কারো সর্বনাশ কারো পৌষমাস : করোনাভাইরাস মহামারিতে যারা লাভবান

published : ৪ ডিসেম্বর ২০২০

বলুন তো ডানপাশের কোন লাইনটি X লাইনের সমান? A, B নাকি C?

ঠিক ধরেছেন, লাইন B.

সবার উত্তরই এক আসবে। কিন্তু মানুষ অনেক সময় সঠিক উত্তর জেনেও ভুলটা বলবে যখন তার আশেপাশের সবাই ভুলটা বার বার বলবে।

এরকমই একটি গবেষণা করেছিলেন মনোবজ্ঞানী সলোমন অ্যাশ । তিনি ১০/১৫ জনকে এই ছবিটি দেখান। তাদের মধ্যে ১জন বাদে বাকি সবাইকে আগে থেকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছিল যে ভুল উত্তর C বলতে। শুধু একজনকে আগে থেকে কিছু বলা হয় নি।

তো যখন সবাই C বলতে লাগল, তখন সেই একজনও আশেপাশের সবার কথা শুনে C বলতে লাগলেন, নিজের চোখে দেখা সত্যকে উপেক্ষা করে।

মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এই ব্যাপারটাকে বলা হয় হার্ড বিহেভিয়ার (Herd Behaviour). অর্থাৎ আমাদের আশেপাশের মানুষ যা করে, আমারও সেটা দেখে প্রভাবিত হই এবং কিছু চিন্তা না করে ভুল হলেও সে কাজটাই বারবার করি।

আমাদের সাধারণ মানুষের উপরও মনোবিজ্ঞানের এই সূত্র প্রয়োগ করা হয় নানানভাবে এবং প্রয়োগ তারাই করেন যারা এ থেকে লাভবান হতে পারেন।

বলা হয়েছিল, কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে, কিন্তু মারা গেছেন আসলে কত!

এবার একটু ফিরে দেখা যাক। এ বছরে মার্চ মাস থেকে কী শুরু হয়েছিল? বিশ্বজুড়ে কী তুলকালাম চলছিল করোনা নিয়ে?

টিভিতে ঘন্টায় ঘন্টায় করোনার ভয়াবহতা নিয়ে একের পর এক সংবাদ, সোশ্যাল মিডিয়াতে করোনা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড, পত্রিকায় শুধু করোনা করোনা আর করোনা। বলা হচ্ছিল যে লাখে লাখে মারা যাবে দেশের মানুষ, পৃথিবীতে মারা যাবে কোটি কোটি।

দেশে দেশে আতঙ্কিত মানুষ অনালাইনে ও সুপারশপে দ্রব্য সামগ্রী কিনে ঘরভর্তি করে ফেলল, দরজা জানালা বন্ধ করে পার করে দিল মাসের পর মাস। আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে মারা গেল অনেকে। আমাদের দেশে আমরা দেখেছি, যে ভয় আতঙ্কে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ছেলে মায়ের লাশ কাঁধে তুলেনি, বাবা যায় নি মেয়েকে দাফন করতে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে?

৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ লাখ ১২ হাজার মানুষের।

অর্থাৎ ১০ মাসে করোনায় মারা গেছে ১৫ লাখ। যেখানে পৃথিবীতে এমনিতেই প্রতিদিন দেড় লক্ষ মানুষ নানা কারণে মারা যায়!

আক্রান্ত হয়েছিল ৪ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ। যাদের মধ্যে ৪ কোটি ৫৪ লাখ মানুষই সুস্থ হয়ে গেছে! মানে ৯৭% মানুষ।

আর প্রতি লাখে কত মানুষ মারা গেছে তার হিসাব দিয়েছে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতি একলাখে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে বেলজিয়ামে ১৪২ জন। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে স্পেন, প্রায় ৯৫ জন।

মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতি দেশ ভারতে প্রতি একলাখে মাত্র ১০ জন মারা গিয়েছেন। আর জন হপকিন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ১ লাখে মারা গিয়েছেন মাত্র ৪ জন মানুষ।

এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের দেশে করোনা আতঙ্ক প্রচার ছিল কতটা অবাস্তব!

কেন এই আতঙ্ক প্রচার?

কিন্তু কেন এই আতঙ্ক প্রচার? কেন জনসাধারণকে আতঙ্কে দমিয়ে রাখা? কেন আতঙ্কিত হওয়াটাই হঠাৎ হয়ে গেল স্বাভাবিক?

