published : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
চকলেট খাওয়া কি ক্ষতিকর না স্বাস্থ্যকর তা বোঝার আগে জানতে হবে চকলেট কী কী ধরনের হয়।
১. ডার্ক চকলেট (Dark Chocolate)
২. মিল্ক চকলেট (Milk Chocolate)
৩. হোয়াইট চকলেট (White Chocolate)
ডার্ক, হোয়াইট এবং মিল্ক- এই তিন ধরণের চকলেটই বেশি দেখা যায় (ছবিসূত্র- www.webstaurantstore.com)
ডার্ক চকলেটকে বলা হয় চকলেটের সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াজাত অবস্থা। যে কারণে এর কিছু কিছু উপকারের কথা বলা হয়। যেমন, বলা হয় এতে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা একটি উপকারি উপাদান।
কিন্তু বাচ্চারা যে চকলেট বেশি পছন্দ করে তা হলো নানা ধরনের মিল্ক চকলেট (ক্যাডবেরি ডেইরি মিল্ক, স্নিকার্স)।
প্রচুর পরিমাণে চিনি ও দুধ ব্যবহার করে এ চকলেটগুলো বানানো হয়। ফলে এসব চকলেট হয় খুব মিষ্টি এবং থাকে একটা স্টিকি বা আঠাল ভাব।
যে কারণে মিল্ক চকলেট বেশি খায় যে বাচ্চারা তাদের প্রায় সবার মুখেই ক্যাভিটি বা দাঁতের ক্ষয় বলে রোগটি দেখা যায়।
শিশুদের ক্যাভিটি বা দন্তক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ হলো চকলেট (ছবিসূত্র- www.glaciercreekdental.com)
একটু ভেবে দেখুন- আপনি যখন কোনো ডেন্টিস্টের কাছে যান, চিকিৎসার জন্যে যদি দাঁতে ড্রিল করতে হয় তাহলে রীতিমতো ধাতব ড্রিল মেশিন নিয়ে তাকে কাজ করতে হয়।
আর সেই কাজই চকলেটের মতো একটি আপাত সুস্বাদু-নরম খাবারের মাধ্যমে হচ্ছে। তাহলে কতটা শক্তিশালী এই উপাদানগুলো!
এছাড়া চকলেটে আছে কোকো। যার উপাদান ক্যাফেইন ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার সৃষ্টি করতে পারে। কারো কারো পাকস্থলীর স্তর কোকোর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে। পেট ব্যথা, বমি, গ্যাস্ট্রিকের জ্বালাপোড়ার মতো উপসর্গ তখন হয়েছে।
বেশি চকলেট হার্টের পালপিটিশন বাড়িয়ে দিতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে ঘাম, কাঁপুনি এবং দমবন্ধ অবস্থা।
আর নিয়মিত কোনো বিশেষ ব্র্যান্ডের চকলেট খেতে থাকলে যে তা আসক্তিরও কারণ হতে পারে, তার প্রমাণ হয়তো আপনি নিজেও দেখেছেন। প্রতিদিন ঐসময় বা সবসময় ওটা না খেলে হয়তো তার খুব অস্থির লাগে!
আপনার পরিবারের শিশু যদি চকলেটে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন আপনাকে সচেতন হতে হবে এখনই।
শিশু যখন চাইবে তখনই দেবেন না। আস্তে আস্তে কমাতে থাকুন। ক্ষতিগুলো সম্পর্কে বোঝান। সম্ভব হলে নেট থেকে ছবি নিয়ে বাচ্চাকে দেখান যে অতিরিক্ত চকলেট খেলে কী পরিণতি হয়। আশা করা যায় বাচ্চা বুঝবে।
আর বড়দের যদি এই আসক্তি থাকে তাহলে তা থেকে বেরিয়ে আসার মোটিভেশন আপনার নিজেকেই দিতে হবে!