published : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১
একটাই তো জীবন। সুখ সাফল্য আনন্দ খ্যাতি পার্থিব বা আত্মিক যা কিছু অর্জন তা তো এই এক জীবনেরই ফসল। তাহলে রোগ শোক অভাব ব্যর্থতা হতাশাকে কেন প্রশ্রয় দেবেন? যেখানে আপনি নিজেই পারেন নিজের সবকিছু বদলে দিতে। আর জীবন বদলানোর জন্যে, সফল জীবনের পথে যাত্রা শুরুর জন্যে অনেক প্রস্তুতির কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থ-বিত্ত, বংশমর্যাদা, শান-শওকত, জ্ঞান-গরিমা, ডিগ্রি-পদবি না থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। প্রয়োজন শুধু মুক্ত বিশ্বাসের। মুক্ত বিশ্বাসই বদলে দিতে পারে আপনার জীবনের সবকিছুকে।
আমি পারি, আমি পারব- ছোট্ট একটি বাক্য। কিন্তু এই ছোট বাক্যটির মধ্য দিয়ে বিশ্বাসের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটে সেটাই প্রভাবিত করে আপনার সকল কর্মকাণ্ড। ধরুন, আপনার বাড়ির সামনের রাস্তায় ১০০ ফুট লম্বা এবং ১ ফুট চওড়া ৬ ইঞ্চি পুরু একটি তক্তা বিছিয়ে বলা হলো, এর ওপর দিয়ে হেঁটে যান, আপনি কোনো দ্বিতীয় চিন্তা ছাড়াই হেঁটে যাবেন। কেউ বা হয়তো দৌড়ও দেবেন। কারণ আপনি বিশ্বাস করেন, আপনি জানেন যে, আপনি পারবেন। আপনার পা ফেলার জন্যে ১ ফুট চওড়া জায়গাই যথেষ্ট।
কিন্তু এ তক্তাটাই যদি রাস্তার এপারের বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ওপারের বহুতল ভবনের ছাদে লাগিয়ে দেয়া হয়, আপনি এই ১০০ ফুট দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবেন না। এক পা দুপা এগোনোর পরই হাত পা কাঁপতে শুরু করবে, মাথা ঘুরতে শুরু করবে। কাঁপতে কাঁপতে একসময় হয়তো পড়েই যাবেন, একাকার হয়ে যাবে আপনার হাড়-মাংস।
অথচ চোখের সামনেই আপনি দেখছেন একজন রাজমিস্ত্রি বাঁশ বেয়ে তরতর করে ওপরে উঠে যাচ্ছে। ৮/১০ তলা ভবনের দেয়াল প্লাস্টার করছে দুই বাঁশের মাঝখানে বিছানো এক ফুট চওড়া তক্তার ওপর দাঁড়িয়ে। একজন কাঠমিস্ত্রি পাতলা কাঠের কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে টিনের চাল বা ছনের ছাউনি লাগাচ্ছে। রাজমিস্ত্রি বা কাঠমিস্ত্রি ৮/১০ তলা ভবনের প্লাস্টার করতে গিয়ে বা টিনের চাল লাগাতে গিয়ে পড়ে গেছে, এমন কথা আপনি কখনো শুনেছেন? শোনেন নি। কেন? কারণ সে বিশ্বাস করে ৭০/৮০/১০০ ফুট ওপরের কাঠের তক্তায় দাঁড়িয়ে সে দেয়াল প্লাস্টার করতে পারবে, ছাদে উঠেও অনায়াসে টিন লাগাতে পারবে। বিশ্বাসই তার মধ্যে সৃষ্টি করেছে এই স্বতঃস্ফূর্ত কর্মদক্ষতা।
স্বাভাবিকভাবে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, বিশ্বাস কীভাবে কর্মদক্ষতা সৃষ্টি করে। এর বৈজ্ঞানিক উত্তর খুব সহজ। বিশ্বাসের প্রথম প্রভাব পড়ে মনে। মন প্রোগ্রাম পাঠায় মস্তিষ্কে। আর মস্তিষ্ক আপনার পারার ইচ্ছাটা বাস্তবতায় রূপান্তরিত করে।
আবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন- মন কী? নোবেল পুরস্কারবিজয়ী নিউরোসায়েন্টিস্ট রজার স্পেরি 'Mind, Brain and Humanist Values' নিবন্ধে ৫০ কোটি বছরের বিবর্তনের সর্বোচ্চ অর্জন’ বলে অভিহিত করেছেন মনকে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী স্যার জন একল্স Evolution of the Brain : Creation of the Self' গ্রন্থে মনকে বর্ণনা করেছেন আত্মসচেতন, সক্রিয়, অনুসন্ধিৎসু স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ারূপে। আর বিখ্যাত কানাডীয় নিউরোসার্জন ডা. ওয়াইল্ডার পেনফিল্ড তার 'The Mystery of the Mind' ' গ্রন্থে আরো স্পষ্ট করে বলেছেন ‘মস্তিষ্ক হচ্ছে কম্পিউটার যা মনের প্রোগ্রাম অনুসারে পরিচালিত হয়।’ তাই আমরা নিঃসংশয়ে বলতে পারি- মন এক বিশাল স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া যা পরিচালিত করে মস্তিষ্ককে। আর মস্তিষ্ক পরিচালিত করে আপনার সকল শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমকে।
মস্তিষ্ককে নিউরোসায়েন্টিস্টরা সবচেয়ে আধুনিক কম্পিউটারের চেয়েও কমপক্ষে ১০ লক্ষ গুণ শক্তিশালীরূপে বর্ণনা করেছেন। মস্তিষ্ক নিয়ে যত গবেষণা করছেন ততই বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারছেন বিশাল সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে তীরে ধেয়ে আসা ঢেউই কেবল তারা গুণছেন। এমনকি মস্তিষ্কের মাত্র একটি বিষয়ও যদি আমরা দেখি তাহলেও এর বিশাল কর্মক্ষমতা ও প্রতিটি মানুষের অফুরন্ত সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারবো।
মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়ন নিউরোন সেল রয়েছে। প্রতিটি নিউরোন ১ হাজার থেকে ৫ লক্ষ নিউরোনের সাথে সংযুক্ত। প্রতিমুহূর্তে কমপক্ষে ১০০ ট্রিলিয়ন সংযোগ ঘটছে মস্তিষ্কে। প্রতিটি নিউরোন মস্তিষ্কের যেকোনো নিউরোনের সাথে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম। কতগুলো সংযোগ সম্ভব? যুক্তরাষ্ট্রে মেডিটেশন সংক্রান্ত গবেষণার অগ্রপথিক হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রফেসর ডা. হার্বার্ট বেনসন খুব চমৎকারভাবে বলেছেন, ‘সংখ্যাটি হবে : ২৫,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০, ০০০,০০০,০০০। এটাকে অন্যভাবেও দেখতে পারেন- আপনি আপনার টেবিলে একটার ওপর একটা সাধারণ সাইজের টাইপ করার কাগজ রাখুন। রাখতে থাকুন। এটা উঁচু হতে থাকবে। আপনি যদি আপনার মস্তিষ্কের সম্ভাব্য নিউরোন সংযোগ-সংখ্যার সমসংখ্যক কাগজ রাখতে যান, তাহলে কাগজের ঢিবি উঁচু হতে হতে চাঁদ পার হয়ে সৌরজগৎ পার হয়ে গ্যালাক্সি পার হয়ে যাবে। এমনকি আমাদের জানা মহাবিশ্বের সীমানা (১৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ) পার হয়ে যাবে। তারপরও কাগজ রয়ে যাবে।’
ড. বেনসনের এ বিবরণ থেকে মানব মস্তিষ্কের অফুরন্ত সম্ভাবনা সম্পর্কে আমরা কিছুটা ধারণা করতে পারি। নিউরোসায়েন্টিস্টরা সর্বশেষ গবেষণায় দেখেছেন, আপনি যখন আপনার মস্তিষ্কে নতুন বিশ্বাস, নতুন ধারণা, নতুন স্বপ্ন প্রদান করেন, তখন মস্তিষ্কের নিউরোনে নতুন সংযোগপথ রচিত হয়। একই বিশ্বাস, একই স্বপ্ন, একই ধারণা, একই কল্পনার পুনরাবৃত্তি এই সংযোগপথকে রাখে ব্যস্ত ও সক্রিয়। মস্তিষ্কের বিশেষ বিশেষ অংশ উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। বদলে যায় মস্তিষ্কের কর্মকাঠামো। আপনার সকল মনোদৈহিক প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে শুরু করে লক্ষ্যের বাস্তবায়নে। সহজ-স্বতঃস্ফূর্ততায় আপনি আপনার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। মুক্ত বিশ্বাসই আপনার সকল কর্মকাণ্ডে এভাবে সূচিত করে এই মৌলিক পরিবর্তন।
