৬টি গুরুত্বপূর্ণ ‘না’

১. একটানা কাজের রুটিন করবেন না। যেরকম বিকেল ৫.০০ থেকে রাত ৯.০০ পর্যন্ত পড়া। এরকম না করে প্রথম ১ ঘন্টা পর চা খাওয়ার ৫ মিনিট বিরতি, দ্বিতীয় ঘন্টা পর ৫ মিনিট একটু হাঁটাহাঁটির বিরতি রাখা যেতে পারে।

২. ঘণ্টা মিনিট সেকেন্ড ধরে সময় ভাগ করবেন না। অর্থাৎ ‘১০.০০-১০.১৫ পর্যন্ত খাওয়া, ১০.১৬-১০.৩০ পর্যন্ত গোসল, ১০.৩১-১০.৪০ পর্যন্ত পেপার পড়া- এমন করতে যাবেন না।

৩. পড়াশুনার ফাঁকে বিরতিতে টিভি দেখা, কম্পিউটার গেমস, ফেসবুক, বন্ধুকে ফোন এগুলো রাখা যাবে না।

৪. ভারি খাওয়া-দাওয়া বা প্রিয় টিভি সিরিয়াল দেখার ঠিক পরপরই পড়তে বসবেন না। এতে মনোযোগ সমস্যা হয়।

৫. পরপর কয়েকদিন রুটিনে লাল দাগ পড়লে হতাশ হয়ে পড়বেন না। বরং তিনদিন এরকম হলে শাস্তিস্বরূপ চতুর্থ দিন প্রিয় সিরিয়ালটি দেখা বন্ধ করুন। নিজের জন্যে শাস্তির ব্যবস্থা করলে নিজেই উপকৃত হবেন।

৬. নিজের দৈহিক ছন্দের বিরুদ্ধে রুটিন করবেন না। যদি রাতে মাথা ভালো কাজ করে তবে রাতে পড়াশুনার সময় বেশি রাখুন। অন্যান্য কাজগুলো দিনে করার চেষ্টা করুন।

 

পিসমিল সলিউশন ব্যাপারটা জানেন? মাও সে তুং এ ধারণার প্রবক্তা। তিনি বলেছিলেন, ‘যুদ্ধ হয় একটার পর একটা। শত্রুশক্তি ধ্বংস করা যায় একের পর এক। কলকারখানা তৈরি হয় একটার পর একটা। চাষীরা চাষ করে একের পর এক প্লট। আমরা যে খাবার শেষ করতে পারব তাই নিই, কিন্তু মুঠো মুঠো করেই আমরা তা শেষ করি। সমস্ত খাবার একসঙ্গে খাওয়া অসম্ভব। একেই পিসমিল সলিউশন বলে।'

 

অর্থাৎ লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হতে হয় একটু একটু করে। এ লক্ষ্য হাতে পারে বড় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া, মাধ্যমিকে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া। অথবা টার্ম পেপার রেডি করা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই চেষ্টা করুন একটু একটু করতে। একদিনে বসেই ফিজিক্স সিলেবাস শেষ করার চাইতে এক মাস ধরে প্রতিদিন একটানা অর্ধেক চ্যাপ্টার পড়তে পারলে উপকৃত হবেন বেশি। কাজেই রুটিনকেও সেইমতো সাজান। পরীক্ষার তারিখ হাতে পাওয়ার দিনই সতর্ক হোন। পরদিন থেকেই  ঐ বিষয়ের জন্য ১/২ ঘণ্টা সময় বাড়তি রাখুন। তাহলে আর পরীক্ষার আগের দিন চুল ছিঁড়তে হবে না।

 

তাই বলি, পিস পিস (piece) করে করুন, আখেরে পিসে (peace) থাকবেন!