আমরা আশেপাশেই দেখেছি যে যারা আতঙ্কিত ছিল না, তারাও বাকি সবার আতঙ্ক দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এমন অনেকেই আছে যারা হয়তো করোনার ব্যাপারে ঠিকমতো জানেও না, কিন্তু তারাও আতঙ্কিত হয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে থেকেছে মাসের পর মাস।

সলোমন অ্যাশের গবেষণায় আমরা দেখছি - কেউ যদি নিজ থেকে করোনাকে ভয়ও না পান আশেপাশের সবার আতঙ্কও তাকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।

কিন্তু কারা করেছে? এবং কেন করেছে? কাদের স্বার্থ ছিল এর পেছনে?

এর উত্তরও খুব সুস্পষ্ট, যদি আমরা আমাদের চোখ কানটাকে খোলা রাখি।

পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের জন্যে করোনা ছিল প্রফিটেবল

মহামারির ধোঁয়া তুলে লকডাউন আরোপের মাধ্যমে যখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে তখন শীর্ষ মুনাফা লাভকারী কোম্পানিদের কার্যক্রম কিন্তু ঠিকই চলছিল।

আমাজনের মতো বড় কোম্পানিগুলো তাদের কাজ বন্ধ তো করেই নি, উল্টো জোরদার করেছে। করোনকালে আমাজন এক লক্ষ ডেলিভারি এবং ওয়্যারহাউজ কর্মী নিয়োগ দেয়। এই মহামারি যদি এতই প্রাণঘাতী হবে তাহলে তারা কেন কার্যক্রম বন্ধ করে নি! আর যদি প্রাণঘাতী হয় তাহলে বলতে হবে কর্মীদের জীবনের চেয়ে ব্যবসায়ের মুনাফাই তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষ যত আতঙ্কিত হয়েছে, আতঙ্কিত ভীত উদ্বিগ্ন হয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করেছে, ঘরে বসে থেকে ভার্চুয়াল ভাইরাসে আরও বেশি আসক্ত হয়েছে, তত বেশি লাভ গুণেছে এই টেক জায়ান্ট ও শীর্ষ ধনীরা।

করোনার এই সময়ে পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের সম্পদের পরিমাণ কী পরিমাণ বেড়েছে, দ্যা গার্ডিয়ানের এক নিবন্ধে উঠে এসেছে- Coronavirus has widened America's vast racial wealth gap, study finds

“করোনা ধনী এবং গরিবের মধ্যে দূরত্ব আরো বাড়িয়েছে। আমেরিকায় ধনীরা আরো ধনী হয়েছে, গরিব আরো গরিব হয়েছে।

দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকা আরো প্রকাশ করে যে করোনাকালে আমেরিকার ৬৪৩ বিলিয়নেয়ারদের মুনাফা বেড়েছে গড়ে ২৯%, যেখানে লাখো লাখো আমেরিকান চাকরিচ্যুত হয়েছে।

শীর্ষ ধনীদের মোট মুনাফার হিসাব করলে দাঁড়ায় ৮৪৫ বিলিয়ন। অর্থাৎ এসময়ে তাদের দৈনিক লাভ হয়েছে গড়ে ৪.৭ বিলিয়ন এবং প্রতি মাসে ১৪১ বিলিয়ন। তাদের আগে সম্পদের পরিমাণ ছিল ২.৯৫ ট্রিলিয়ন যা এখন বেড়ে হয়েছে ৩.৮ ট্রিলিয়ন। আর এই একই সময়ে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান চাকরি হারিয়েছে।

শীর্ষে আছে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তার একার সম্পদের পরিমাণই বেড়েছে ৬৫%!

