করোনাভাইরাস : বাসায় কীভাবে কাটাবেন, কোন মেডিটেশন করবেন, কী খাবেন, কী কী ইয়োগা করবেন

published : ২৭ মার্চ ২০২০

[ভিডিও] : করোনা আতঙ্ক

[অডিওসহ গুরুজীর বক্তব্য] : করোনাভাইরাস

[আরো আর্টিকেল] : করোনাতে করণীয়

[গুরুজীর চিঠি] : করোনাভাইরাস সচেতনতায় করণীয়

[মেডিটেশন] : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে 

পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই এখন করোনাভাইরাস নয়, করোনা-আতঙ্কে আক্রান্ত।

উদাহরণ দিই-

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৭৫৩ কোটি।

আর নিবন্ধটি যখন লেখা হচ্ছে (২৭ মার্চ, সকাল ১০:৩০মি) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ৩২ হাজার ২৫৭। [ওয়ার্ল্ডওমিটারডটইনফো]

তার মানে পৃথিবীর জনসংখ্যার মাত্র ০.০০৩৩% মানুষ এ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

যাদের মধ্যে আবার প্রায় দেড়লাখ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন (১,২৪,৩৩২ জন)

সাড়ে তিনলাখের (৩,৬৪,২০৬) বেশি মানুষ সামান্য অসুস্থতা নিয়ে এখনো আক্রান্ত আছেন। কিন্তু এরা সবাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

কারণ পরিসংখ্যান বলে- এ রোগটিতে আক্রান্তের ৯৫ ভাগই মাইল্ড বা ‘মৃদু’ আক্রমণের কবলে পড়েন [ওয়ার্ল্ডওমিটারডটইনফো]

লক্ষণ প্রকাশের দু/তিন সপ্তাহের মধ্যে তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর লক্ষণ বলতেও জ্বর, কাশি, গলাব্যথা আর সামান্য দুর্বলবোধ- ব্যস এই। (সাইকোলজি টুডে, ২৮ ফেব্রুয়ারি)  

মাত্র ৫% মানুষ (এ মুহূর্তে ১৯৬৩৫ জন) ‘সিরিয়াস’/‘ক্রিটিকেল’ বা সংকটাবস্থায় যান। তারা সুস্থ হতে পারেন, আবার ভিন্ন কিছুও হতে পারে।  

কিন্তু পৃথিবীর জনসংখ্যার তুলনায় হারটা কত? মাত্র ০.০০০০২৫%!

সড়ক দূর্ঘটনা, হৃদরোগ বা আত্মহত্যা- ঢের বেশি লোকে মারা যায়

ওদিকে পৃথিবীতে প্রতিবছর সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ।

হৃদরোগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর মারা যায় আট লক্ষ মানুষ। (আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন)

আর প্রতি ৪০ সেকেন্ডে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও একজন মানুষ আত্মহত্যা করে! (ডব্লিউএইচও)

বুঝতেই পারছেন- করোনাভাইরাস নিয়ে যে আতঙ্ক গ্রাস করছে আমাদের, তার ভগ্নাংশও যদি মৃত্যুর এই কারণগুলোর ব্যাপারে থাকত, তাহলে বহু মানুষকে আমরা বাঁচাতে পারতাম।

ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কত লোক আক্রান্ত হয়

বলবেন- এসব রোগ আর করোনা এক হলো? 'প্যানডেমিক' বা বৈশ্বিক মহামারী (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে) বলে কথা।

‘কোভিড-১৯’ বা ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ’টি আসলে ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার এক নতুন ধরণ যা এর আগে মানুষের মধ্যে দেখা যায় নি।

তো এই ফ্লু-তে (শীতের শুরুতে এবং শেষে, যাকে সিজনাল ফ্লু বলা হয়) কত মানুষ আক্রান্ত হয়?

