published : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১
সঠিক প্রশ্ন জ্ঞানের অর্ধেক। শিক্ষার্থীর কৌতূহলই উন্মোচন করে জ্ঞানের দরজা। শিশুর দু'চোখভরা কৌতূহল তাকে চলতে শেখায় এ অচেনা পৃথিবীর পথ ধরে। তেমনি সফল হবার পথে শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে কাজ করে তার জানার আগ্রহ।
কৌতূহল যতই কমতে থাকে ততই একজন শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়তে থাকে। ক্লাসে তারাই মনোযোগ পায় যারা শিক্ষককে বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন করে। হয়ত অনেকেই জানে এমন কিছু জানতে প্রশ্ন করলে সহপাঠীরা হাসতে পারে। কিন্তু এর চেয়েও বেশী হাস্যকর হলো জানার সুযোগ হাতছাড়া করে না জানা।
কৌতূহল থাকা সত্ত্বেও অনেকে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকে শুধুমাত্র ভয় কিংবা অস্বস্তির কারণে। এই ভয়কে জয় করার মনোবল শিক্ষার্থীর সফল হবার পথকে করে আরও মসৃণ।
গাছ থেকে টপ করে আপনার সামনে যদি একটা ফল পড়ে আপনি কী করবেন? যদি আপনি স্বাস্থ্য সচেতন হন তবে ফলটা ধুয়ে নেবার কথা ভাববেন অথবা অমনিই মনের সুখে খেতে শুরু করবেন। পৃথিবীর ইতিহাস ঠিক এভাবেই চলে আসছিল। ব্যতিক্রম ঘটল তখনই যখন স্যার আইজ্যাক নিউটন পৃথিবীর চিরচেনা ফল পড়ার দৃশ্য দেখে কৌতূহলী হলেন এবং জানতে চাইলেন- ফলটা ওপর দিকে না গিয়ে নিচে এলো কেন? ব্যস। এক ধাপে বিজ্ঞান এগিয়ে গেল এক অনন্ত সম্ভাবনার দিকে। এটাই হলো মানব মনের কৌতূহলের শক্তি।