এত স্ট্রেস কী করি?

সারাক্ষণই পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা করে নিজের ওপর মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস নেবার কোনো প্রয়োজন নেই। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল তাদের এক গবেষণায় দেখতে পায়, স্কুল-কলেজের পড়াশোনা একজন মানুষের দক্ষতার মাত্র ১৫% তৈরি করে। বাকি ৮৫%ই তাকে শিখতে হয় জীবনের স্কুল থেকে। স্কুলের পরীক্ষায় ফেল করেও যদি চার্চিল বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলে একটা পরীক্ষায় একটু কম ভালো হলেই আপনার জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে না। একজন অনন্য ছাত্র পড়বেন জ্ঞানের জন্যে। নম্বর হবে তার বাইপ্রোডাক্ট।

অন্যের সাথে প্রতিযোগিতার কোনো শেষ নেই। আপনি যত ভালো ফলাফলই করুন, সবসময়ই কেউ না কেউ কোনো না কোনোভাবে আপনার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। তাই প্রতিযোগিতায় নামুন নিজের সাথে। ফার্স্ট টার্মে ৭০% নম্বর পেলে সেকেন্ড টার্মে চেষ্টা করুন এর চেয়ে বেশি পেতে। তাহলেই আপনি স্ট্রেসকে এড়াতে পারবেন।

এত অল্প সময়ে এত পড়া পড়ব কীভাবে ইত্যাদি ভেবে খামোখা স্ট্রেসড না হয়ে কাগজ কলম নিয়ে বসে যান। প্লান করুন কত সময় আছে আর পড়া বাকি কতটা? তারপরই পড়তে বসুন। যত আপনি এগোতে থাকবেন তত আপনার স্ট্রেস কমতে থাকবে। মনে রাখবেন দীর্ঘসূত্রিতাই স্ট্রেসের সবচেয়ে বড় কারণ।

জীবনের জন্যে পড়াশোনা, পড়াশোনার জন্যে জীবন নয়। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তব জীবনের সাথেও সম্পৃক্ত থাকুন। সুযোগমতো বাসায় মাকে সাহায্য করুন, কাঁচাবাজারের ভারটা নিজেই নিয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত ১ দিন ফাউন্ডেশনে সময় দিন। মাটির ব্যাংক বা হিলিং-এর কথা একজন বন্ধুকে বলুন। দেখবেন স্ট্রেসের প্রভাব কমে গেছে।