রোজা রেখেও রক্ত দেয়া যায়

শারীরিকভাবে সমর্থ হলে রোজা রেখে রক্ত দিতে কোনো অসুবিধা নেই। ব্যাপারে সমকালীন ইসলামী চিন্তাবিদরা একমত পোষণ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন আল্লামা শেখ ইউসুফ আল কারযাভী, মুফতি ওসমান সাহিন প্রমুখ বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ। 

শেখ ইউসুফ আল কারযাভী বলেন, মুমূর্ষু রোগীর প্রয়োজনে রক্তদানের মাধ্যমেই একজন মানুষ তাকে সর্বোত্তম সহযোগিতা করতে পারে। মুফতি ওসমান সাহিন বলেন, শারীরিক অসুবিধা না থাকলে রক্তদানে ইসলামী শরীয়ায় কোনো বাধা নেই। 

প্রসঙ্গে মাদ্রাসায়ে দারুল উলূম, মিরপুর-এর প্রধান মুফতি মওলানা জিয়াউর রহমান এবং মুফতি মওলানা মুজাহিদ উদ্দিন হাদীস উদ্ধৃত করেন। হযরত আকরামা (রা) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, ‘নবী করিম () হজের জন্যে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শরীর থেকে শিংগার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন এবং রোজা অবস্থায়ও শরীর থেকে শিংগার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন।’ 

হযরত সাবিত আল বানানী থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, ‘হযরত আনাস বিন মালেক (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, রোজাদারের জন্যে শিংগা লাগিয়ে শরীর থেকে রক্ত বের করাকে আপনি কি অপছন্দ করেন? জবাবে তিনি বলেন, না আমি অপছন্দ করি না। তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা।’ (সহীহ আল বোখারী :২৬০

কাজেই রোজা রেখে রক্ত দিলে শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা তো নেইই, বরং জীবন রক্ষার যে সওয়াব সাধারণ সময়ে হতো, রমজানে তা বেড়ে যেতে পারে ৭০ গুণ।আর কোয়ান্টাম ল্যাবে রক্ত দিলে তা হবে গুণ। কারণ আপনারা জানেন, কোয়ান্টাম ল্যাবে ব্যাগ রক্তকে উপাদানে বিভক্ত করে ব্যাগ রক্ত করা হয় যা জন মানুষের প্রয়োজনে লাগে