published : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
১৬ বছর বয়সী ব্রিটিশ কিশোরী বো জেসাপ। বাবা-মায়ের সাথে চীনে গিয়েছিল সে বেড়াতে। একদিন একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সেখানে এক দম্পতির সাথে তার দেখা হয়। সদ্যজাত একটি সন্তানের বাবা-মা ছিল এই দম্পতি। বো একজন ইংরেজ জেনে তারা তাদের সন্তানের একটা ইংরেজি নাম ঠিক করে দিতে অনুরোধ করে বো-কে।
উচ্চ শিক্ষা কিংবা বাণিজ্যের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক চীনা মা-বাবাই তাদের সন্তানের জন্য চীনা নামের পাশাপাশি একটি ইংরেজি নাম নির্বাচন করে থাকেন।
বাচ্চাটির একটি নাম ঠিক করে দেবার পরই বো-র মাথায় আইডিয়াটা এল। চীনা নবজাতকদের নাম ঠিক করে দেয়ার একটা ওয়েবসাইট খুললে কেমন হয়।
যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করল বো চীনা শিশুদের নামকরণের সাইট স্পেশাল নেমস।
চীনা শিশুদের নাম ঠিক করা হয় প্রকৃতি থেকে। মানুষের ব্যক্তিত্বের ১২টি শুভ দিক মিলিয়ে এই ওয়েবসাইটের নামগুলো ঠিক করা হয়েছে। বো তার ওয়েবসাইটে এমন একটি উপায় বের করেছিল যাতে চীনা নামের সাথে ইংরেজি নামের একটা মিল থাকে।
তিনটি নাম বেছে নিলে তার জন্যে ৮০ পেন্স করে দেন ইউজাররা। নামগুলো এরপর তারা চীনের জনপ্রিয় একটি সোশাল নেটওয়ার্ক ‘উইচ্যাটে’ শেয়ার করতে পারেন যাতে আত্মীয়স্বজনরা নামগুলোর ব্যাপারে তাদের মতামতও জানাতে পারে।
এভাবেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বো জেসাপের এই সাইটটি। এ পর্যন্ত ২০ লক্ষেরও বেশি শিশুর নাম ঠিক করা হয়েছে স্পেশাল নেমসের এই সাইটটি থেকে।
আর উপার্জন? মাত্র ১৬ বছর বয়সেই কলেজ পড়ুয়া এই কিশোরী এই সাইটটি দিয়ে উপার্জন করেছেন ৪৮ হাজারেরও বেশি পাউন্ড! বাংলাদেশি টাকায় অর্ধকোটিরও বেশি।
পাঠক এবার বলুন, চাকরি বা গৎবাধা কোনো কাজ দিয়ে কেউ এটা করতে পারতো? পারতো না। কারণ প্রাচুর্যের প্রাকৃতিক সূত্রই হলো আপনি যত মেধাকে সেবায় রূপান্তর করবেন, আউট অব দ্য বক্স ভাবতে পারবেন, তত নতুন আইডিয়া, সেবার নতুন মাধ্যম ও উপকরণ আপনার সামনে আসবে। আর অর্থ-খ্যাতি হবে তারই বাই প্রডাক্ট!