published : ২৯ আগস্ট ২০১৫
স্টুডেন্টলাইফে যখন লাইব্রেরিতে পড়তাম, একজনকে দেখতাম সেই কাকডাকা ভোরে এসে লাইব্রেরিতে ঢুকছে। আর বেরোচ্ছে একেবারে মধ্যরাতে। সে কীভাবে পড়া মুখস্থ করে তা দেখে একদিন খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বইয়ের একটা লাইন “বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ” বাক্যটাকেই সে বার বার পড়ছে এবং এভাবে প্রত্যেকটা বাক্যই কমপক্ষে ৩০ বার করে আওড়াচ্ছে মুখস্থ করার জন্যে। তখন বুঝলাম, কেন এত বেশি সময় ধরে সে রিডিংরুমে থাকে এবং যত সময় সে পড়ার জন্যে দেয়, সে তুলনায় তার রেজাল্টও খুবই সাধারণ, কোনোরকমে মাঝারি মানের বলা যায়।
আপনি কত সময় বই নিয়ে বসে থাকলেন সেটা নয়, কতটা মনোযোগ দিয়ে আপনি পড়াটা করলেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। দুই, আপনাকে জানতে হবে কার্যকরী পড়ার কৌশল। যেমন কোয়ান্টা রিডিং। তিন, শুধু ভালো পড়লেই হবে না, আপনাকে পরীক্ষাও ভালো দিতে হবে।
অনেকেই আছে প্রচুর পড়েও রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না, আবার কেউ কেউ অল্প পড়েই ভালো করছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে বুঝতে হবে তার পরীক্ষাগুলো হয়তো ততটা ভালো হচ্ছে না। এজন্যেই মডেল টেস্ট বা ক্লাস টেস্ট বা মক টেস্টগুলোকে সিরিয়াসলি নিতে হবে। ভুল থেকে শেখার অভ্যেস করতে হবে। পরীক্ষা শেষে পর্যালোচনা করতে হবে কী কী ভুল হয়েছে, ভুলের ধরনটা কী এবং কোনটা আরো ভালো করা যেত ইত্যাদি। পরের পরীক্ষায় সেগুলো শুধরে নিতে হবে। আসলে ভালো করার জন্যে আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাকে নিয়োজিত করতে হবে। তা নইলে গয়রহ বলা যে, ‘এত পড়ি, তারপরও তো ভালো করতে পারি নি’- বলার কোনো সুযোগই নেই।