কোয়ান্টাম বর্ষ পরিক্রমা ২০২৪ : বিশ্বাস আশা আর শান্তির পথ দেখানোর আরেকটি সফল বছর!

published : ৫ জানুয়ারি ২০২৫

কোয়ান্টাম- ‘ভালো মানুষ আর ভালো দেশে’র মনছবি নিয়ে ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করেছিল যে সংগঠনটি, ৩২ বছর পেরিয়ে আজ তা ৩৩তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। 

২০২৫ শুরু হয়েছে মনছবির এ বারতারই এক নতুন উদ্যম নিয়ে, ২০২৪ গড়ে দিয়েছিল যার এক শক্ত ভিত্তি! ২০২৪-এর বছরজুড়ে কোয়ান্টামের কিছু অর্জনঃ   

১. প্রজ্ঞা জালালি লাইভ স্ট্রিমিং! 

২০২৩ সালের আগস্টে শুরু হয় প্রজ্ঞা জালালি লাইভ স্ট্রিমিং। ফলে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয় ঢাকার বাইরের ও দেশের বাইরের কোয়ান্টাম সদস্যদের। আর এর দৃশ্যমান প্রভাব পড়ে ২০২৪ এর বছরব্যাপী প্রজ্ঞা আয়োজনে। আগে যেখানে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় আয়োজনে হাজার/দেড় হাজার মানুষ অংশ নিতেন, এখন সেখানে দেশের মোট ৯৪টি স্থান থেকে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিচ্ছেন! উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকশ’ কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েট এখন অংশ নিচ্ছেন এ প্রজ্ঞায়। 

বিষয়ভিত্তিক আয়োজনে সাজানো এই প্রজ্ঞাগুলো খুবই সমৃদ্ধ এবং সময়োপযোগী বিবেচিত হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের কাছে। জুনে কিছুটা অবতারণার পর জুলাই প্রজ্ঞা থেকে শুরু হয় দুর্ব্যবহারের ব্যক্তি এবং জাতীয় জীবনে ক্ষতিকর পরিণতি প্রসঙ্গ। 

জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর ঘটনাপ্রবাহ তো সবারই জানা। এরই মাঝে নানা শঙ্কা থাকলেও ৩ আগস্ট প্রজ্ঞা জালালি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ঢাকার যে কাকরাইল থেকে মূল স্ট্রিমিংটি হয়, সেদিন এটি ছিল বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্র! 

এর মধ্যেও আইডিইবি হলে সমবেত হাজারখানেকসহ সারা দেশ ও বিদেশের আরো কয়েক হাজার মানুষ শান্তভাবে দোয়া শেষ করলেন। 

রাতে শুরু হলো খতমে কামালি। তারপর থেকে আজকের দিন পর্যন্ত – অব্যাহতভাবে চলছে খতমে কামালি। দেশের জন্যে, মানুষের জন্যে, নিজের ও পরিবারের শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সংকটমুক্তির জন্যে প্রতিদিন হাজারো মানুষ শামিল হচ্ছেন এ দোয়ায়।

৩ আগস্ট যেদিন প্রজ্ঞা জালালিতে দোয়া হয়, সেদিনও ছিল অজস্র প্রাণহানির আশঙ্কা। কিন্তু আমরা দেখলাম, দুদিনের মধ্যেই সেই আশঙ্কার অবসান ঘটল, নতুন নতুন মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হতে লাগল প্রত্যাশা - ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ।     

২. সাদাকায়নে উপস্থিতি বৃদ্ধি

২০২৩ এর নভেম্বর থেকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সাদাকায়ন কার্যক্রমকে ঢেলে সাজান হয়। এক ঘণ্টার কম্প্যাক্ট আয়োজনে নিয়ে আসা হয় সাদাকায়নকে। আলোচনা, মেডিটেশন, দোয়া, ভিডিও, টিপস ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন- সবই সম্পন্ন এই এক আয়োজনে। ফলে উপস্থিতি যেমন বেড়েছে, তেমনি নতুন নতুন সদস্যের আগমনও ঘটেছে। 

উল্লেখ্য, দেশে এখন ১০০টি প্রি-সেল, ৩৪টি শাখা, ৮টি সেন্টারসহ মোট ২১৭টি ভেন্যুতে এবং দেশের বাইরে ১৯টি ভেন্যুতে সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত হয়।

৩. কোরবানির সামাজিকায়ন

২০২৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের কয়েকটি স্থানে সীমিত করসেবার মাধ্যমে খুঁজে খুঁজে কোয়ান্টাম পরিবারের সেসব সদস্যের ঘরে মাংস পৌঁছে দেয়া হয়, যারা অভাবী হলেও কখনও হাত পাতেন না! 