৩০ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষ! (সাইকোলজি টুডে, ২৮ ফেব্রুয়ারি)

এবং এ সংখ্যাটা জানা যাচ্ছে, কারণ এ মানুষেরা চিকিৎসক বা হাসপাতালের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

সাধারণ মাত্রায় ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে যারা ডাক্তারের কাছে যানই না (এবং বেশিরভাগ মানুষই তা করেন), তাদের হিসাব ধরলে সংখ্যাটা কত বড় হয়!

ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যু বনাম করোনায় মৃত্যু

শুধু তাই না। সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানেন?

২,৯০,০০০ থেকে ৬,৫০,০০০ মানুষ! [ওয়ার্ল্ডওমিটারডটইনফো]

এবং এ মৃত্যু যে শুধু গরীব দেশগুলোতেই হয়, তাই না। ধনী দেশগুলোতেও হয়।

২০১৪-১৫ সালে বৃটেনে সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা যায় ২৮ হাজার মানুষ। (পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড)

২০১৬-১৭-তে ফ্রান্সে ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা যায় ১৪ হাজার মানুষ। (পাস্তুর ইনস্টিটিউট, ৫ ফেব্রুয়ারি)

২০১৭-১৮তে যুক্তরাষ্ট্রে ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা যায় ৬১ হাজার মানুষ। (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন)

অথচ এই তিনটি দেশে গত তিনমাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা : বৃটেন- ৫৭৮, ফ্রান্স-১৬৯৬ এবং যুক্তরাষ্ট্র-১৩০০। (২৭ মার্চ, দুপুর ১২:০৪মি)  

আর সারা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৪,০৯৫ জন। (২৭ মার্চ, দুপুর ১২:০৪মি)

এদের একটা বড় অংশই আগে থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন এমন বৃদ্ধ মানুষ।

করোনা-আক্রান্ত হলেই আপনি মারা যাবেন না

তার মানে করোনা-আক্রান্ত হলেই আপনি মারা যাবেন-ব্যাপারটা তা নয়। তবে রোগটি বেশ সংক্রামক। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে খুব দ্রুত এটি অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।

তাই প্রয়োজন বিশেষ সতর্কতা

-সাথে সবসময় এক বা একাধিক রুমাল রাখবেন যেন হাঁচি-কাশি আসার সাথে সাথে এটা ব্যবহার করতে পারেন।  

-নিয়মিত ঘন ঘন হাত ধোন। পরীক্ষায় দেখা গেছে ভালোভাবে হাত ধুলে এই জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। হ্যান্ডওয়াশ বা স্যানিটাইজার না হলেও চলবে। বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান (‘বাংলা সাবান’) বরং আরো ভালো।   

-বাইরে বের হতে হলে অন্যদের কাছ থেকে তিনফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। 

-আপনি অসুস্থ না হলে মাস্ক ব্যবহার না করলেও চলে। কিন্তু যদি করেন তবে সেটা যথাযথ নিয়ম মেনেই করতে হবে

-জ্বর বা এজাতীয় লক্ষণ দেখা দিলে কোয়ারেন্টিনে থাকুন। একা থাকার এ নিরবচ্ছিন্ন সময়কে গ্রহণ করুন জীবনের এক অসাধারণ উপলব্ধির সুযোগ হিসেবে।

কখন কোন মেডিটেশন করবেন?

এসময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ইতিবাচকতার শক্তি বাড়ানোর জন্য নিয়মিতভাবে মেডিটেশন করুন।

সকাল ৯.৩০টায় মেডিটেশন : আমার পরিবার এবং রাত ৯:০০টায় দোয়া/প্রার্থনার মেডিটেশন করুন সপরিবারে। 

শ্রদ্ধেয় গুরুজীও প্রতিদিন এসময় মেডিটেশন করেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসময়ে মেডিটেশন তাই আপনাকে যৌথধ্যানের কল্যাণশক্তিতে অবগাহন করাবে।  

এছাড়া দুপুর বা বিকেলে নিজের প্রয়োজন বা পছন্দমতো আরেকবার মেডিটেশন করতে পারেন।

সব মেডিটেশন ও নামাজ/উপাসনায় করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি ও সার্বিক কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করুন। শুধু নিজের জন্যে নয়, সারা দেশ ও বিশ্বের জন্য দোয়া করুন।

