মন বিয়োগ যোগাযোগ

মন-যোগাযোগ=মনোযোগ। বুঝলেন না?

পাবলো পিকাসোর একটা কথা আছে- ‘আমি যখন স্টুডিওতে ঢুকি তখন দেহটাকে দরজার বাইরে রেখে আসি। অর্থাৎ দেহের যতগুলো ইন্দ্রিয় সবগুলো ছাপিয়ে যখন মনকে একাগ্র করতে পারবেন তখনই মনোযোগী হয়ে উঠবেন। একটু কঠিন হয়ে গেল, না?

আচ্ছা ধরুন, কোনো লেখার কাজ নিয়ে বসেছেন। মনে হলো বসাটা ঠিক জুতসই হয় নি। একটু নড়ে চড়ে বসলেন। এর সাথে আপনার মনোযোগের একটা অংশ অপচয় হলো। একটুপর দেখা গেল এখানে ওখানে চুলকাচ্ছে। অবচেতনভাবেই আপনার হাত ব্যস্ত হয়ে গেল। আর মনোযোগের আরেকটু অপচয় হলো। এখন হঠাৎ মনে পড়লো গতরাতে দেখা টিভির এক অনুষ্ঠানের কথা। এরপর মনে হলো আগামীকাল এক বন্ধুর জন্মদিনের কথা। বাইরের আওয়াজ মনকে ওখান থেকে নিয়ে গেল আরেক স্থানে। এতকিছুর পর মনোযোগের কতটুকু অবশিষ্ট থাকে?

মনোযোগের প্রকৃতিই হচ্ছে বিক্ষিপ্ত বিচরণ। স্বাভাবিক মনোযোগ কোনো বিষয়ে কখনও কয়েক সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হয় না, যদি না এর পেছনে সক্রিয় চেষ্টা থাকে। আর একবার যদি সক্রিয় মনোযোগ আনতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। ধরুন, বৃত্ত নিয়ে চিন্তা করছেন। দেখবেন সব জায়গায় বৃত্ত লাফালাফি করছে। কাপের গোড়া, পেন্সিলের মাথা, স্ক্রুর প্রান্ত, এমনকি নিজের কানদুটো- সবই বৃত্ত মনে হবে। কোনো কিছু খোঁজার জন্যে মনোযোগ নিবদ্ধ করুন, দেখবেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা পাচ্ছেন। শুধু জানতে হবে আপনি কী খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

অতএব চলুন খুঁজতে শুরু করি- আমাদের ‘মিশন মনোযোগ’।