published : ১১ নভেম্বর ২০১৫
পরীক্ষা অনেকের কাছে ওয়ান নাইট ফাইটের মতো। পরীক্ষার রুটিনটা হাতে পেয়ে ভীষণ সিরিয়াস হয়ে মুক্তকচ্ছ হয়ে কিছুদিন পড়াশোনা, প্রতিজ্ঞা করা যে, এবারের পরীক্ষাটা যাক, আর কখনো এমন করব না, তারপর কোনোরকমে পরীক্ষাটা দেয়া এবং দিয়েই আবার আগের মতো দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা, ফেসবুক, মোবাইল, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট - ব্যস এই দুষ্টচক্রে ঘুরপাক খায় তাদের জীবন। না পারে চক্রটা ভাঙতে, না পারে গা-ঝাড়া দিয়ে সমস্ত সময়খাদককে ধরাশায়ী করতে।
চট করে কি একটু দেখে নেবেন, আপনি নিজেও এ দুষ্টচক্রের বন্দি কিনা? পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আপনি কতটা গুরুত্ব দেন, তা যাচাই করতে পারবেন আপনি নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে। উত্তর হাঁ সূচক হলেই কেবল উত্তরে দেয়া নম্বর যোগ হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে প্রাপ্ত নম্বর প্রতিটি প্রশ্নমালার শেষের স্কোরবোর্ডে যোগচিহ্ন (+) অথবা বিয়োগ চিহ্ন (-) দিয়ে বসানো আছে। আপনার স্কোর যোগবোধক বা বিয়োগবোধক যে কোনোটি হতে পারে। যোগফলই বলে দেবে আপনি কি একরাতে পড়েই পরীক্ষা দিতে যান নাকি বছরের শুরু থেকেই নিয়মিত পড়েন। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর হাঁ সূচক হলে প্রশ্নের পাশে টিক চিহ্ন (√) দিন। উত্তর না সূচক হলে কোনো কোন চিহ্ন দেয়ার প্রয়োজন নেই। মনে রাখবেন, উত্তর হাঁ সূচক হলেই প্রশ্নের সংখ্যার পাশে দেয়া নম্বর যোগ বা বিয়োগ চিহ্ন অনুসারে যোগ বা বিয়োগ হবে।
১. বছরের শুরু থেকেই আমি রুটিন করে পড়ালেখা করি।
২. পরীক্ষার রুটিন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমি পড়াশোনায় সিরিয়াস হতে পারি না।
৩. প্রতিদিনের পড়া আমি প্রতিদিন শেষ করি।
৪. আমি মনে করি বছরের শুরু থেকে পড়াশোনার ব্যাপারে সিরিয়াস হয় কেবল আঁতেলরা।
৫. প্রতিদিনের ক্লাস লেকচারে আমি প্রতিদিন চোখ বোলাতে চাই। কিন্তু নানান কারণে তা হয়ে ওঠে না।
৬. আমি মনে করি, আমার ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্যে ভালো রেজাল্টের প্রয়োজন আছে।
৭. ভার্সিটিতে উঠে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করা একটা আঁতলামি।
৮. আমি জানি কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। ভালো রেজাল্টের জন্যে যখন যা করা দরকার আমি তা করতে রাজি।
৯. যে বিষয়টা আমার কঠিন লাগে আমি সহজে তা নিয়ে বসতে চাই না।
১০. আমি জানি, বছরের প্রথম থেকেই নিয়ম করে পড়লে পরীক্ষার আগে কোনো বাড়তি চাপ পড়ে না।
১১. আমি বেশ মেধাবী। পরীক্ষার আগে অল্প পড়লেই আমার হয়ে যায়। এর জন্যে সারাবছর ব্যতিব্যস্ত হবার কোনো মানে নেই।
১২. দিনের কার্যসূচিতে যা-ই ঘটুক, আমার রুটিন যাতে ব্যহত না হয়, সেজন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে আমি চেষ্টা করি।
১৩. ফেসবুকে প্রতিদিন আমাকে বসতেই হবে।
১৪. আমি মনে করি সময় আমার। সময়কে সদ্ব্যবহারের দায়িত্বও আমার।
১৫. আমি মনে করি সময় আমার। সময়কে সদ্ব্যবহারের দায়িত্বও আমার।
১৬. আমার কোনো রুটিন নেই। যখন যা মনে হয়, আমি পড়ি।
১৭. পরীক্ষার আগে আগে আমার পড়া খুব ভালো হয়।
১৮. পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতাকে আমি জয় করার চেষ্টা করি আমার ইতিবাচকতা দিয়ে।
১৯. পরীক্ষা হলো আমার কাছে সুযোগ, নিজের যোগ্যতা প্রমাণের, আরো বড় পর্যায়ে পৌঁছার।
১. +৩ | ২. -৩ | ৩. +২ | ৪. -২ | ৫. -২ | ৬. +২ |
৭. -২ | ৮. +৩ | ৯. -১ | ১০. +২ | ১১. +২ | ১২. +৩ |
১৩. -৩ | ১৪. +২ | ১৫. +২ | ১৬. -১ | ১৭. -১ | ১৮. +২ |
১৯. +২ |
এবার আপনার প্রাপ্ত নম্বরের যোগফল লিখুন। যোগফল ১০-এর ১০ বা তার নিচে হলে পরীক্ষার ব্যাপারে আপনি একেবারেই সিরিয়াস নন। বছরের শুরু থেকে পড়াশোনাকে গুরুত্ব না দিয়ে আপনি পরীক্ষার আগে আগে প্রস্তুতি নিয়ে ভালো করবেন বলে ভাবেন। যোগফল ১০ থেকে ১৫-এর মধ্যে হলে আপনি মাঝে মাঝে সিরিয়াস, কিন্তু মাঝে মাঝে উদাসীন। যোগফল ১৫ বা তার ওপরে ওপর হলে বলা যায়, আপনি একজন সফল শিক্ষার্থী। পরীক্ষাকে গুরুত্ব দেন, পরীক্ষায় ভালোও করেন। আসলে যারা ওয়ান নাইট ফাইটে বিশ্বাসী, তারা যত মেধাই থাকুক, কোনোরকমে পাশ করে বটে, কিন্তু ভালো করতে পারে না। ভালো তারাই করে, যারা বছরের শুরু থেকেই পড়ালেখার ব্যাপারে যত্নবান