৭৩.২ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ১৮৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর পরেই আছে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। করোনাকালীন সময়ে তার সম্পদ ২৭৪% বেড়ে হয়েছে ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ ৮৪% বেড়ে ৪৫.৯ বিলিয়ন থেকে হয়েছে ১০০.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠা বিল গেটসের সম্পদ ১৯% বেড়ে হয়েছে ১১৬ বিলিয়ন ডলার।

অথচ করোনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার খতিয়ান দেয় ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং কোম্পানি ম্যাকেঞ্জি। তাদের গবেষণায় উঠে আসে, আমেরিকাতে প্যান্ডেমিকের প্রথম ৪ মাসে আর্থিক ক্ষতির কারণে ১৪ – ১৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

Global Slowdown এর জন্য বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানিগুলো সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উন্নত অর্থনীতির চেয়ে কম উন্নত অর্থনীতিতে বেশি ক্ষতি হবে।

টেলিকমিউনেকশন্স

করোনার এসময়ে লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে। ফলে আমাদের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেলিকমিউনেকশন্স প্রতিষ্ঠানগুলোই হলো সবচেয়ে লাভবান গোষ্ঠী।

হোম ফাইবার ব্যবহার শতকরা ২০% বেড়েছে। আর বড় বড় টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানিগুলো এটার পুরো সুবিধাই ঘরে তুলেছে।

ই-কমার্স

ই-কমার্স বা ই-বিজনেসের জন্যে এক স্বর্ণসময় ছিল করোনা। খাবার ডেলিভারির অ্যাপ ‘ফুডপান্ডা’, শপিং সাইট ‘প্রিয় শপ’ অথবা অনলাইন প্লাটফর্ম ‘পাঠাও’-এসময় দেশে এই ই-কমার্স বিজনেসগুলো অনেক ব্যবসায় করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনার আগে দেশে অনলাইন কেনাকাটায় মাত্র ১০% মানুষ অংশগ্রহণ করলেও করোনাকালে তা বেড়েছে ৫০ গুণ।

অনলাইন খাবারের ব্যবসা, কুরিয়ার সার্ভিস- এদেরও ব্যবসা বেড়েছে অনেক

সুরক্ষা সামগ্রী

করোনার এসময়ে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সৃষ্টি হয়েছিল যে পণ্যের তা হলো সুরক্ষা সামগ্রী- মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস, ফেস মাস্ক এবং পিপিই। পিপিই বা পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্টস নিয়ে মানুষের ধারণা এত কম ছিল যে প্রথমদিকে ৫০০ টাকার রেইনকোটকেও পিপিই গাউন বলে ৫০০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে- এমন কথাও শোনা গেছে।

মাস্ক হলো এ ধরনের আরেকটি পণ্য। যেখানে সাধারণ কাপড়ের মাস্কই সাধারণ মানুষের জন্যে যথেষ্ট ছিল সেখানে সার্জিকেল মাস্ক, এন-৯৫, কেএন-৯৫, ইত্যাদি নানা ধরনের মাস্ক তাদের ন্যায্য দামের চেয়ে ১০/২০ গুণ দামে বিক্রি হয়েছে প্রথম কিছু সময়।

আর পরে যখন মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলো বিভিন্ন জায়গায় তখন ফ্যাশন ব্যবসায়ীরা শুরু করল মাস্ক নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইন। কে তার পোশাকের সাথে মিলিয়ে কত দৃষ্টিনন্দন মাস্ক পরতে পারে শুরু হলো সেই প্রতিযোগিতা। ভারী হলো ব্যবসায়ীদের পকেট।

মজার ব্যাপার হলো- তথাকথিত সর্বোচ্চ সুরক্ষার এন-৯৫ মাস্কের পোর সাইজ (যে ছিদ্র দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়) ৩০০-৮০০ ন্যানোমিটার। অথচ করোনাভাইরাসের আকৃতি হচ্ছে ১০০ ন্যানোমিটার। কাজেই মাস্ক পরে করোনাভাইরাস ঠেকানো যাবে বলে মনে করেন যারা তারা ভুল বলেন বা ভাবেন।

ওষুধ আর ভ্যাকসিন

ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলো কোভিড-১৯-এর এ সময় ব্যবসার জন্য স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েছে। বিশ্ববাসীরও ওষুধের প্রয়োজন আর এই করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর পর ওষুধের প্রয়োজন হয়ে পড়ে দ্বিগুণ। ‘ফার্মা : গ্রিড, লাইস অ্যান্ড দ্য পয়জনিং আমেরিকা’র লেখক জেরাল্ড পসনার বলেন, ‘কোম্পানিগুলো সবাই প্রতিযোগিতার মধ্যে আছে। এখানে যে জিতবে তার লাভ হবে সবচেয়ে বেশি। বিক্রি ও লাভ দুটিই বৈশ্বিক মহামারীতে এই শিল্প খাতে ব্লকবাস্টারের মতো। মহামারী যত খারাপের দিকে যাবে, তত তাদের ব্যবসায় লাভ হবে।

