কোয়ান্টাম আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম মেডিটেশন চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
১. আপনার মনের জট খুলে যাবে সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায়। পণ্যদাসত্ব থেকে, ভোগ্যপণ্য কেনার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। পরিবর্তে লাভ করবেন শুকরিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি।
২. ব্যর্থতার কারণ রি-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে সাফল্যের জননী প্রো-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারবেন।
৩. নিয়মিত মেডিটেশনের মাধ্যমে চিন্তাকে করতে পারবেন শাণিত, সিদ্ধান্তকে সঠিক এবং বক্তব্যকে করবেন স্বতঃস্ফূর্ত।
৪. আপনি পারবেন ইচ্ছেমতো ঘুমাতে, দীর্ঘ অনিদ্রা থেকে মুক্তি লাভ করতে, নির্ধারিত সময়ে ঘুম থেকে উঠতে ও অতিঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে।
৫. মুহূর্তে সজীব : অবসাদ ও বিষণ্নতা দূর, মুহূর্তে সজাগ : ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব দূর, মুহূর্তে শান্ত : হঠাৎ সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্তভাবে মোকাবেলা এবং মুহূর্তে মাথাব্যথা বিদূরণের টেকনিক শিখবেন।
৬. স্নায়ু ও পেশি পুরোপুরি শিথিল করতে শিথিলায়ন প্রক্রিয়া শিখবেন।
৭. রোগভয় লোকভয় মৃত্যুভয়সহ যাবতীয় অমূলক ভয়ভীতি ও ফোবিয়া থেকে মুক্তি লাভ করবেন।
৮. দুশ্চিন্তা হতাশা বিষণ্নতা ডিপ্রেশন দুঃখ অনুশোচনা ক্ষোভ ঘৃণা ও পাপবোধ থেকে মুক্ত হয়ে পাবেন মানসিক প্রশান্তি।
৯. নেতিবাচক চিন্তা, কথা, আবেগ, আচরণ থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক চিন্তা, কথা, আচরণ ও অভ্যাস তৈরি করতে পারবেন।
১০. কোয়ান্টা ধ্বনি ও কোয়ান্টা ভঙ্গি প্রয়োগ করে দ্রুত শেখা এবং মুহূর্তে রাগ ক্রোধ ক্ষুধা টেনশন নার্ভাসনেস বা ভয়ভীতি নিয়ন্ত্রণ ও যে-কোনো পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায় মোকাবেলা করতে পারবেন।
১১. মনে রাখার উপায়, ভুলে যাওয়া বিষয় স্মরণ করা ও নাম মনে রাখার পদ্ধতি চর্চা আপনার স্মৃতিশক্তিকে করে তুলবে আরো প্রখর।
১২. আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, বিশ্বাস ও আশা নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে আর সংশয় ও হতাশা জীবনকে ব্যর্থ করে।
১৩. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় ও আরো কার্যকরী করে তোলার মাধ্যমে রোগের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে পারবেন সফল প্রতিরোধ।
১৪. রুকু-সেজদা দিয়ে নামাজ পড়তে না পারলে আপনি মুক্তি পাবেন সে শারীরিক অক্ষমতা থেকে।
১৫. আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং হজম-সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা থেকে আপনি মুক্ত থাকবেন।