মুক্ত বিশ্বাস যদি সবকিছু এত সহজে বদলে দেয়, তাহলে দুর্দশাগ্রস্তরা, অভাবগ্রস্তরা, রোগ-শোকে ভারাক্রান্তরা কেন এই সহজ পথকে সহজে গ্রহণ করে না? কারণ খুব সহজ। তারা বিশ্বাস করে নেতিবাচকতায়। বিশ্বাস করে দুর্ভাগ্যে। বিশ্বাস করে অলীকে। বিশ্বাস করে প্রতারকদের। বিশ্বাস করে মূর্খদের। বিশ্বাস করে শয়তানকে। আর তাদের এই বিশ্বাস স্বতঃস্ফূর্ত| ভালো কোনোকিছুকে তারা সহজে বিশ্বাস করতে পারে না। পারে না ইতিবাচক ভালো জিনিসকে গ্রহণ করতে। কল্যাণকর ভালো জিনিস দেখলেই তাদের মনে সন্দেহ জাগে। এত ভালো হয় কীভাবে! এত সহজ! ধর্মের ব্যাপারে এদের প্রশ্ন আছে। অধর্মের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। সত্যের ব্যাপারে এদের প্রশ্ন আছে। কিন্তু প্রচলিত মূর্খতা বা অবিদ্যার ব্যাপারে এদের কোনো প্রশ্ন নেই। ঈশ্বরের ব্যাপারে এদের মনে প্রশ্ন আছে। শয়তানের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। একজন নাস্তিককে জিজ্ঞেস করুন। দেখবেন সে ঈশ্বর সম্পর্কে এক হাজারটা প্রশ্ন করছে। তাকে জিজ্ঞেস করুন- শয়তান সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন আছে? দেখবেন তার মুখে কোনো কথা নেই।
দুর্দশাগ্রস্তরা কেন দুর্দশামুক্ত হতে পারে না? এককথায় বলা যায়, এরা নেতিবাচক কথায় বিশ্বাস করে বেশি। নেতিবাচক কথায় সহজে প্রভাবিত হয়ে যায়।
কয়েক বছর আগের ঘটনা। কোর্সের শেষদিন সবাই চলে যাওয়ার পরও এক ভদ্রলোক অপেক্ষা করছেন। সুযোগ বুঝে কাছে এসে দুহাত জড়িয়ে ধরলেন। কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। একটু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। চোখেমুখে একধরনের কৃতজ্ঞতা। একটু স্থির হয়ে বললেন, আমার এত বছরের সমস্যা যে এত সহজে সমাধান হয়ে যেতে পারে আমি স্বপ্নেও ভাবি নি। তার কথায় জানলাম, ভদ্রলোক শান্তিনগর এলাকায় থাকেন ২০ বছর হবে। ফাউন্ডেশন অফিসের সামনের রাস্তা দিয়েই আসা-যাওয়া করেন প্রতিদিন। জিজ্ঞেস করলাম, এত বছর পরে কেন কোর্সে এলেন? আরো আগে এলে তো অনেক আগেই আপনি ভালো থাকতে পারতেন।
একটু ইতঃস্তত করার পর বললেন, দেখুন নানারকম কথা শুনেছি চারপাশ থেকে। একেকজন একেকরকম কথা বলেছেন। মাঝে মাঝে কৌতূহল যে একেবারে হয় নি তা-ও না। একবার ভেবেছিলাম নিজে একটু খোঁজখবর নেবো, কিন্তু পরে নাপিতের কথা শুনে আর সাহস হয় নি।
বিস্মিত হয়ে তাকালাম তার দিকে। জিজ্ঞেস করলাম, মেডিটেশনের সাথে নাপিতের সম্পর্ক কী? তিনি বললেন, দেখুন মহল্লার নাপিত। বহু বছর ধরে চুল কাটাই তার কাছে। একদিন চুল কাটাতে গিয়ে কথায় কথায় বললাম, দেখি একবার কোয়ান্টামে যাবো। সে হা হা করে উঠলো- স্যার! আর যা-ই করেন ঐখানে যাবেন না। শুনছি ঐখানে গেলে সব সন্ন্যাসী হইয়া যায়। ঈমান আমল সব নষ্ট হইয়া যায়। একেবারে বেদাতি কাজ। নাপিতের কথা শুনে মনে মনে বললাম- এমনিই কষ্টের শেষ নাই। আছে একটা ঈমান। তা-ও যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে আর থাকবে কী? একটু হাসলাম। জিজ্ঞেস করলাম, এখন কী মনে হচ্ছে, ঈমান আছে না নাই? ভদ্রলোক বললেন, আর লজ্জা দিয়েন না। কোর্সে এসে শিখলাম, শোকর গোজার কীভাবে হতে হয়। গত দুইদিন নামাজে যে তৃপ্তি পেয়েছি তা সারা জীবনেও পাই নি।
