মনোযোগের প্রতি মনোযোগী হোন

নাসিরউদ্দীন হোজার সেই গল্পটা জানেন তো? একদিন ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে কী যেন খুঁজছেন হোজা। তার ব্যাকুলতা দেখে পথচারী ভাবল একটু সাহায্য করা যাক। ‘তা, কী হারিয়েছ হোজা? জিজ্ঞেস করল। ‘আমার একটা মুদ্রা। হাঁটার সময় ঐ দূরে কাদায় ফেলে দিয়েছি, আর পাচ্ছি না-” তো কাদায় ফেলে ওখানে না খুঁজে এই রাস্তায় খুঁজছো কেন? - বিস্ময়ে শুধালো পথিক। ‘আরে ওখানে তো আলো নেই, এখানেই বরং খুঁজতে সুবিধা- হেসে বললো আমাদের হোজা।

ফাঁকটা কোথায় বুঝলেন? যদি বেশি সুবিধা চান তো মনকে কখনো জায়গামতো স্থির করতে পারবেন না। আরো বাতাসের জন্যে জানালার পাশে পড়ার টেবিল রাখলে বইয়ের পাতার চাইতে লাল নীল গাড়ির দিকেই মন বেশি যাবে। কানে হেড ফোন লাগিয়ে অংক করতে যাবেন তো ২+২=৫ই বেরোবে, কোনও সন্দেহ নেই। অতএব মনোযোগের প্রতি মনোযোগী হোন। কারণ নিষ্ক্রিয় মনোযোগ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হলেও সক্রিয় মনোযোগের বেলায় সবসময় মানসিক শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। এজন্যে সচেতনভাবে মনকে বোঝান যে ‘যা করতে যাচ্ছি তা গুরুত্বপূর্ণ। অতএব এদিক-সেদিক যাওয়া চলবে না।

সেইসাথে মনোযোগে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো থেকে দূরে থাকুন-

  • সম্ভব হলে আলাদা রুমে পড়তে বসুন যেখানে টিভির আওয়াজ পৌঁছাবে না।
  • মোবাইল ফোন সরিয়ে রাখুন। ভালো হয় সাইলেন্ট মোডে দিলে বা বন্ধ করে রাখলে।
  • সাদা দেয়ালের মুখোমুখি বসুন। কোনো পেইনটিং- শো পিস থাকলে তা সরিয়ে রাখুন।
  • খেয়াল করুন কোন সময়টিতে কাজ করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন- দিনে না রাতে। ব্যক্তিগত দেহছন্দ অনুসরণ করলে মনোযোগ দেয়া সহজ হবে।