সাফল্য-ব্যর্থতা : পার্থক্য শুধু বিশ্বাসে

published : ২৩ নভেম্বর ২০১৫

বিশ্বাস একটা মজার ব্যাপার। সফল মানুষ এবং ব্যর্থ মানুষ দুয়েরই বিশ্বাস আছে। কিন্তু বিশ্বাসের প্যাটার্নটা একদম আলাদা। বিশ্বাস আসলে চিন্তার যোগাযোগ। যেমন ধরুন, আপনি যখন স্কুলে পড়তেন, পরীক্ষা এলেই জ্বর, মাথাব্যথা, পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা বা অন্য কোনো না কোনো অসুখ দেখা দিতো। আপনার বাবা বললেন, পরীক্ষা এলেই দেখি তোমার অসুখ-বিসুখ হয়। আপনার প্রথম নিউরোকানেকশন তৈরি হলো। মা বললেন, আমিও এরকম ছিলাম। ওষুধ খেয়ে ভাইভা দিতে যেতাম। আপনার ধারণাটা সমৃদ্ধ হলো। কারণ নিজেকে বোঝালেন যে, পারিবারিকভাবে আপনি হয়তো ব্যাপারটা পেয়েছেন। পরীক্ষা মিস করার পর মা যখন আপনাকে নিয়ে স্কুলে গেল ক্লাসমেটরা বলতে লাগল তুমি পরীক্ষাকে ভয় পাও? উত্তরটা মনে মনেই দিলেন যে হ্যাঁ, ভয় পাই। টিচার বলল, কি বাপু! পরীক্ষা এলেই দেখি খালি অসুখ-বিসুখ। আপনার মধ্যে বিশ্বাস জন্মালো যে আপনার মধ্যে পরীক্ষাভীতি আছে।

এরপর থেকে পরীক্ষা এলেই আপনি অস্থির হয়ে ওঠেন। কোনো না কোনোভাবে এড়াতে চান। অবশেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বড় ক্লাসে উঠলেও পরীক্ষা মানেই আপনার কাছে মূর্তিমান আতংক অর্থাৎ বিশ্বাসটা শূন্য থেকে আসে নি। আপনার অভিজ্ঞতা, পারিপার্শ্বিক প্রতিক্রিয়া, দৃষ্টিভঙ্গি এসবকিছুর একটা যোগাযোগের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে এ বিশ্বাস, ভ্রান্ত বিশ্বাস।

একজন মানুষ সফল হয় বা ব্যর্থ হয় তার বিশ্বাসের কারণে। মুক্ত বিশ্বাস যেমন তাকে সফল করে, তেমনি ভ্রান্ত বিশ্বাস তাকে শৃঙ্খলিত করে, পিছিয়ে দেয়।