হতে হবে জীবনেও ১ম

published : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১

 একের পর এক প্রতিযোগিতায় জিতে, খ্যাতি পুরস্কার আর ভক্ত অনুরক্তের ভীড়ে যুবক তীরন্দাজ এত বেশি অহংকারী হয়ে উঠল যে গুরুকেও চ্যালেঞ্জ করে বসল। বহুদূর থেকে নিশানার ঠিক মাঝখানে তীর ছোড়ার পর ২য় তীর ছুঁড়ে সেটাকেও দু‘ভাগ করে ফেলতে পারে সে। দৃপ্তভঙ্গিতে গুরুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল আপনি কি এমনটি পারবেন? গুরু কিছুই বললেন না।

একদিন শিষ্যকে নিয়ে তিনি চললেন পাহাড়ের দিকে। অনেকটা পথ যাওয়ার পর এসে থামলেন পাহাড়ের ওপরের একেবারে শেষ মাথায়। এগুতে হলে এখন যেতে হবে ঐ দূরের পাহাড়ে। কিন্তু মাঝখানে এক খরস্রোতা নদী, ভয়ঙ্কর গর্জনে বয়ে চলেছে অজানার উদ্দেশ্যে। একটাই উপায়। আর তাহলো দুই পাহাড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে যে গাছের কাণ্ডটি তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া। অমসৃণ এবং গোলাকার নড়বড়ে ঐ গাছের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতেও যেকোনো বীরপুরুষের আত্মা খাঁচাছাড়া হয়ে যাবে। সেখানে শিষ্যকে বিস্মিত করে দিয়ে গুরু গাছের মাঝখানে চলে গেলেন এবং স্থির দাঁড়িয়ে নিশানা করলেন বহুদূরের এক গাছের আগার এক ছোট ডালকে। মুহূর্তেই গিয়ে বিঁধল নিশানায়। গুরু এবার আমন্ত্রণ জানালেন শিষ্যকে। কিন্তু এভাবে নিশানা করা দূরে থাক গাছের ওপর গিয়ে পৌঁছবে কীভাবে তা ভেবেই সে কাঁপতে লাগলো ভয়ে। গুরু তখন বললেন, হাতের ওপর তোমার দখল এসেছে ঠিকই, কিন্তু মনের ওপর নয়। দক্ষ তীরন্দাজ হতে হলে তোমাকে আরো সাধনা করতে হবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী, ক্লাসে প্রথম হওয়ার গুরুত্ব আপনি বুঝেছেন। জেনেছেন এর প্রক্রিয়া। কিন্তু এ প্রাপ্তি অর্থহীন হয়ে যাবে যদি না জীবনে প্রথম হওয়ার প্রক্রিয়ায় শামিল হতে পারেন। আর সেজন্যে আপনাকে জানতে হবে জীবনে প্রথম হওয়ার সূত্র।
জীবনে ১ম = দক্ষতা + সততা + মানবিকতা + সঙ্ঘবদ্ধতা > আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু > সবার আশ্রয় ও ভরসাস্থল