২০২৪ সালে এটি রূপ নেয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সার্বজনীন সামাজিকায়নে। প্রথমবারের মতো সারা দেশের সেন্টার, শাখা, সেলে সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের দেয়া নামে কোরবানি করা হয়। অনেক সদস্য ও শুভানুধ্যায়ী তাদের কোরবানির গোস্ত থেকে একটা অংশ নিয়ে আসেন সেন্টার শাখা সেলে। 

এ গোশত ও সংগৃহীত অর্থে মোট ১১৫টি গরু এবং ১০০টি ছাগল কোরবানি করে কোয়ান্টামের কয়েকশ স্বেচ্ছাকর্মী গোশত পৌঁছে দেন ৭ হাজারেরও বেশি পরিবারে।

৪. উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যা-পরবর্তী পুনবার্সন

ঈদের রেশ কাটতে না কাটতেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দেখা দেয় এক আগ্রাসী বন্যা। আবার তার মাত্র দু’মাসের মাথায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, যেখানে সাধারণত বন্যা হয় না বলে বলা হয়, সেখানে দেখা দেয় এক বিধ্বংসী বন্যা।  

বন্যায় তাৎক্ষণিক ত্রাণের পাশাপাশি দূরপ্রসারি পুনর্বাসন ও চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনার পরিকল্পনা করে কোয়ান্টাম। 

১১টি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেয়া হয়। সেসময় বন্যাদুর্গত ৫৮ জন অন্তঃসত্ত্বা নারীর নিরাপদ প্রসবের ব্যবস্থা করেছে কোয়ান্টাম। লাশ দাফনের ব্যবস্থাও করেছে।

এ পর্যন্ত ৩ সহস্রাধিক পরিবারে ত্রাণ এবং প্রায় ১৪শ পরিবারে পোশাক পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আর এই শীতে চলছে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ। 

৫.  শতাধিক তরুণের জীবন জয়ের গল্প নিয়ে বই

বলা হয়, কোনো দুঃস্থ জনপদের অবস্থা বদলাতে প্রথম গুরুত্ব দিতে হবে ঐ জনপদের শিশুদের। তাদের জন্যে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, নৈতিক ও মানবিক গুণ, আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভর হওয়ার শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। 

সে উদ্দেশ্যেই ২০০১ থেকে বান্দরবানের লামার কোয়ান্টামমে শুরু হয় আবাসিক কোয়ান্টাম কসমো স্কুল। যেখানে ২৮০০ দুঃস্থ ও এতিম শিক্ষার্থী ফ্রি লেখাপড়া, থাকা-খাওয়ার সুবিধা পাচ্ছে, সাথে ঐ প্রশিক্ষণগুলো। 

গত ২৮ নভেম্বর-১ ডিসেম্বর কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিত হলো World Mathematics Team Championship 2024। এতে বাংলাদেশ টিমের একজন হয়ে ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে "সিলভার মেডেল" অর্জন করেছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ক্লাস এইটের ছাত্র উছাইওয়াং মার্মা।

জিমন্যাস্টিকসের বয়সভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় এবছর ৯৬টি পদক পায় কসমো স্কুলের জিমন্যাস্টরা, যার মধ্যে সোনাই ছিল ৪১টি, মানে টুর্নামেন্টের সব কটি সোনা। ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন দুজনও কোয়ান্টামের। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিকেএসপি-র অভিজ্ঞ ও প্রফেশনাল জিমন্যাস্টদের হারিয়ে কোনো প্রতিযোগিতার ১২০ পদকের ৯৬টিকেই ঘরে তোলে কোয়ান্টারা!