১৬. মেডিটেশনের ফলে স্ট্রেসপূর্ণ এসিডিক অবস্থা দূর হয়ে আপনার দেহে সৃষ্টি হবে এলকালাইন অবস্থা; যা সুস্থতা ও নিরাময়ের পূর্বশর্ত।
১৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ করার প্রাকৃতিক ও কার্যকর পদ্ধতিতে ধরে রাখতে পারবেন আপনার আকর্ষণীয় ফিগার।
১৮. ক্ষতিকর খাদ্যাভ্যাস বর্জন এবং কোয়ান্টাম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণের মাধ্যমে বাড়াতে পারবেন আপনার তারুণ্য, কর্মোদ্দীপনা ও সুস্থতা।
১৯. কোয়ান্টাম ইয়োগা চর্চা বাড়াবে আপনার দৈহিক ও মানসিক ফিটনেস।
২০. সুস্বাস্থ্য ও নিরাময়ের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে আপনি মুক্ত থাকতে পারবেন ৭৫ ভাগ মনোদৈহিক রোগ থেকে।
২১. রোগের মনোগত কারণকে শনাক্ত ও তা দূর করার মাধ্যমে মাথাব্যথা মাইগ্রেন ব্যাকপেইন সাইনুসাইটিস ও বাত ব্যথাসহ বিভিন্ন ক্রনিক মনোদৈহিক রোগ থেকে নিরাময় লাভ করবেন।
২২. সঠিক দমচর্চার মাধ্যমে আপনি সবসময় থাকবেন প্রাণবন্ত ও প্রাণোচ্ছল। ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও দেহকোষে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ানোর ফলে অবসাদ, ক্রনিক ঠান্ডা, এজমা, ব্রংকাইটিস থেকে লাভ করবেন আরোগ্য।
২৩. টেনশনের সাথে সম্পর্কযুক্ত রোগ যেমন-অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, করোনারি হৃদরোগ, স্ট্রোক, আমাশয়, পেটের পীড়া, আইবিএস, আলসার, চর্মরোগ ইত্যাদি থেকে নিরাময় লাভ করে উপভোগ করবেন স্বাভাবিক সুস্থ জীবন।
২৪. করোনারি হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাব নির্দেশিত জীবনপদ্ধতি অনুসরণ করে এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই হয়ে উঠবেন সুস্থ, প্রাণবন্ত ও কর্মক্ষম।
২৫. ‘ধ্যান দোয়া দান দাওয়া’র সমন্বিত প্রয়োগের মাধ্যমে বহু জটিল ও দুরারোগ্য রোগ থেকে লাভ করতে পারেন অবিশ্বাস্য নিরাময়।
২৬. ধূমপান এলকোহল ড্রাগস এবং যে-কোনো ধরনের নেশা ও নেশাজাতীয় দ্রব্য (পানসুপারি, জর্দা, পানমসলা, গুল ইত্যাদি) বর্জন করতে পারবেন।
২৭. প্রেম-বিয়ে-পরিবার সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে লাভ করবেন শান্তিময় পারিবারিক জীবনের দিক-নির্দেশনা।
২৮. স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানদের প্রতি পরিপূর্ণ মমতা, সম্মান ও মনোযোগ দিতে শিখবেন। পরিবারই হয়ে উঠবে আপনার অনুপ্রেরণার উৎস।
২৯. সন্তানকে সঠিক জীবনদৃষ্টি দিয়ে তাকে গড়ে তুলতে পারবেন আলোকিত মানুষ হিসেবে।
৩০. পারিবারিক মেডিটেশন ও সপরিবারে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে অংশ নেয়ার মাধ্যমে পরিবার হয়ে উঠবে সুখ-শান্তিতে সমৃদ্ধ এক স্বর্গীয় পরিমণ্ডল।
৩১. সঙ্ঘবদ্ধতার গুরুত্ব অনুভব করার ফলে সৃষ্টি হবে সঙ্ঘশক্তির চেতনা।
৩২. ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি ও দেয়াল সৃষ্টি না করে শিখবেন সুসম্পর্কের সেতু নির্মাণ করতে।
