published : ২৯ আগস্ট ২০১৫
একজন ভালো শিক্ষার্থী এবং একজন খারাপ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে মূল পার্থক্যটি কোথায় জানেন? দৃষ্টিভঙ্গিতে। আসলে পড়ালেখায় সাফল্য পেতে হলে প্রথমেই আপনাকে মুক্ত হতে হবে ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে। অর্জন করতে হবে মুক্ত বিশ্বাস, জানতে হবে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, করতে হবে সঠিক করণীয়।
শিক্ষাজীবনে ব্যর্থতার মূলে এমন কিছু ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি এবং এর বিপরীতে সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গিগুলো কী হতে পারে, আসুন জেনে নিই—
এবারও ভালো গ্রেড পেলাম না। সবই কপাল! আসলে আমাকে দিয়ে আর হবে না। এর পরিবর্তে ভাবুন, ব্যর্থতা-সাফল্যের চাবিকাঠি। পড়ুন- ‘সাফল্য ব্যর্থতা : পার্থক্য শুধু বিশ্বাসে’
ভালো রেজাল্ট করতে হলে জিনিয়াস হওয়া প্রয়োজন। আমি তো আর জিনিয়াস না। আমাকে দিয়ে কি আর ভালো কিছু হবে? সাধারণ মেধা দিয়ে কীভাবে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব এটা জানতে পড়ুন- ‘ভালো রেজাল্ট ! ওরে বাবা জিনিয়াসরাই পারে কেবল !’
পড়ায় আমার একটুও মন বসে না। আর পড়লেও কিছু মনে থাকে না। ভাবুন- কীভাবে পড়লে আপনার মনে থাকবে। পড়ুন- ‘মনে রাখার কৌশল’
বাবার মতে আমি একটা গাধা। ব্রেন বলে আমার মাথায় কিছু নাই। আসলে বাবা ঠিকই বলে। অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে নয়; বরং নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ভাবতে শিখুন….. পড়ুন- ‘আপনিও পারবেন’
স্যার বলেছেন, তুই কীভাবে পারবি? তোর তো রন্ধ্রে রন্ধ্রে আলসেমি। নতুন করে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পাওয়ার জন্যে পড়ুন- ‘আলস্য দ্য ডেস্টিনেশন হেল’
এত পড়ালেখা করে কি হবে? এত কষ্ট করে না হয় একটা ভালো রেজাল্ট পাব। বিনিময়ে আর কী মিলবে! পড়ালেখা করে আসলেই কী মিলবে এজন্যে পড়ুন- ‘আপনি কি সত্যিই চান’
বুয়েট/মেডিকেল/বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই নি। আমার জীবন ব্যর্থ। যদি এই ব্যর্থতাকে ভিত্তি করে আপনি সাফল্যের আত্মকাহিনী গড়তে চান, তবে পড়ুন- ‘ব্যর্থতার বিবমিষা’
পরীক্ষা দিয়ে কী আর হবে! এই সাবজেক্টে কি জিপিএ ‘এ’/ ফার্স্টক্লাস পাওয়া যায়? পরীক্ষাভীতির কারণ জানার জন্যে পড়ুন- ‘ছাত্রজীবন সুখের জীবন যদি না থাকত’……
এত সমস্যা নিয়ে কি ভালো করা যায়? শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়, এটা জানতে পড়ুন- ‘সমস্যা থেকে সম্ভাবনায়’
এত পড়েও কিছু হলো না। আমার কপালটাই খারাপ। এ জাতীয় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে পড়ুন- ‘না’ থেকে ‘হাঁ’