স্বাভাবিকভাবেই আমার পরবর্তী প্রশ্ন হলো, তাহলে শেষ পর্যন্ত কোর্সে এলেন কীভাবে? তিনি বললেন, আমার এক বাল্যবন্ধু কিছুদিন আগে কোর্স করেছে। আমার সমস্যা দেখে সে আমাকে একরকম জোর করেই কোর্সে পাঠিয়েছে। বন্ধুর কথা বলতে বলতে তার চোখ আবার ছলছল করে উঠলো কৃতজ্ঞতায়। বললেন, সে-ই আমাকে বাঁচিয়েছে। মনে হচ্ছে বেহেশতের শান্তি। এত শান্তি আগে কখনো পাই নাই।
এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রত্যেক কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েটের ঝুলিতেই হয়তো আছে এমন অনেক ঘটনা।
দুর্দশার বৃত্তে বন্দিরা ভ্রান্ত বিশ্বাস, নেতিবাচক কথা, সন্দেহ-সংশয় দ্বারাই প্রভাবিত হয় বেশি। এরা ধর্মান্ধদের কথায়, চালবাজদের কথায়, শোষকদের কথায়, মূর্খদের কথায়, প্রতারকদের কথায়, দারোয়ানের কথায়, মুদি দোকানির কথায়, নাপিতের কথায় আরো সংশয়ী হয়ে ওঠে। নিজে অনুসন্ধান করে খোঁজখবর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার উদ্যম হারিয়ে ফেলে। আলোকিত আপনজনদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এরা এই শয়তান বা অকল্যাণের বৃত্ত থেকে বেরুতে পারে না। বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে পৃথিবীতে আসার পরও এদের সকল স্বপ্ন অধরা থেকে যায়।
তাই বুদ্ধিমান মানুষের মতো, লাখো সফল মানুষের মতো আপনিও বিশ্বাস করুন আপনিও পারবেন আপনার যেকোনো দুর্দশার বৃত্ত ভাঙতে। বিজ্ঞানী স্যার জন একল্সের ভাষায়, ‘প্রতিটি মানবীয় সত্তা অনন্য। প্রতিটি সত্তা ঐশ্বরিক সৃষ্টি। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার বাইরেও মানুষের রয়েছে আত্মিক অস্তিত্ব। তার রয়েছে আত্মসচেতন, সক্রিয় ও অনুসন্ধিৎসু মন।’ 'Brain and Conscious Experience' থেকে উদ্ধৃত। আর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে সামান্য একটু হলেও আপনি ধারণা পেয়েছেন।
অতএব সফল মানুষের মতো আপনি বিশ্বাস করুন আপনার অফুরন্ত সম্ভাবনায়, বিশ্বাস করুন সত্যে, বিশ্বাস করুন ইতিবাচকতায়, সৃজনশীলতায়, কল্যাণকামিতায়। আপনার আত্মিক ক্ষমতার সীমানা এখনো কেউ নির্ধারিত করতে পারে নি। কল্যাণশক্তির অফুরন্ত ভাণ্ডার আপনার মধ্যেই রয়েছে। বিশ্বাস করুন, মনোদৈহিক রোগগুলো থেকে আপনি নিমেষেই মুক্তি পেতে পারেন। আপনি মুক্তি পাবেন। সুস্থ জীবন আপনাকে স্বাগত জানাবে।
বিশ্বাস করুন, সারা পৃথিবী আপনার, যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাবেন। আপনি যেখানে ইচ্ছা সেখানেই যেতে পারবেন। বিশ্বাস করুন, যা চাইবেন তা-ই পাবেন। বিশ্বাস করুন অভাবমুক্ত সফল জীবন আপনার। সাফল্যের বরণমালা নিয়ে ভাগ্য আপনার জন্যে অপেক্ষা করবে।
সকল সাফল্য সকল অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে এই মুক্ত বিশ্বাস। ভ্রান্ত ধারণার শিকল ভেঙে মুক্ত বিশ্বাসে উপনীত হওয়াই হচ্ছে মানুষের আসল স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতাই আপনাকে নিয়ে যাবে আলোকিত মহিমান্বিত জীবনের পথে।