৩৩. সুসম্পর্কের গুরুত্ব ও কৌশল অনুধাবনের ফলে সামাজিক সংযোগায়নে সৃষ্টি হবে চমৎকার দক্ষতা। বাড়বে আপনার গ্রহণযোগ্যতা।
৩৪. আচরণে বিনয়, মানবিকতা, শিষ্টাচার ও সদগুণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটিয়ে পরিণত হবেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
৩৫. ক্ষমার গুরুত্ব অনুধাবনের ফলে পারিবারিক ও সামাজিক যে-কোনো সম্পর্কের তিক্ততা দূর করতে পারবেন সহজেই।
৩৬. পেশা ও পরিবারের মধ্যে ব্যস্ততার সুসমন্বয় করে উভয় ক্ষেত্রে অর্জন করবেন সমৃদ্ধি। আপনার সাংগঠনিক দক্ষতা বিকশিত হবে।
৩৭. প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা প্রবাস-যেখানেই থাকুন না কেন আপনার সমস্যা, বিপদ, অসুস্থতা নিরাময়ে যৌথ দোয়ায় মিলিত হবেন কোয়ান্টাম পরিবারের হাজার হাজার সদস্য। অনুভব করবেন ‘আপনি একা নন’।
৩৮. ব্যক্তিগত পারিবারিক শারীরিক মানসিক সামাজিকসহ যে-কোনো সমস্যায় পাবেন সমমর্মিতাপূর্ণ সৎ পরামর্শ ও কাউন্সেলিং।
৩৯. নেতিবাচকতা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেকে বদলানোর বিশাল শক্তিভাণ্ডারকে ব্যবহার করতে শিখবেন।
৪০. অস্থিরতা সংকোচ জড়তা ও হীনম্মন্যতা থেকে মুক্ত হয়ে আত্মবিশ্বাসী, চৌকস, প্রশান্ত ও প্রত্যয়ী হবেন।
৪১. সমস্যা বা সংকটের অংশ না হয়ে আপনি হবেন সমাধানের অংশ।
৪২. মনের অফুরন্ত শক্তি সম্পর্কে সচেতন হবেন। দৃঢ় হবে আপনার আস্থা ও বিশ্বাস। সফলদের মতো আপনিও ভাববেন ‘আমি পারি আমি করব’।
৪৩. মস্তিষ্কের অসাধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা লাভ এবং মস্তিষ্ককে বেশি পরিমাণে ব্যবহারের কৌশল শিখবেন।
৪৪. রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন-এ সত্যকে অনুভব করবেন। শিখবেন দৈনন্দিন জীবনে রাগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল।
৪৫. ব্যক্তিত্বের উন্নয়ন ও গুণাবলি অর্জনে অটোসাজেশন ও প্রত্যয়ন অনুশীলনের প্রক্রিয়া শিখবেন।
৪৬. সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য লাভ করবেন, যা আপনাকে করবে সহজ স্বতঃস্ফূর্ত নেতৃত্বের অধিকারী।
৪৭. মনছবির মাধ্যমে সাফল্য ও সৌভাগ্যকে নিজের দিকে আকর্ষণ করার প্রক্রিয়া শিখবেন।
৪৮. মনোযোগ শূন্যায়নের মাধ্যমে মুহূর্তে মন স্থির করে যা পড়বেন বা অনুশীলন করবেন, তা-ই সহজে আয়ত্ত করতে পারবেন।
৪৯. একজন শিক্ষার্থী হিসেবে জীবনের সঠিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ এবং সেই লক্ষ্যপানে সহজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অগ্রসর হতে পারবেন। ক্লাসে ১ম ও জীবনে ১ম হওয়ার সূত্র আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে।
৫০. অখণ্ড মনোযোগ সৃষ্টি ও বিশেষ প্রক্রিয়ায় লেখাপড়ার মাধ্যমে অল্প সময়ে পড়া তৈরি করতে পারবেন।
৫১. শিক্ষার্থী জীবনের ফাঁদগুলো সম্পর্কে আপনি সচেতন হবেন।