তার মানে সুযোগ ও পরিবেশ পেলে প্রতিটি শিশুই তার অনন্য মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে। ২০২৪ সালেও কোয়ান্টামমে এসেছে তিন শতাধিক নতুন শিশু, যাদের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা এবং প্রশিক্ষণ- সবকিছুর দায়িত্ব নিয়েছে কোয়ান্টাম। 

উছাইওয়াং বা ওয়ে ওয়ে সাইয়ের মতো এমনি শতাধিক তরুণের জীবন জয়ের গল্প নিয়ে সংকলিত বই ‘সব সম্ভব’, প্রকাশিত হয় সেপ্টেম্বরে। আপনি যদি জীবন নিয়ে হতাশ বোধ করেন কিংবা নিজেকে সুবিধাবঞ্চিত মনে করেন, তাহলে বইটি পড়তে পারেন। কেটে যাবে আপনার হতাশা, উপলব্ধি করবেন জীবন যে কোনো পর্যায় থেকেই শুরু করা যায়।

আমাদের যে-কোনো সেন্টার-শাখা-সেল থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। মূল্য ৫০০ টাকা, তবে এখন সংগ্রহ করতে পারবেন মাত্র ২৫০ টাকায়!

৬. অজেয় তারুণ্য!

তারুণ্যের শক্তিকে কোয়ান্টাম সবসময় উৎসাহিত করেছে। যখন তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে অনেকেই হতাশ, লক্ষ্যভ্রষ্ট বলে হাল ছেড়ে দিয়েছেন, তখনও কোয়ান্টাম তরুণদের যুগিয়ে গেছে সাহস, বিশ্বাস, নেতৃত্বের গুণাবলিকে বিকশিত করার পথ নির্দেশ। 

২০২৩ এ কোয়ান্টামম, লামায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৫ দিনব্যাপী দুটি অন্বেষায়ন কার্যক্রম এবং ঢাকার আইডিইবি-তে তিনটি দিনব্যাপী শিক্ষার্থী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। যাতে অংশ নেয় কয়েকশ' কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী।  

২০২৪ এও ঢাকায় দিনব্যাপী একটি ওয়ার্কশপ ছাড়াও লামায় আয়োজিত মোট পাঁচটি চার দিনব্যাপী অন্বেষায়নে অংশ নেন প্রায় হাজারখানেক তারুণ্য! 

৭. পরিবেশে অবদানের স্বীকৃতি!

মানবসম্পদ বিকাশের পাশাপাশি বান্দরবানের লামার কোয়ান্টামমে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার কাজও কোয়ান্টাম করেছে শুরু থেকেই। এরই স্বীকৃতি হিসেবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্যাটাগরিতে’ ২০২৩ সালের জাতীয় বৃক্ষরোপণ পুরস্কার পায় কোয়ান্টাম। ২০২৪ সালের ৫ জুন কোয়ান্টামের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। 

৮. পৌঁছেছি লক্ষাধিক মানুষের কাছে!

মানুষের মাঝে বিশ্বাস, আশা আর শান্তি সঞ্চারিত করতে এই খতমে কামালি দোয়া, ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সেমিনার আর মানসিক স্বাস্থ্যসেবা স্টল আয়োজনের মধ্য দিয়ে Post Traumatic Stress Disorder বা PTSD কাটাতে যে ভূমিকা পালন করে কোয়ান্টাম, তা ২০২৪ এর এক উল্লেখযোগ্য অর্জন। 

‘টোটাল ফিটনেস প্রোগ্রাম’, ‘ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সেমিনার’, ‘মেডিটেশন এন্ড ইয়োগা প্রোগ্রাম’ এবং ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড সায়েন্টিফিক লাইফস্টাইল’- মোটামুটি এই চার শিরোনামে বছরভর কোয়ান্টামের বিশ্বাস, আশা আর ইতিবাচকতার বাণী ছড়িয়ে গেছে দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক মানুষের কাছে!

