published : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কোয়ান্টাম মেথড কোর্স নিয়ে এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। উত্তর হলো- সম্ভব! ইতোমধ্যে লাখো মানুষ এটা সম্ভব করে দেখিয়েছেন।
অবিশ্বাস্য নিরাময়, অনির্বচনীয় প্রশান্তি, পারিবারিক সম্পর্ক উন্নয়ন, লেখাপড়া ও পেশায় সাফল্য, ব্যক্তিত্ব উন্নয়ন, আর্থিক প্রাচুর্য, নামাজে মনোযোগ বৃদ্ধিসহ এত এত উপকার এই কোর্সের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব যে, শুরুতে কেউ কেউ সংশয় পোষণ করেন এত কিছু ৪ দিনে কী করে সম্ভব! কিন্তু সংশয় প্রত্যয়ে পরিণত হয় কোর্সে আসার পর।
ধ্যান বা মেডিটেশনকে বিজ্ঞানের আলোকে উপস্থাপন করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ধ্যান শিখতে আপনাকে এখন আর পাহাড়ে বা বনে-জঙ্গলে ছুটতে হবে না, এসি রুমের আরামদায়ক চেয়ারে বসে মাত্র ৪ দিনেই আপনি শিখতে পারবেন।
ধ্যানকে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের উপযোগী করে উপস্থাপন করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন
হাতেকলমে মেডিটেশন শেখার এবং মনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুস্থতা, প্রশান্তি ও সাফল্য লাভের টেকনিক সম্বলিত কার্যক্রম হলো কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন কোর্স। ৪ দিনব্যাপী এই কোয়ান্টাম মেথড কোর্স পরিচালনা করেন কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক।
কোর্স শেষে আপনি পাবেন একটি কোর্স সমাপনী সার্টিফিকেট এবং গ্র্যাজুয়েট আইডি কার্ড। এরপর থেকে অংশ নিতে পারবেন প্রজ্ঞা জালালি, কোয়ান্টায়ন, ওয়ার্কশপ, মাসিক প্রোগ্রাম, কোয়ান্টায়নে খতমে কোরআন ও আখেরি দোয়া, শিক্ষার্থী ওরিয়েন্টেশন, ইয়োগা ওরিয়েন্টেশন, হিলিং ও সাইকি ওরিয়েন্টেশন, প্রথমায়ন ওরিয়েন্টেশনসহ একগুচ্ছ গ্র্যাজুয়েট আত্মউন্নয়ন কার্যক্রমে। আপনি সম্পৃক্ত হবেন জীবন বদলের এক চলমান প্রক্রিয়ায়।
প্রতি মাসেই অনুষ্ঠিত হয় কোয়ান্টাম মেথড কোর্স। এক মাসে একাধিক কোর্সও হয় কখনো কখনো। কোর্সটি হয় শুক্র শনি রবি ও সোমবার টানা ৪ দিন। কোর্সটি মূলত ঢাকাতে হয়। তবে কখনো কখনো চট্টগ্রাম রাজশাহী সিলেট খুলনা বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরেও হয়ে থাকে।
কোর্সের ব্যাচগুলো সংখ্যা অনুক্রমে হলেও কিছু কিছু বিশেষ ব্যাচের ধারাবাহিক বা চলমান কিছু ব্যাচও হয়েছে। যেমন ৩০০তম কোর্সের ২৩টি এবং ৪০০তম কোর্সের ৬টি ব্যাচ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪৯৯E কোর্স হবে আগামী ০৮-১১ মার্চ ২০২৪, ঢাকাস্থ কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে।
কিছু ভালো ভালো কথা আর মেডিটেশন- সাদা চোখে মনে হবে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স জাস্ট এতটুকুই! কিন্তু এই কথামালার শক্তি এতখানি যা এক ঝটকায় বদল ঘটায় দৃষ্টিভঙ্গিতে। মুক্তবিশ্বাসের জোরে ঘটে মনোজাগতিক শৃঙ্খলমুক্তি, যা বদলে দেয় জীবন।
নিরাময় তথা রোগমুক্তির কথাই ধরা যাক!
যে-কোনো বয়সেই সুস্থ থাকা সম্ভব- এই প্রত্যয় নিয়ে ঘরে ফেরেন কোর্সের অংশগ্রহণকারীরা
আমাদের যত রোগ আছে তার শতকরা ৭৫ ভাগই মনোদৈহিক। অর্থাৎ, সমস্যাটা মনের, কিন্তু প্রকাশ পায় শরীরে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেন ও অন্যান্য ব্যথা-বেদনা, অনিদ্রা, এলার্জি, প্রদাহসহ দৈহিক নানান রোগ আকারে। এসব ক্ষেত্রে মনের জট খুলে গেলেই মেলে সুস্থতা।
কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে এসে স্রেফ আলোচনা শুনে এবং মেডিটেশন করেই মানুষ সুস্থ হচ্ছেন এই রোগগুলো থেকে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স –এ। ২৮+ টেকনিক এবং ১০০+ উপকার মিলবে এই কোর্সে।
কোর্সের উপস্থাপনা এতই সহজ যে, ৮ বছরের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ- যেকেউই কোর্স থেকে উপকৃত হবেন
মডার্ন সাইকোলজি ও নিউরোসায়েন্সের টেকনিক প্রয়োগে এই কোর্সের ডিজাইন ও উপস্থাপনা এত সহজ আর আকর্ষণীয় যে, ৮ বছরের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ- যে-কেউই এই কোর্স করে খুব সহজেই মেডিটেশন শিখতে এবং তা প্রয়োগ করে নিরাময় প্রশান্তি ও সাফল্য লাভ করতে পারবে। এতটাই সার্বজনীন এর শিক্ষা যে, কোর্স করে একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক যেমন উপকার খুঁজে পান, তেমনি উপকৃত হন নিরক্ষর মানুষও।
মাস্টার কী দিয়ে যেমন যে-কোনো তালা খোলা যায়, তেমনি কোয়ান্টাম মেথড কোর্সের সূত্র কাজে লাগিয়ে আপনি সমাধান করতে পারবেন আপনার সমস্যাবলী।
কোর্সে এসে মেডিটেশন করে মন যখন প্রশান্ত হবে এবং মাথা হবে ঠান্ডা তখন আপনি আপনার ব্রেনকে সবচেয়ে ভালভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। আর তখনই সম্ভব মনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে-কোনো যৌক্তিক চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর। আর তা মাত্র ৪ দিনেই!