৫২. সময়-সচেতন হবেন। শিখবেন রুটিন অনুসরণের সহজ কৌশল।
৫৩. পরীক্ষাভীতি দূর ও আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষা দিয়ে যে-কোনো শিক্ষার্থীই পারবেন ১ম সারির রেজাল্ট করতে।
৫৪. পরীক্ষার হলে বা ভাইভা বোর্ডে কোয়ান্টা ভঙ্গির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে লাভ করবেন কাঙ্ক্ষিত ফল।
৫৫. উপলব্ধি করবেন মেধাই সব নয়, সফল শিক্ষার্থী হতে প্রয়োজন- সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সুপরিকল্পিত পড়াশোনা।
৫৬. পেশা ও কাজের প্রতি মনোযোগ পেশাকে পরিণত করবে আপনার জীবনের আনন্দে।
৫৭. আত্মশক্তির জাগরণে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে কর্মস্থলে আপনার গুরুত্ব এবং সাফল্যকে নিজের দিকে আকর্ষণের ক্ষমতা।
৫৮. প্রতিটি ক্ষেত্রে শূন্য থেকে শুরু করার সাহস ও উদ্যম লাভ করবেন।
৫৯. মেধাকে সেবায় রূপান্তরের দৃষ্টিভঙ্গি আপনার পেশাগত কাজে সৃষ্টি করবে নতুন উদ্যম।
৬০. সফল ক্যারিয়ারের পঞ্চসূত্র অনুধাবন ও অনুসরণের মাধ্যমে আপনি হবেন আপনার পেশায় অনন্য।
৬১. মস্তিষ্ককে বেশি বেশি কাজে লাগিয়ে পেশাগত ক্ষেত্রে নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা উদ্ভাবন করা সহজ হবে।
৬২. প্রাচুর্যের পঞ্চসূত্র অনুসরণ করে সহজ স্বতঃস্ফূর্ততায় লাভ করবেন প্রাচুর্য।
৬৩. ক্রেডিট কার্ড, ক্ষুদ্রঋণ, ঋণ করে ফ্ল্যাট বাড়ি ও নেহায়েত ফুটানির জন্যে ঋণের মতো বেনিয়াগোষ্ঠীর ফাঁদ সম্পর্কে সচেতন হবেন। উপলব্ধি করবেন ‘ঋণমুক্ত সচ্ছল জীবন আমার মৌলিক অধিকার’।
৬৪. যে-কোনো ব্যবসায়িক আলোচনা বা লেনদেনে কোয়ান্টা ভঙ্গি করে প্রশান্ত মনে অপরপক্ষের সাথে লেনদেন চূড়ান্ত করতে পারবেন খুব সহজেই।
৬৫. মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে পারবেন, ফলে দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা বাড়বে আপনার, হয়ে উঠবেন সবার ভরসাস্থল।
৬৬. সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে যে-কোনো প্রতারণার চক্র থেকে রক্ষা পাবেন, বাঁচবেন অসম্মান ও আর্থিক ক্ষতি থেকে।
৬৭. কেরানি মানসিকতা নয়, ব্যবস্থাপকীয় দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে পারবেন। গ্রহণ করতে পারবেন দূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত।
৬৮. জীবনে আসবে নিয়ম ও সময়ানুবর্তিতা যা আপনাকে অল্প সময়ে বেশি কাজের সাফল্য উপহার দেবে।
৬৯. অভিনয়, ক্রীড়া ও জনপেশায় সৃজনশীলতা ও জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং আপনার কর্মক্ষেত্রে লাভ করবেন অর্থবিত্ত, খ্যাতি-প্রতিপত্তি।
৭০. কোয়ান্টাম হিলিং ও মাটির ব্যাংক-কে কাজে লাগাতে পারবেন আপনার পেশাগত সাফল্যের অনুঘটক হিসেবে।
৭১. ‘অন্তরতম আমি’র সাথে সংযোগ স্থাপন করে আপনি অনুভব করবেন আত্মার স্বরূপ।
৭২. নিজের অন্তর্গত অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা ও নিঃসঙ্গতার কারণগুলোকে উদ্ঘাটন করে সহজেই তা দূর করতে পারবেন।
