি এরকম নির্বাচনী বোর্ডে বসে বেশ গর্বই লাগছে। আমার বেতন এর ধারে-পাশে না হলেও এরকম দামি চাকুরীর নির্বাচনী বোর্ডে থাকা কম কথা নয়। আমি হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র নই তবু তার কাছাকাছি একটি প্রশ্ন করলাম। “কমপক্ষে কত বছর বিনিয়োগ করলে ১০% চক্রবৃদ্ধি হারের বিনিয়োগ ১৫% হারে সরল সুদের থেকে শ্রেয়তর হবে?” উত্তর আসলো ফর্মূলা ব্যবহার করতে হবে। কাগজ কলম এগিয়ে দিলাম। তখন উত্তর কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যি বোর্ডের একজন সম্মানিত সদস্যও কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সহমত হলেন। আমি আশ্বস্ত হলাম না। আমাদের হিসাব বিজ্ঞানের বড় বেতনের কর্মকর্তারা এরকম প্রশ্নের উত্তর করতে না পারলে কীকরে আমরা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো?

৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শাখায় মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার। আমার প্রশ্ন “ একজন ছাত্র সিজিপিএ ৩.৪ নিয়ে ১০০ ক্রেডিট পাশ করেছে। এবার আরো তিন ক্রেডিট কোর্সে তার গ্রেড পয়েন্ট হলো ৩.৫। তাহলে তার সিজিপিএ কত হবে?” একজনের উত্তর- ফর্মূলা ব্যবহার করতে হবে। কাগজ এগিয়ে দিলাম- তার প্রয়োজন পড়লো না আমারও উত্তর জানা হলো না। আরেকজন বললো সিজিপিএ এর পরিবর্তন হবে না। সবচেয়ে বুদ্ধিমান জনের উত্তর ৩.৪৫। ভাগ্যিস আর কোনো প্রার্থী ছিল না যারা হয়তো ৩.৪ এর কম অথবা ৩.৫ এর বেশি বলতো।

৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। স্বভাবতই দর্শকের সারিতে অধিকাংশই বিজয়ী আর বিভাগের শিক্ষকেরা। আমার প্রশ্ন “ তিন তলায় দাঁড়িয়ে আছো, ভূমি থেকে ৩০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছো। তোমার বন্ধু একই ভবনের সাত তলায় দাঁড়িয়ে আছে, সে ভূমি থেকে কত উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছে?” এমন সোজা প্রশ্ন আর যায় কোথায়। সঙ্গে সঙ্গে সমস্বরে উত্তর ৭০ ফুট। এরা হলো ছাত্রদের মধ্যে অধিক মেধাবী, বুদ্ধিসম্পন্ন, সৃজনশীল, শ্রেয়তর বিশ্লেষণী ক্ষমতার অধিকারী। তাহলে অন্যদের অবস্থা কী?!

৫। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সমাবেশ, সবাই তাদের সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনে উন্মুখ। আমার প্রশ্ন ,”এক দম্পতি চার দম্পতিকে দাওয়াত করলো। কেবলমাত্র অচেনা ব্যক্তিরা পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করে পরিচিত হলো। শুধু ধরে নেয়া যাবে যে, স্বামী স্ত্রী পরস্পরের পরিচিত। ভোজন শেষে গৃহস্বামী অন্য প্রত্যেককেই প্রশ্ন করলো সে কতজনের সঙ্গে করমর্দন করেছে। প্রত্যেকেই একটি ভিন্ন সংখ্যায় উত্তর করলো। গৃহস্বামী কতজনের সঙ্গে করমর্দন করেছে?” সঙ্গে সঙ্গে উত্তর শুন্য কারণ গৃহস্বামী যখন দাওয়াত করেছে নিশ্চয়ই তাদের চেনে। আবার কেউবা বললো ৯ যদিও সেই সবার মধ্যে তার স্ত্রীও রয়েছে!

৬। সুজন বললো,”আমি মিথ্যাবাদী।“ সে আসলে কী? এর উত্তরে একবার সত্যবাদী তারপর মিথ্যাবাদী, এবং এভাবে কয়েক বার উত্তর পরিবর্তন চলে অতি দ্রুততার সঙ্গে, ধৈর্য্য নিয়ে ভাবার সময় নেই।

৭। ডিমবিক্রেতার কাছ থেকে ১০ টাকা করে ৮টি ডিম কিনলাম। ১০০ টাকা দেয়ার পর ছেলেটি ডানে বায়ে দৌড়াদৌড়ি করা শুরু করলো। ৩/৪ মিনিট পর ক্যালকুলেটর এনে তা টিপে বললো ৮০ টাকা হয়েছে। ঐ বয়সী ছেলে স্কুলে যাক আর নাই যাক এই হিসাবটি না পারলে আমাদের দেশ এগুতে পারবে না।

এই যে আমাদের চিন্তা না করার প্রবণতা, ধৈর্য্যের অভাব এর অতি সত্বর পরিবর্তন আবশ্যক। ঠিক অন্য যেকোনো দেশের স্বার্থ যেমন বিদেশীরা সংরক্ষণ করবে না, আমাদের ক্ষেত্রেও একথাটি সত্য। আমাদের দেশের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। এরজন্য চাই চিন্তাশীল প্রজন্ম, যারা মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো একটি উত্তর আগে দিয়ে পরে সময় থাকলে কিঞ্চিৎ চিন্তা করতেও পারে- এমনটি হবে না। যেকোনো সমস্যা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা একটি সংস্কৃতি যা আমাদের দেশে গড়ে উঠে নি। তদানীন্তন রাশিয়াতে দেখেছি ৪/৫ বছর বয়সের দুটি ছেলেমেয়ে চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে ১৬ দুইগুনে ৩২টি ঘুটির দাবার বোর্ডসামনে নিয়ে হাত দুটি থুতনিতে ঠেকিয়ে চিন্তা করছে, চাল দিচ্ছে না। তারা জানে দাবার বোর্ড সামনে রেখে চিন্তা করতে হয় কদাচিৎ চাল দিতে হয়। আমাদের প্রবীণ মানুষেরা আগে চাল দিয়ে পরে থুক্কু বলে। আমরা এই অশুভ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। প্রথম আলোর “বিজ্ঞান চিন্তা” মাসিকে একারণেই মনে হয় দাবার সমস্যা ছাপাচ্ছে।

শ্রেয়তর মূল্যবোধের আবেশে, মানবিক গুনাবলীতে শিক্ষাআমাদের জীবনকে বিকশিত করুক, সমৃদ্ধ করুক, অর্থবহ করুক, শিক্ষায় আলোকিত নাগরিকদের অংশগ্রহণে সমাজ সমৃদ্ধ হোক। শিক্ষা শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য নয় বরং লব্ধ জ্ঞানের প্রয়োগে আমাদের ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবন সমৃদ্ধ হোক। জ্ঞান বিজ্ঞানের অশুদ্ধ প্রয়োগে লব্ধ সিদ্ধান্ত আমাদের শ্রেয়তর সাধারণ জ্ঞানের কাঠগড়া যাতেপার হতে না পারে এরকম স্বতঃলব্ধজ্ঞানে যেন আমরা আলোকিত হই। আমাদের দেশের মঙ্গল হোক।

লেখক

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ
শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের স্বপ্নদ্রষ্টা