কুম্ভযুগ

published : ২৯ ডিসেম্বর ২০১২

২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর ছিল Mayan Calender এর শেষদিন। এদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বলে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। সত্যি যে হয় নি তাতো বোঝাই যাচ্ছে।

কিন্তু আসলে ব্যাপারটা কী? মায়ানরা আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন?  ২০১২ নিয়ে এত হইচই- ই বা কেন?

২১ ডিসেম্বর সারাদিনই রেডিও-টেলিভিশনে নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছে। বিবিসির একটা অনুষ্ঠান ছিল সরাসরি মেক্সিকো থেকে। মায়া সভ্যতার বংশধর বলে যে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ এখনো আছেন তাদেরই কয়েকজনের সাক্ষাৎকার। তারা বলছিলেন, মায়ান ক্যালেন্ডারে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার কোনো কথা বলা হয় নি। বরং মায়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের করা ৫১২৫ বছরব্যাপী প্রাচীন মেসোআমেরিকান লং কাউন্ট ক্যালেন্ডারের শেষ দিনটি হলো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর। তারা যা বলে গেছেন তাহলো এরপর শুরু হবে নতুন যুগ, নতুন ক্যালেন্ডার।

এদিকে এস্ট্রোলজি মতে আমাদের সূর্য তার গ্রহ-উপগ্রহগুলো নিয়ে পরিক্রমণ করছে আরো এক মহাসূর্যকে। প্রায় ২১৫০ বছর পর পর সম্পন্ন হয় এই পরিক্রমণের এক একটি কাল যাকে বলা হয় Astrological Age.

মজার ব্যাপার হলো, মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যেমন আগমন ঘটেছে নতুন পঞ্চম সহস্রাব্দের, তেমনি ২০১২ সালের এ সময়টাতেই আমাদের সৌরমণ্ডল ২ হাজার বছরের মীনযুগ শেষ করে প্রবেশ করেছে আরো ২ হাজার বছরের কুম্ভযুগে। আর এস্ট্রোলজি মতে এই কুম্ভযুগেই পৃথিবীতে ঘটবে নৈতিক মানবিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের জীবনকালে এ উত্থানের সূচনা ঘটেছে।

১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে কোয়ান্টাম। দুই দশকে কোয়ান্টামের মানবিক ও ইতিবাচক জীবনদৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অজস্র মানুষ। ২০ বছর ধরে তাদের আন্তরিকতা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলেই কোয়ান্টাম এখন লাখো লাখো মানুষের ভরসাস্থল। ধ্যানের গভীরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়, মুমূর্ষু অবস্থায় রক্তের প্রয়োজনে, জটিল ব্যাধি নিরাময়ে, বিপদমুক্তির আশায়, ব্যর্থতার বেড়াজাল ভাঙার প্রয়াসে, সফল প্রাচুর্যময় জীবন নির্মাণে, নিজের মেধা ও দক্ষতা বিকাশে, সৃষ্টির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার জন্যে আজ মানুষ ছুটে আসে কোয়ান্টামে। উজ্জীবিত হয় নতুন বিশ্বাসে, নেমে পড়ে জীবন বদলানোর প্রয়াসে।   

এই আস্থা, এই প্রত্যাশার পটভূমিতেই আমাদের যাত্রা শুরু হচ্ছে ২১ তম বছরের, এক নতুন দশকের। ধ্যানচর্চা ও সৃষ্টির সেবার পাশাপাশি সর্বাবস্থায় শুকরিয়া, উদার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, পারস্পরিক দোয়া কামনা, সময় ও নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি সদাচরণের মধ্য দিয়ে কোয়ান্টাম মানুষকে একটি নৈতিক মূল্যবোধে জাগিয়ে তুলছে। কারণ কোয়ান্টাম বিশ্বাস করে, সামগ্রিক যে-কোনো পরিবর্তনের জন্যেই আগে চাই নিজেকে বদলানো। আর ব্যক্তি মানুষের এই পরিবর্তনই সমাজের সর্বস্তরে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করবে। সূচিত হবে নৈতিক মানবিক আত্মিক পুনর্জাগরণ।