published : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রতিটা নতুন বছর শুরুর প্রারম্ভে অনেকেই করেন New Year Resolution, মানেই আগামী পুরো বছরজুড়ে কী কী করব এ-ব্যাপারে নিজেই নিজেকে করা অঙ্গীকার।
২০২৫-এর দোরগোড়ায় আমরা। নতুন বছর মানে জীবনটাকে নতুন করে সাজাবার নতুন সুযোগ। কিন্তু নতুন বছর তো এর আগেও পেয়েছেন। নিউ ইয়ার রেজুল্যুশন করেছেন এর আগেও। কিন্তু কী হয়েছে? মনে করে দেখুন তো!
বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই ফেব্রুয়ারি আসতে না আসতেই রেজুলুশন উঠত শিকেয়! কিছু পদ্ধতিগত ভুলে হয় এমনটা। সহজ কিছু বিষয় মেনে New Year Resolution করলে কিন্তু এমনটা হয় না।
আপনার জন্যে এমন কিছু টিপসঃ
নতুন বছরের রেজুলুশন করার আগে পুরনো বছরটাকে নিয়ে একটু ভাবুন। যে কাজগুলো ভালো হয়েছিল, তা নিয়ে চিন্তা করুন। যে কাজগুলো ভালো হয় নি, তা নিয়েও চিন্তা করুন। এই পর্যাালোচনা আপনাকে দেবে নতুন শুরুর ভিত্তি।
এক্ষেত্রে SMART হতে চেষ্টা করুন। না না পোশাক-আশাকে স্মার্ট না। SMART হলো আপনার লক্ষ্যটি সুনির্দিষ্ট হয়েছে কি না তার কিছু মাপক।
S = Specific
M = Measurable
A = Achievable
R = Relevant
T = Time-bound
যেমন, আমি সুস্থ হতে চাই- এটা না বলে বলুন, আমি সপ্তাহে পাঁচ দিন প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাটব এবং এটা আমি শুরু করব ২ ফেব্রুয়ারি থেকে।
আপনি আপনার লক্ষ্যকে যত সুনির্দিষ্ট করবেন, তত তা অর্জন করা আপনার জন্যে হবে সহজ।
আমরা অনেক বড় বড় লক্ষ্য ঠিক করি। কিন্তু সেটার জন্যে কাজের ধাপগুলোকে নির্দিষ্ট করি না। ফলে বাস্তবে কাজটা হওয়া তো দূরের কথা, শুরুই হয় না!
যেমন, বছরে ১২টা বই পড়বেন। এটা না বলে ঠিক করুন- প্রতিদিন ২০ মিনিট করে আপনি পড়বেন। প্রতিদিনের এই ছোট ছোট কাজই মাস বছরশেষে এই ১২ টা বই পড়ার কাজকে সম্ভব করে তুলবে।
বেশিরভাগ মানুষই খুব ভালো পারফর্ম করে যখন তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। আপনার নিজের এই লক্ষ্যগুলোতে আপনি এগোচ্ছেন কি না তা যাচাই করার জন্যে আপনি একজন মনিটর নিয়োগ করুন। এটা হতে পারে আপনার কোনো বন্ধু, কোনো অ্যাপ বা আপনার একটা কমিউনিটি।
যেমন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এখানে এলেই আপনি বুঝবেন, ইতিবাচক জীবনের পথে আপনার এগোনো কেমন হচ্ছে।
সবদিন আপনি হয়তো ঠিকমতো করতে পারবেন না। দুয়েকদিন বাদ যেতে পারে। বা যেভাবে চাচ্ছেন, সেভাবে নাও এগোতে পারে। এরকম হলে প্ল্যানটাকে নতুনভাবে সাজান।
মনে রাখবেন নিখুঁত হওয়ার চেয়ে কর্ম সম্পাদনকারী হওয়া অপেক্ষাকৃত শ্রেয়। আর ২০২৫-ই এটার শ্রেষ্ঠ সময়!