published : ২৩ নভেম্বর ২০১৫
পাখি যেমন তার গন্তব্যে পৌঁছায় ডানায় ভর করে, আপনিও সাফল্যের শিখরে পৌঁছবেন মনছবির ডানা মেলে দিয়ে।
১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১০টা। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাতাসের চেয়ে ভারী শক্তিচালিত এক যান নিয়ে মানুষ সফলভাবে আকাশে উড়ল, হাজার বছর ধরে যা ছিল শুধু এক অসম্ভব কল্পনা। আর তা করলেন দুভাই- উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইট। মজার ব্যাপার হলো, তারা কেউ কিন্তু কোনো বিজ্ঞানী ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংক, পদার্থবিজ্ঞান বা এরোনটিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তাদের কোনো উচ্চতর ডিগ্রি ছিল না, এমনকি হাইস্কুলের গণ্ডিও তারা পেরোন নি। ডেটনের দুজন বাইসাইকেল মিস্ত্রি কি করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন? এককথায় তার উত্তর মনছবি।
ছোটবেলায় বাবার এনে দেয়া একটি উড়ন্ত খেলনা থেকেই দুভাইয়ের মাথায় প্রথম উড়ে যাওয়ার চিন্তা জাগে। তারপর বছরের পর বছর ধরে গবেষণা, চেষ্টা, ব্যর্থতার পর তারা লাভ করেন এ সাফল্য। এরপর আপনি যখন কোনো বিমানে চড়বেন বা মাথার ওপর দিয়ে বিমান উড়ে যেতে দেখবেন, আপনি অনুভব করার চেষ্টা করবেন কত সাধারণ একটি ভাবনা থেকেই না এ বাস্তবতার শুরু হয়েছিল। কারণ মন যা ভাবতে পারে, যা বিশ্বাস করতে পারে; মন পারে তা অর্জন করতেও। এখানেই মনছবির শক্তি।
আপনি কি ঠিক করেছেন আপনি কী হবেন? আগামী পরীক্ষায় আপনি কত নম্বর পেতে চান? এইচএসসি’র পর ভর্তি হবেন কোথায় তা কি ভেবেছেন? যদি এ প্রশ্নগুলোর উত্তর না হয়, তাহলে নিচের নমুনাটি অনুসরণ করে তৈরি করুন মনছবি সারণি।
ক. এসএসসি-তে গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়া (মার্কশীটে সুনির্দিষ্টভাবে দেখতে হবে)
খ. সঙ্ঘে সার্বিক একাত্নতা।
গ. লেখাপড়া, বাসা, ফাউন্ডেশনের মাঝে চমৎকার ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশল আয়ত্ত করা।
ক. এইচএসসি-তে গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়া (মার্কশীটে সুনির্দিষ্টভাবে দেখতে হবে)
খ. লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য স্কিল অর্জন। যেমন : কম্পিউটার কোর্স, ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কোর্স ইত্যাদি।
গ. যথাযোগ্য মানুষের সাথে কথা বলে এবং নিজের ভালো লাগাকে সুস্পষ্টভাবে অনুভব করে পরবর্তী পড়াশোনার ধারা ঠিক করা। প্রয়োজনে ২/৩/৪টি অপশন নিয়ে মা-জীর মতামত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া। তা BBA, MBBS, BSC, BCS ইত্যাদি সাবজেক্ট বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর সুনির্দিষ্ট মনছবি হতে পারে।
ঘ. অনার্সের বিষয় ঠিক হলে এখন থেকেই সেই ধারা অনুযায়ী জ্ঞান অর্জনের সর্বাত্মক চেষ্টা।
ঙ. সঙ্ঘে সার্বিক একাত্মতা।
চ. লেখাপড়া, বাসা, ফাউন্ডেশনের মাঝে চমৎকার ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশল আয়ত্ত করা।
ক. অনার্সের ফলাফলের সুনির্দিষ্ট মনছবি তৈরি করা
খ. যে বিষয়ে পড়ছি, সে বিষয়ে সবচেয়ে ভালো ছাত্র এবং কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে সফল প্রফেশনালকে সামনে রাখা। তাদের সাফল্যের সূত্রগুলো বোঝা।
গ. পাঠরত বিষয়ের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বের করে সে অনুযায়ী এগুনো।
ঘ. জ্ঞানের বিষয় বা দক্ষতাকে কীভাবে মানবকল্যাণে লাগানো যায় তা চিন্তা করা ও মেডিটেশন করা।
ঙ. এ পর্যায়ে ফাউন্ডেশনে অধিকতর দায়িত্বশীল অবস্থানে কাজ করছি- এমন মনছবি দেখা ও সেভাবে কাজ করা।
চ. লেখাপড়া, বাসা ও ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমন্বয় করা ।
ছ. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশনের সূত্রে গড়ে ওঠা প্রাসঙ্গিক যোগাযোগগুলো লালন করা । কর্মক্ষেত্রে এ যোগাযোগগুলো কাজে লাগবে।
ক. পেশা নির্বাচনে মানবকল্যাণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া ।
খ. ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত সাফল্যের সূত্র অনুসরণ করা ।
গ. নিজের কর্মক্ষেত্রে নিজেকে অপরিহার্য করে তোলা ।
ঘ. ফাউন্ডেশনে অর্থ, সময়, শ্রম, বিনিয়োগ করা ।
উদাহরণ : ৯ম শ্রেণি >১১শ শ্রেণি > ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসিতে ভর্তি >পেশা :Pharmacist
এসএসসি :
এসএসসি-তে এ-প্লাস পাওয়া
ঢাকার সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া
ফাউন্ডেশনে একটিভ প্রো-কোয়ান্টিয়ার হওয়া
এইচএসসি :
এইচএসসি-তে এ-প্লাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে ভর্তি হওয়া
ফাউন্ডেশনে একটিভ প্রো-কোয়ান্টিয়ার হওয়া
তারপর :
ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া
একাডেমিক জার্নাল বা পত্রিকায় লেখালেখি।
(স্বাস্থ্য বা জীবনযাপন বিষয়ে)
ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন কাজের দায়িত্বশীল হিসেবে কাজ করা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশনের সূত্রে গড়ে ওঠা প্রাসঙ্গিক যোগাযোগগুলো লালন করা
তারপর :
সেরা Pharmacist হওয়া
সর্বোচ্চ Professional skill অর্জন (Ph.d, MBA, & Others.
এমন ওষুধ তৈরি করা যা আমাদের দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এবং খুব প্রয়োজনীয়।
আমার জ্ঞান দিয়ে, How can I serve more?-এ চিন্তা করা।
দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে বিরামহীন পড়াশোনা, চেষ্টা, সুযোগের খোঁজে থাকা।
এ মডেলটির আলোকে আপনার জীবনের শিক্ষা ও পেশাগত মনছবি সুনির্দিষ্ট করুন।
** প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে ট্যালেন্টপুলে প্রথম বিভাগ প্রাপ্তির ও জেএসসি-র ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গ্রেডের মনছবি হবে।
** ইংলিশ মিডিয়ামের ক্ষেত্রে ও-লেভেল এবং এ-লেভেলে সর্বোচ্চ গ্রেডের মনছবি হবে।