বিজ্ঞানমনস্ক হোন, প্রাকৃতিক নিয়মেই আপনি ভালো থাকবেন

১৯৯৩ সালে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে মেডিটেশন চর্চা শুরু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে মেডিটেশনের বহুমুখী উপকারিতার বিষয়টি। এর এক দশক পর (৪ আগস্ট, ২০০৩) বিশ্বখ্যাত সাময়িকী টাইম একটি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচ্ছদ নিবন্ধ প্রকাশ করে-Science of Meditation.

তাতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটি মানুষ এখন নিয়মিতভাবে মেডিটেশন চর্চা করছে। ১০ বছর আগের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণ। মেডিটেশন ক্লাসগুলোতে আমেরিকার বিপুল সংখ্যায় মূলধারার জনগোষ্ঠীর উপস্থিতিই প্রমাণ করে- মেডিটেশন এখন তাদের জীবনের অঙ্গ। মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা দিন দিন এতই বাড়ছে যে, মেডিটেশনে অবিশ্বাসীরাই এখন সেখানে পরিণত হয়েছে সংখ্যালঘু-তে।

তখন আমরা বলেছিলাম, আগামী এক দশকে এ ধারণা দেশে-বিদেশে আরো বিকশিত ও বিস্তৃত হবে এবং সেদিন শিক্ষিত সচেতন মানুষ মাত্রই মেডিটেশন চর্চার গুরুত্ব অনুধাবন করবেন। সর্বস্তরের মানুষ যুক্ত হবেন মেডিটেশনের সাথে।

ঠিক তা-ই হলো। ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ মেডিটেশনের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন আরেকটি প্রচ্ছদ নিবন্ধ করে-Mindfulness Revolution, এতে বলা হয়েছে, ‘যখন যে কাজই করুন, নিজের প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ দিন। আর এর অন্যতম প্রধান উপায় মেডিটেশন, যা আপনাকে শারীরিক মানসিক পেশাগত পারিবারিক সামাজিক-সবদিক থেকেই ভালো রাখবে’।

দীর্ঘ দুদশকের সাফল্যযাত্রার পথ ধরে কোয়ান্টাম এখন অতিক্রম করছে তার তৃতীয় দশক। এ দশক কোয়ান্টামের সম্ভাবনা বিকাশের আর পায়ে পায়ে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার। সেবামূলক কার্যক্রমগুলোতে আমাদের প্রবৃদ্ধি, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সময়ের প্রয়োজন, সবমিলিয়ে বলা যায়, কোয়ান্টাম প্রবেশ করেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে।