published : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১
১. মনোযোগ ও দৃষ্টি সবসময় বাছাই করে চলে।
যেমন, যেকোনো মুহূর্তে আপনি দৃষ্টিসীমার অংশবিশেষ মাত্র দেখছেন। এখন এই লেখাগুলো আপনার কাছে খুব স্পষ্ট, আশেপাশের জিনিসগুলো ঝাপসা। সবকিছু বুঝতে হলে আপনাকে এক এক করে সবকিছুর দিকে তাকাতে হবে। একইভাবে মনোযোগ দিতে হলে প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে খেয়াল করতে হবে। এ ব্যাপারটিকেই আমরা মনোযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি।
এজন্য যেকোনো একটি সময় চারপাশের দিকে নজর দিন। বাসে বসে আছেন, দেখুন অন্য সহযাত্রীদের। প্রত্যেকের দিকে আলাদা আলাদাভাবে নজর দিন। মজার কোনো বিষয় থাকলে লক্ষ্য করুন। এবার বাস থেকে নামার পর গন্তব্যে এসে ৫ মিনিটি সময় বের করে নিন। মনে করতে চেষ্টা করুন কী কী দেখেছিলেন। মজার কিছু দেখে থাকলে হাসুন। খেয়াল করুন কতটুকু মনে করতে পারছেন। সহযাত্রীদের চেহারা-জামার রং কী মনে পড়ছে? এই অনুশীলনী কয়েকদিন করলেই আপনার স্বতঃস্ফূর্ত মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা বাড়বে।
২. এ পদ্ধতিটার নাম হলো দুই মিনিট মনোযোগ।
প্রথমে শরীর শিথিল করে বসুন। বড় সেকেন্ডের কাঁটাযুক্ত একটা ঘড়ির দিকে মনকে একাগ্র করুন। এমনভাবে মনোযোগ দিন যেন সেকেন্ডের কাঁটা ছাড়া এই মহাবিশ্বের আর কিছু নেই। অন্য কোনো চিন্তা এসে গেলে আবার মনকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ফিরিয়ে আনুন। কবার মন বিচ্ছিন্ন হয়েছিল সে সংখ্যাটি হিসেব করুন।
এ প্রক্রিয়াটির মজা হলো যত অনুশীলন করবেন প্রথমদিকে মন বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংখ্যাটা বাড়তে থাকবে। কারণ আসলে আমাদের মন এতই বিক্ষিপ্ত থাকে যে প্রথম প্রথম আমরা বুঝেই উঠতে পারি না যে মনোযোগ কোথায়। এভাবে সপ্তাহে ৫/১০ মিনিট চর্চা করলে মনোযোগের উল্লেখযোগ্য উন্নতি অনুভব করবেন।