published : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১
সারা বিশ্বেই এটা একটি বাস্তবতা যে সিভি ড্রপ করে নয়, চাকরি হয় যোগাযোগের সূত্রেই। এটাকে ‘মামা-চাচা’র জোর না ভেবে জনসংযোগ দক্ষতা হিসেবে দেখুন যা ক্যারিয়ারে ভালো করার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত বটে। আর কোনো মামার প্রয়োজন নেই, আপনি নিজেই পারেন এ জনসংযোগ দক্ষতা গড়ে তুলতে।
আবার শুধু যে চাকরি পাওয়ার জন্যে তাই নয়, প্রমোশন বা উন্নতির জন্যেও এই সংযোগায়ন বা নেটওয়ার্কিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। বস বা প্রতিষ্ঠানের ‘চাকরগিরি’ হচ্ছে চাকরি- এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তাই চাকরিতে যতক্ষণ আছেন, মনে রাখতে হবে ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’। কাজেই চাকরি সংক্রান্ত প্রতিটি কাজে বসের পূর্ণ আনুগত্য করুন। জানতে না চাইলে বসের সিদ্ধান্ত বা নির্দেশের বিরোধিতা করবেন না। বস ঠিক নয় বা আমি বসের চেয়ে ভালো জানি- এমন ধারণা ত্যাগ করুন। চাকরিজীবী হিসেবে আপনার ভূমিকা হচ্ছে কেবল আজ্ঞা পালনকারী মাত্র। তাহলেই আপনি বসের আনুকূল্য লাভ করবেন। কারণ শুধু যোগ্যতা নয়, চাকরিতে পদোন্নতির জন্যে বস বা ঊর্ধ্বতনের সন্তুষ্টি ও অনুমোদনও আপনার প্রয়োজন। অতএব নীতিগত বিষয় ছাড়া অন্য সবক্ষেত্রে বসের সঙ্গে একমত থাকুন। আর বসকে তার যোগ্যতা ও গুণাবলির ভিত্তিতে বাস্তবসম্মত প্রশংসা করুন। কারণ যুক্তিসঙ্গত প্রশংসা আর তোষামোদ বা চাটুকারিতা এক নয়।