আছে ভ্যাকসিন। ইতোমধ্যেই ফাইজার এবং অক্সফোর্ডের দুটো টিকা নিয়ে কথা হচ্ছে। কোনটা কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে তার ওপর নির্ভর করছে এর দাম। অক্সফোর্ডের টিকার দাম যেখানে ৫ ডলার সেখানে ফাইজারের টিকার দাম পড়ছে ২০ ডলার। আর সুরক্ষা যেখানে প্রথমটার ৭০ ভাগ সেখানে পরেরটার ৯০ ভাগ।

প্যানিক বায়িং এবং মনোবিজ্ঞান

বিশেষজ্ঞরা বলেন যে যখন মানুষের সামনে নাটকীয়ভাবে কোনো ভয় বা আতঙ্ককে উপস্থাপন করা হয়, তখন তারাও সেটার সাথে নাটকীয় কিছু করে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে। সাধারণ উপায়ে তারা সেটার সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না।

যেমন করোনার সময় খাপ খাওয়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় ছিল কেবল হাত ধোয়া। কিন্তু মানুষ বাজারে মার্কেটে কেনাকাটার ধুম তুলে পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করেছে। এর ফলে পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে, চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অনলাইনে অফলাইনে।

বৃটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ক্লিনিকেল মনোবিদ স্টিভেন টেলর বিবিসিকে বলেন,

“এরকম পরিস্থিতিতে মানুষ অনুভব করে যে ক্রাইসিস যত বড়, তাকে সেই হারে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে। আমরা জানি যে এই সময়ে হাত ধোয়া এবং হাঁচি কাশির শুদ্ধাচার অনুসরণই যথেষ্ট। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের কাছেই তখন মনে হয়েছে যে হাত ধোঁয়া ইত্যাদি খুব সাধারণ পদক্ষেপ। যেহেতু এটা একটা নাটকীয় পরিস্থিতি, তাকে নাটকীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এর ফলে মানুষ তাদের টাকা যেখানে যেভাবে পেরেছে ছুঁড়ে মেরেছে এই আশায় যে এর ফলে তারা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে।“

“Under circumstances like these, people feel the need to do something that’s proportionate to what they perceive is the level of the crisis. We know that washing your hands and practicing coughing hygiene is all you need to do at this point.

But for many people, hand-washing seems to be too ordinary. This is a dramatic event, therefore a dramatic response is required, so that leads to people throwing money at things in hopes of protecting themselves.”

জার্নাল অব কনজিউমার রিসার্চে সাংগঠনিক আচরণ গবেষক এন্ডি ইয়াপের Control Deprivation Motivates Acquisition of Utilitarian Products গবেষণায়ও উঠে আসে যে মানুষকে যদি কোনো কিছু নিয়ে আতঙ্কিত করা যায়, তাহলে তাদের মাঝে কেনাকাটা বেড়ে যায় বহুগুণে। তার ভাষায়,

“করোনাভাইরাস হচ্ছে এক অদৃশ্য শত্রু। এটা এমন একটা জিনিস যেটাকে আমরা দেখতে পারি না। এবং যখন আপনি আপনার শত্রুকে দেখনা না পান, তখন আপনার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। আর নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারানো মানে সে নিয়ন্ত্রণকে আবার ফিরে পাবার জন্যে চেষ্টা করা। এবং কেনাকাটা করা হচ্ছে সে চেষ্টারই অংশ”

“The coronavirus is an invisible enemy. It's something that we cannot see. And, when you cannot see your enemy, what happens is that you lose this sense of control. And when you lose your sense of control, you try and do things to compensate and achieve control again. Buying certain things is one way for you to do that.”

আসলে আমাদেরকে জীবনে সলোমন এশের গবেষণার গিনিপিগের মতো হলে চলবে না। চোখ কান ও মস্তিষ্ককে কাজে লাগাত হবে। চোখের সামনে যেটা সত্য, সেটাকে সত্য বলেই মানতে হবে, বাকি একশ জন হাজার জন যাই বলুক।

কোটি কোটি মারা যাবার জায়গায় ১০ লাখেরও কম মৃত্যু যে আতঙ্ক প্রচারকারীদের চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয় এই সত্যও তেমনি এক সত্য যা আমাদের সামনে এখন সুস্পষ্ট।