ইমেইল কমিউনিকেশন

ই-মেইল বা ইলেক্ট্রনিক মেইল হলো ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। অতীতের চিঠি আদান প্রদানের ডিজিটাল রূপ হচ্ছে ই-মেইল। চিঠিতে যেমন প্রাপক ও প্রেরক প্রয়োজন হয়, ই-মেইলেও তাই। প্রেরক যখন চিঠি পাঠায় তখন চিঠিটি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রাপকের কাছে পৌঁছায় তেমনি সেন্ডার যখন ইমেইল পাঠায় তখন ই-মেইলটি একটি মেইল সার্ভারের মাধ্যমে রিসিভারের কাছে পৌঁছায়।

১৯৯৩ সালে ই-মেইলের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ২.২ বিলিয়ন ই-মেইল ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১৪৪ বিলিয়ন ইমেইল আদান প্রদান হয় যার ৬১% ই আসলে অপ্রয়োজনীয়। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ই-মেইল সেবা প্রদানকারী হচ্ছে Gmail, এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪২৫ মিলিয়ন। এর মধ্যে ৬৮.৮% হলো spam এবং ০.২২% ফিশিং আক্রান্ত হয়।

যার ফলে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি চুরি হয় বা ই-মেইল এ হুমকি দেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা পৃথিবীর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা রয়েছে ২.৪ বিলিয়ন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এর মধ্যে ১.১ বিলিয়ন ব্যবহারকারী হচ্ছে এশিয়ার।  ৫১৯ মিলিয়ন ইউরোপ, ২৭৪ মিলিয়ন উত্তর আমেরিকা, ২৫৫ মিলিয়ন হচ্ছে ল্যাটিন আমেরিকা, ১৬৭ মিলিয়ন আফ্রিকা, ৯০ মিলিয়ন মধ্যপ্রাচ্য, ২৪.৩ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবং ৫৬৫ মিলিয়ন চীনে।

এখন আমরা দেখি ই-মেইল কীভাবে কাজ করে:

প্রথমত, ই-মেইল ব্যবহারের জন্যে প্রথমে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো একটি কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক যেটা অনেকগুলো কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে এবং তাদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করে।

দ্বিতীয়ত, ডোমেইন নেম। এটি একটি নাম বা এক ধরনের পরিচয়। ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবসাইটকে চেনার জন্যে বা দেখার জন্যে যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয় তাকেই ডোমেইন বলা হয়।

তৃতীয়ত, IP address বা Internet Protocol (IP) address  হলো একটি সংখ্যাসূচক লেবেল যা কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি ডিভাইস যেমন, কম্পিউটার, প্রিন্টারের জন্যে নির্ধারিত। এটি ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেটে যোগাযোগের জন্যে।

এবং চতুর্থত, প্রতিটি ই-মেইল আড্রেসে @ সাইন থাকে। এটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ঠিকানা চিহ্নিত করা।

ই-মেইল ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা:

ই-মেইল ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু  তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটি যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। তাছাড়া কম খরচ, দ্রুত ব্যবহারের সুবিধা, মার্কেটিং এবং কলাবোরেশনের জন্যে দিন দিন ই-মেইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

ফ্রি ই-মেইলের সুবিধা ও অসুবিধা:

সুবিধা:
  • এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।   
  • সহজে একাউন্ট খোলা যায়।
  • ভ্যালু এডেড সার্ভিস পাওয়া য়ায়।
অসুবিধা:
  • সিকিউরিটি কম।
  • তথ্য উদ্ধার করা কঠিন ।
  • ই-মেইল এড্রেস গুলো বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি হয়ে যায়।
  • গোপনীয়তার অভাব ।
  • কখনও তথ্য পুনরুদ্ধার করার কোনো সুযোগ থাকে না।

ভ্যালু এডেড সার্ভিস:

  • ইনবক্স সাইজ
  • ড্রাইভ স্টোরেজ
  • ভিডিও চ্যাট, ক্যালেন্ডার
  • ডকুমেন্ট এডিটিং
  • বিজনেস ক্রিটিকাল ডাটা আরকাইভিং

একটি ই-মেইল এড্রেসের ও পাসওয়ার্ড কেমন হওয়া উচিত:

ইউজার নেইম এর ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর নিজের নামেই ই-মেইল এড্রেসে খোলার চেষ্টা করতে হবে। নামের মধ্যে কোনো চিহ্ন ব্যবহার না করা ভালো। পাসওয়ার্ড দেয়ার সময় অধিক সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী। এক্ষেত্রে আমরা পাসওয়ার্ডের মধ্যে কিছু বড় হাতের অক্ষর (Uppercase), ছোট হাতের অক্ষর (lowercase), চিহ্ন (symbol) এবং নম্বর দিতে পারি। এতে পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হবে। যেমন:-De$%126aR। আট থেকে ষোল ডিজিটের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উত্তম।

নিরাপত্তার জন্যে সতর্কতা:

  • হেডার ডিটেইল
  • Mother board mac. Address
  • Lan. Card mac Address
  • Email tracking
  • Browser password save option
  • প্রতিবার ব্যবহারের পর অবশ্যই লগআউট করা।
  • স্পামিং

জনপ্রিয় কিছু ই-মেইল সার্ভার:

চিঠি যেমন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো হয় তেমনি মেইল সার্ভার এর মাধ্যমে মেইল পাঠানো হয়।

জনপ্রিয় ই-মেইল সার্ভার হল: send mail, Microsoft exchange server postfix and Exim Together.

উপরোক্ত ফ্রি ই-মেইলের অসুবিধা দূর করার লক্ষ্যে এবং আপনার তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবহার করুন আমাদের সেবা www.qmail.com.bd