৯. দুর্জয় প্রজন্মকে নিয়ে আয়োজন

জেনারেশন আলফা বা ২০১২ সালের পর যারা জন্মেছে, তাদেরকে কোয়ান্টাম বলছে ‘দুর্জয় প্রজন্ম’। এবছর প্রথমবারের মতো এই প্রজন্মকে নিয়ে কিছু কেন্দ্রীয় উদ্যোগ নেয় কোয়ান্টাম। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ওদের সাথে শ্রদ্ধেয় গুরুজী ও মা-জীর একটি প্রোগ্রাম। 

২৪ মে, ২০২৪ আয়োজিত এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী শিশুদের সাথে একেবারে মিশে যান গুরুজী ও মা-জী। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্রি-স্কুলার ও এলিমেন্টারি স্কুল গোয়ারদের জন্যে কিডস ইউটিউব চ্যানেল কোয়ান্টাম কিডস! এছাড়া কোয়ান্টাম প্রকাশনার উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বেরোয় শিশুতোষ প্রকাশনা- ‘স্কুলে যাবার আগে’।     

১০. রক্তদাতা-রক্তগ্রহীতা মিলনমেলা

১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে এবছর তিনদিনব্যাপী ‘রক্তদাতা উৎসব’ আয়োজিত হয়েছিল। ১২ জুন কাকরাইলের আইডিইবি হলে আয়োজিত হয় রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতাদের অংশগ্রহণে এক মিলনমেলা। এতে যে প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়, তা থেকে বেরিয়ে আসে এক চমকপ্রদ তথ্য- দেশে এখন হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসের প্রকোপ অনেক কমে গেছে। আর এর পেছনে কাজ করেছে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের ভূমিকা। কারণ হেপাটাইটিস ‘বি’ ছড়ায় মূলত পেশাদার ও অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে। 

এবছর ৯০ হাজারেরও বেশি ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করা হয়। সংগ্রহ করা হয় ৫০ হাজার ইউনিট রক্ত। 

১১. দুই লক্ষ পরিবার পেয়েছে কোয়ান্টামের সেবা

কোয়ান্টামের বহুমুখী সেবাকাজের মধ্য দিয়ে এবছর দু’ লক্ষ পরিবারের জীবনে এসেছে ভরসা, সুখ, স্বস্তি- 

-সারাদেশে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে ৮৪,৪০৮ দরিদ্র রোগীকে

-মাতৃমঙ্গল কার্যক্রমে সন্তানসম্ভবা ১২,৪১৫ মা পেয়েছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পুষ্টি; জন্ম দিয়েছেন সুস্থ সন্তান। 

-চক্ষু চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন ৪,৮১৮ জন 

-ছানি অপারেশন করা হয়েছে ১,২১৫ জন রোগীর 

-সহায়হীন ৬৫ পরিবারকে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে বাসগৃহ

-কসমো স্কুল ও কলেজ এবং হাফেজিয়া মাদ্রাসার মাধ্যমে ১,৭৪১ দুস্থ শিশু-কিশোরের বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, লেখাপড়া ও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেয়া হয়েছে। 

-কসমো কলেজ থেকে এবছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় ৩১ শিক্ষার্থী। এরাসহ উচ্চশিক্ষার্থে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১১৭ জন কোয়ান্টাকেও আর্থিক সহযোগিতা করছে কোয়ান্টাম। 

- মেধাবী অসচ্ছল ৬৬৫ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে মেধাবৃত্তি।

-স্বনির্ভরায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে ১,১৬৯ দুঃস্থ মানুষ 

-আর ত্রাণ কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে ১০ সহস্রাধিক দুঃস্থ শীতার্তকে। 

-৬,২২৬ দুস্থ শিশু-কিশোর-যুবককে খতনাসেবা দেয়া হয়েছে। 

-প্রবীণসেবা প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানের রাজবিলা ও লামায় ৮৭ অসহায় প্রবীণ পাচ্ছে সার্বিক যত্নায়ন।

উপসংহার

আসলে আপনার আমার শুভকামনা ও ছোট ছোট সহযোগিতার ফসলই এই অমলিন হাসিমুখ। একসাথে এক মানবিক মহাসমাজ গড়ার জন্যেই কোয়ান্টাম।

আপনিও আসুন না আমাদের সাথে! অর্থ দিয়ে বা শ্রম দিয়ে, মেধা দিয়ে বা পরামর্শ দিয়ে আরেকটু এগিয়ে নিতে। আপনার সামান্য সহযোগিতাও আমাদের জন্যে অনেক। 

নতুন বছর ২০২৫ এ আমাদের আপ্ত বাক্য হোক- ভালো ভাবব, ভালো বলব, ভালো করব, ভালো থাকব।