এ সময়টা যেভাবে কাজে লাগাতে পারেন-

সামষ্টিকভাবে বাসায় থাকার নির্দেশনা থাকলে সময়টাকে আপনি চমৎকারভাবে কাজে লাগাতে পারেন-

-ভোরে ঘুম ভাঙলেই বলুন শোকর আলহামদুলিল্লাহ/ হরি ওম/প্রভু তোমাকে ধন্যবাদ।

-মুসলমানরা নামাজের পর ৪০ বার দোয়া ইউনুস ও বেশ কয়েকবার দরুদ পড়ুন।

-সনাতনধর্মীরা ৪০ বার গায়ত্রী মন্ত্র, বৌদ্ধরা বুদ্ধমন্ত্র ও খ্রিষ্টানরা তাদের ধর্মানুসারে যে-কোনো প্রার্থনা করতে পারেন।

-এরপর কিছুক্ষণ আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী পাঠ করুন।

দিনের শুরু, নাশতা ও অন্যান্য

-দিনটি শুরু করুন মানুষের কল্যাণে কিছু দানের মাধ্যমে।

-হালকা কিছু খেয়ে (কাঁচা ছোলা অথবা দুই/তিনটা খেজুর) দমর্চচা ও কোয়ান্টাম ইয়োগা করুন। অন্যদের অসুবিধা সৃষ্টি না করে ঘরের মধ্যেই হাঁটুন বা দৌড়ান।

-পরিবারের সবাই মিলে একসাথে নাস্তা করুন। নাস্তায় এক কোষ কাঁচা রসুন ও ২৫/৩০টি কালোজিরার দানা খান। সুযোগ থাকলে একগ্লাস লেবুপানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

কোয়ান্টাম ইয়োগা- গুরুজী যেসব আসন করার পরামর্শ দিয়েছেন

করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো এক কার্যকরী উপায়। আর কোয়ান্টাম ইয়োগা এর এক চমৎকার প্রক্রিয়া। গুরুজী কোয়ান্টাম ইয়োগার যেসব আসনকে এসময় বিশেষত অনুশীলন করার পরামর্শ দিয়েছেন তাহলো উষ্ট্রাসনমৎস্যাসনপবন-মুক্তাসনহলাসনশশাঙ্গাসন এবং বিশেষভাবে গোমুখাসন ও ভুজঙ্গাসন

 পরিবারের সাথে একাত্ম হওয়ার এ এক চমৎকার সুযোগ

-পরিবারের সদস্যদের কোয়ালিটি টাইম দিন। শিশুদের সাথে খেলাধুলা, গঠনমূলক আলোচনা, শিক্ষামূলক গল্প কবিতা গান ইত্যাদির ভেতর দিয়ে একাত্ম হোন। সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করুন।

-স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে মনোযোগী সময় দিন। অতীতের নেতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা সম্পূর্ণ বর্জন করুন। পরিবারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা (মনছবি) নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা করুন।

-বাবা-মাসহ বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের সুখ-দুঃখের কথা শুনুন।

-নিজের পরিবারের বাইরেও আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর রাখুন নিয়মিত।

-পরিবারে বই পড়া ও বই নিয়ে পর্যালোচনা করার সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে পারেন। এক্ষেত্রে শুদ্ধাচার বইটি সবাই মিলে পড়া অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 কর্মজীবী ও শিক্ষার্থী

-যারা হোম-অফিস করছেন তারা আন্তরিকতার সাথে অফিসের কাজটুকু করুন।

-অন্যরা সুযোগ থাকলে পারিবারিক কাজ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিন। আপনার এই ছোট্ট সহযোগিতা পারিবারিক একাত্মতা আরো বাড়িয়ে দেবে।

-শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়ালেখা অব্যাহত রাখুন।

খাবার

-খাবারের ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবারের বদলে ফলমূল, শাক সবজি বেশি খান।

-পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

-চর্বিদার ও গুরুপাক খাবার যত কম খান তত ভালো।

-প্রতিবেলায় খাবার পরিবারের সবাই একসাথে গ্রহণ করুন।

 যা করা উচিত নয়  

-দিনভর টিভি/ইন্টারনেট/সামজিক মাধ্যমের সংস্পর্শে থাকা এড়িয়ে চলুন। কিছুক্ষণ পরপর সংবাদ দেখা ও শোনা থেকে বিরত থাকুন। সারাদিনে দুই থেকে তিনবার শুধু সুনির্দিষ্ট সময়েই এগুলো দেখুন/ব্যবহার করুন।

-গুজবে কান দেয়া ও গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। নিজে আতঙ্কিত না হয়ে বরং অন্যদের মাঝে সাহস সঞ্চার করুন। নিজেরা শ্রদ্ধেয় গুরুজীর চিঠি পড়া, অডিও শোনা, কোয়ান্টামের বিভিন্ন ভিডিও দেখার পাশাপাশি অন্যদেরকে শেয়ার করুন ও এসব পড়তে দেখতে শুনতে উদ্বুদ্ধ করুন।

-বালা মুসিবত থেকে বেঁচে থাকার জন্য গীবত, পরচর্চা, দুর্ব্যবহার, নেতিবাচক আলোচনা, নেতিবাচক ছবি, সংবাদ বা ভিডিও দেখা ও শেয়ার করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।

অধীনস্থকে ছুটি দিলে অগ্রিম বেতন দিয়ে দিন

আপনার সাথে সম্পর্কিত অধীনস্থদের (গৃহকর্মী, ড্রাইভার, মালী প্রমুখ) প্রতি মানবিক আচরণ বজায় রাখুন। তাদের দুঃসময়ে যথাসম্ভব সহযোগিতা করুন। ছুটি দিলে অন্তত এক মাসের বেতন অগ্রিম দিয়ে দিন।

পরিবারে কেউ আক্রান্ত হলে

পরিবার বা আত্মীয়দের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে তাকে ঘৃণা করবেন না বা তাদের দূরে ঠেলে দেবেন না। স্বার্থপরের মতো দায়িত্বে অবহেলা করবেন না। যথাযথ চিকিৎসার উদ্যোগ নিন।

সবশেষে বিশ্বব্যাপী করোনা-ভাইরাস নিয়ে কিছু ভালো খবর-

-চীন তার শেষ করোনা-হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ আলাদা হাসপাতাল চালাবার মতো পর্যাপ্ত রোগী আর সেখানে নেই

-৮ এপ্রিল থেকে উহানের লক ডাউন তুলে নেয়া হচ্ছে, চীনের যে শহরটি থেকে প্রথম শুরু হয় এ রোগের সংক্রমণ

-চীনে প্রতি ১০ জনে ৯ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। 

-বলা হয়, করোনাভাইরাসের ঘাতক প্রভাব নাকি বয়স্কদের ওপর বেশি। কিন্তু বিশ্বব্যাপী বয়স্ক অনেকেরই খবর পাওয়া যাচ্ছে, যারা করোনাক্রান্ত হওয়ার পরও সেরে উঠেছেন।

তাদেরই একজন ছিলেন চীনের সবচেয়ে বর্ষীয়ান করোনারোগী উহানের ১০৩ বছর বয়সী এক নারী।

জ্বর এবং হার্টের সমস্যা নিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে লিশানশান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এ নারী। কিন্তু ১ মার্চ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইতালিতেও এরকম বর্ষীয়ানদের রোগমুক্তির ঘটনা ঘটেছে।

-করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল।

-বাংলাদেশে আজ (২৮ মার্চ) পর্যন্ত আক্রান্ত ৪৮ জন। এদের মধ্যে ১৫ জনই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন।[ওয়ার্ল্ডওমিটারডটইনফো

কাজেই আসুন আতঙ্কিত নয়, সচেতন হই-সতর্ক হই।

করোনা-ভয়কে করুন জয়।