published : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫
বিশ্বখ্যাত মহামানব হওয়ার মনছবি করেছেন আপনি। অল্পতেই ভেঙে পড়া, হতাশ হওয়া আর আপনার চলবে না। ব্যর্থতার জন্যে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোরও আর কোনো সুযোগ নেই আপনার। কারণ সফল মানুষেরা নেতিবাচক কথায় প্রভাবিত হন না। পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতার অজুহাত দেন না।
সবসময় ইতিবাচক কথা বলুন। বাস্তব অবস্থা খারাপ হলেও প্রকাশ করুন ইতিবাচকভাবে। যেমন-‘এত কম নম্বর পেলাম, আমার কিছু হবে না'। এমনটি না ভেবে ভাবুন ‘নার্ভাস হয়ে পরীক্ষা খারাপ দিয়েছি আমি। ভুল করেছি অনেক। এরপর থেকে আর নার্ভাস হলে চলবে না। ভুলগুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। একবারের নম্বর খারাপ নিয়ে ভেবে লাভ নেই। পরের বারের জন্যে তৈরি হতে হবে।’
নিজেকে ভালবাসুন। কী পারেন না বা কতকিছু পারেন নি, তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আপনি কি পারেন এবং এখন কী করতে পারেন তা নিয়ে মাথা ঘামান। ঈর্ষা না করে বা হীনম্মন্যতায় না ভুগে যে গুণ ও দক্ষতার কারণে আরেকজন আপনার চেয়ে প্রিয় হচ্ছে, প্রশংসা পাচ্ছে সেটাকে আয়ত্ত করার চেষ্টা করুন।
সমস্যা বা বাধা পেলে এড়িয়ে না গিয়ে সমস্যাটার মুখোমুখি হোন। পালাবেন না। কারণ আপনি আপনার অনন্য ব্রেনকে কোনো সুযোগই দিলেন না। না পারাটাকে পারায় রূপান্তরের জন্যে যা যা করা দরকার তা-ই করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন আপনি পারছেন। আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস আর আত্ম-আবিষ্কারের আনন্দ সৃষ্টি হবে। আর একবার এ প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত হলে আপনি দেখবেন একের পর এক ভ্রান্ত বিশ্বাসকে ভাঙার এক অনন্ত স্পৃহা আপনার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সমস্যার মুখে পালানোর ইচ্ছাই মানুষের মনে প্রথম জাগলেও স্বভাবজাতভাবে সে চ্যালেঞ্জকে পছন্দ করে।