published : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১
চিন্তা করুন এমন একটা ব্যাংক যেখান থেকে প্রতিদিন সকালে আপনাকে ৮৬,১৮৪ টাকা দেয়া হয়। টাকাটা থেকে আপনি ইচ্ছেমতো খরচ করতে পারবেন। কিন্তু শর্ত হলো যা খরচ করতে পারবেন না, দিনশেষে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। এরকম হলে আপনি কী করতেন? নিশ্চয়ই পুরো টাকাটা কাজে লাগানোর জন্যে উঠে পড়ে লাগতেন। কিন্তু সময়কে নিয়ে কি আপনি এভাবে ভাবেন? অথচ সময়ই কিন্তু আপনার এই সম্পদ। কারণ একটি দিনে আপনার থাকে মোট ৮৬,১৮৪ সেকেন্ড যা আজকে চলে গেলে আর কোনোদিনই ফিরে পাবেন না আপনি।
১. জরুরি (দরজা খোলা, ফোন ধরা বা কোনো অনিবার্য বাধাবিঘ্ন)
২. গুরুত্বপূর্ণ (ক্লাসের আগে পড়া, নোট তৈরি করা, পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতি, নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন)
৩. জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ (পরীক্ষার পড়া, বাড়ির কাজ, প্রাকটিক্যাল বা কোনো এসাইনমেন্টের কাজ)
৪. জরুরি না, গুরুত্বপূর্ণও না (যেমন, টিভি দেখা, কম্পিউটার গেম খেলা, মোবাইলে কথা বলা, আড্ডা দেয়া, বেড়ানো বা অসময়ে অতিরিক্ত ঘুম)
একজন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর বেশিরভাগ সময় কাটে ৩ এবং ৪ নম্বর কাজে। কিন্তু একজন অনন্য ছাত্র হিসেবে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সময় দিতে হবে ২ এবং ৩ নম্বর কাজে। ১ নম্বর কাজগুলো যাতে খুব বেশি সময় নিয়ে না নেয় সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং ৪ নম্বর কাজগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
রুটিন করার প্রথম ধাপ হচ্ছে আপনার পরীক্ষার শিডিউল, এসাইনমেন্ট, রিপোর্ট ইত্যাদির লিস্টটা আপনার পড়ার টেবিলের সামনে এমন এক জায়গায় সেঁটে রাখা যেন ঢুকলেই চোখে পড়ে। আরেক সেট রাখবেন আপনার সঙ্গেই। বইয়ের ব্যাগে বা মানিব্যাগে বা ভ্যানিটি ব্যাগে।
বাঁধা-ধরা যে কাজগুলো প্রতি সপ্তাহে আপনাকে করতে হয় তা ঐ সূচিতে লিখে অনেকগুলো ফটোকপি করা। কেন? কারণ প্রতি সপ্তাহেই আমরা এর একটি করে কপি ব্যবহার করবো।
সাপ্তাহিক এই রুটিনকে এবার দৈনিক রুটিনে রূপান্তরিত করতে হবে। কারণ তাহলেই আপনার সারাদিনকে আপনি রুটিনের আওতায় আনতে পারবেন। নিচে দৈনিক রুটিনের একটি নমুনা দেয়া হলো। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে করতে হবে এই দৈনিক রুটিন।
তারিখ: ---------
শনিবার
সময় | কাজ |
সকাল ৫:৩০ - ৬:০০ মিনিট | ঘুম থেকে ওঠা এবং ফ্রেশ হওয়া |
সকাল ৬:০০- ৬:৩০ মিনিট | ব্যায়াম |
সকাল ৬:৩০- ৭:০০ মিনিট | মেডিটেশন |
সকাল ৭:০০- ৭:১৫ মিনিট | নাস্তা খাওয়া |
সকাল ৭:১৫- ৭:৩০ মিনিট | কলেজে যাওয়ার প্রস্তুতি |
সকাল ৭:৩০- ৮:০০ মিনিট | কলেজে যাত্রা |
সকাল ৮:০০- ১:০০ মিনিট | কলেজ |
দুপুর ১:০০- ৩:০০ মিনিট | বাসায় ফেরা, খাওয়া, গোসল, বিশ্রাম |
বিকেল ৩:০০- ৫:০০ মিনিট | একাউন্টিং পড়তে যাওয়া |
বিকেল ৫:০০- ৭:০০ মিনিট | বাসায় এসে ফ্রেশ হওয়া, নাস্তা খাওয়া, টিভি দেখা, পরিবারের সাথে সময় কাটানো |
সন্ধ্যা ৭:০০- ১১:০০ মিনিট | পড়া |
রাত ১১:০০- ১১:৩০ মিনিট | মেডিটেশন |
রাত ১১:৩০- ৫:৩০ মিনিট | ঘুম |