শুভ কাজে দেরি কীসের

মন না বসার হাজারটা অজুহাত দেখাতে আমাদের এক মিনিটের বেশি লাগে না, কিন্তু মনোযোগ দিয়ে পড়তে বসতে বসতে পরীক্ষা এসে যায়! আসলে, শুরু করাটা আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। যেহেতু ‘যতই পড়ি না কেন মাথায় ঢুকবে না’- অতএব পড়তেই বসা হয় না, আর পড়তে বসি না বলে মাথায়ও ঢোকার সুযোগ পায় না। এই চক্র চলতেই থাকে। তাই বুদ্ধিমানের মতো শুভ কাজে দেরি না করে এক্ষুণি বই নিয়ে বসে পড়ুন।

প্রথমবার বসেই যে আমাকে সব পড়ে ফেলতে হবে - তা কিন্তু না। বরং ব্যাপারটা উল্টো। প্রথমবার বসে চরম বিরক্ত হবেন আপনি। হয়তো বইয়ের অক্ষরগুলো বাদে তাবৎ পৃথিবীর বাকি সবকিছু মাথায় এসে ভর করবে। কিন্তু প্রতিজ্ঞা করুন পরবর্তী ১/২ ঘণ্টা কিছুতেই বই ছেড়ে উঠবেন না। যতই অসহ্য লাগুক না কেন। দেখবেন আস্তে আস্তে মন বইয়ের অক্ষরগুলো গ্রহণ করছে। কিন্তু এরপরও দেখবেন মন বিক্ষিপ্ত হচ্ছে। এবার নতুন একটি পদ্ধতি অবলম্বন করুন। যখনই আপনার মনে হলো মন বইয়ের বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করছে তখনই ঐ নির্দিষ্ট লাইনের পাশে মার্জিনে একটা টিক চিহ্ন দিন। আবার ওখান থেকে পড়া শুরু করুন। পুরো পৃষ্ঠা পড়া হলে কী পড়লেন তা মনে মনে একবার ভেবে দেখুন। যদি মনে না পড়ে তাহলে আবার পৃষ্ঠার শুরু থেকে পড়তে থাকুন। আস্তে আস্তে আপনার বোঝার ক্ষমতা বেড়ে যাবে, টিক চিহ্নের পরিমাণও কমে যাবে।

আসলে মূল সূত্রটা হলো আগে কাজ শুরু করে দিতে হয়। ইচ্ছে চাঙ্গা হয় তারপর। আর যদি ইচ্ছে হওয়ার জন্যে বসে থাকেন তো ‘ভবিষ্যৎ অন্ধকার’।