৭৩. প্রজ্ঞা লাভ করে আপনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
৭৪. অন্তরের পথপ্রদর্শক অন্তর্গুরুর কাছ থেকে পাবেন কল্যাণের পথনির্দেশ।
৭৫. দৃশ্যমান সবকিছুর পেছনে ক্রিয়াশীল প্রকৃতির নেপথ্য স্পন্দন ও নিয়মকে নিজের ও অন্যের নিরাময় এবং সার্বিক কল্যাণে সক্রিয় করে তোলার প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত হবেন। সচেতন হবেন প্রকৃতির প্রতিদান অর্থাৎ ‘ল’ অব নেচারাল রিটার্ন’ সম্পর্কে।
৭৬. শিখবেন অন্যের রোগ নির্ণয়, নিরাময় ও সার্বিক কল্যাণ সাধনের প্রক্রিয়া।
৭৭. কমান্ড সেন্টারে সাইকিক বর্ম লাভ করে সকল অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
৭৮. নামাজ, প্রার্থনা ও ইবাদতে সৃষ্টি হবে একাগ্রতা ও গভীর মনোযোগ।
৭৯. ধ্যানের স্তরে অর্থসহ কোরআন শোনার অভূতপূর্ব অনুভূতি লাভ করবেন। স্রষ্টার বাণী অনুধাবন করবেন গভীর আত্মনিমগ্নতায়।
৮০. ধর্মবর্ণগোত্র নির্বিশেষে মানুষ ও সৃষ্টি জগতের প্রতি হৃদয়ে অনুভব করবেন বিশ্বজনীন মমতা।
৮১. স্রষ্টায় সমর্পণের মাধ্যমে আপনার মধ্যে সৃষ্টি হবে প্রশান্ত প্রত্যয়। জীবন থেকে দূর হবে সকল অযাচিত ভয় ও অস্থিরতা।
৮২. কোয়ান্টামম-এর নিবিড় প্রকৃতির মাঝে ধ্যান ও হিরণ্ময় মৌনতার আনন্দে অবগাহন করার সুযোগ পাবেন।
৮৩. বিষাদমুক্ত সদানন্দ আলোকিত জীবনের চাবিকাঠি লাভ করবেন।
৮৪. জানতে পারবেন জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য আর উপলব্ধি করবেন মানুষ হিসেবে আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্বকে।
৮৫. পরিণত হবেন নৈতিক ও মানবীয় গুণাবলিসম্পন্ন এক অনন্য মানুষে।
৮৬. আপনি লাভ করবেন সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন।
৮৭. স্ব-উদ্যোগ, স্ব-অর্থায়ন ও স্ব-পরিকল্পনার নানাবিধ উদ্যোগের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে সৃষ্টির সেবায় নিবেদিত হতে পারবেন।
৮৮. হাজারো মানুষের সাথে শ্রমানন্দে সৃষ্টির সেবা করার সুযোগে লাভ করবেন আত্মিক পরিতৃপ্তি।
৮৯. সৎসঙ্ঘে একাত্মতা আপনার মেধাকে বিকশিত করবে শতধারায়।
৯০. আত্মিক অভিভাবক হিসেবে প্রতি মাসে/ বাৎসরিক খরচ প্রদান করে আপনিও হতে পারবেন অসহায় শিশুদের আশ্রয়।
৯১. সাদাকায়ন, আলোকায়নসহ নিয়মিত বিভিন্ন আত্ম উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সৎসঙ্ঘে আপনার জীবন হয়ে উঠবে প্রশান্তিময়।
৯২. একার পক্ষে অসম্ভব এমন অসংখ্য সুদূরপ্রসারী সেবামূলক কাজের সাথে একাত্ম হওয়ার অবারিত সুযোগ পাবেন কোয়ান্টামের অঙ্গনে।
৯৩. স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বাঁচাতে পারবেন মুমূর্ষের প্রাণ।
৯৪. কোয়ান্টাম যাকাত ফান্ডের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ পাবেন আপনি।
৯৫. কোয়ান্টাম মাটির ব্যাংকে প্রতিদিন সাধ্যমতো দানের মাধ্যমে হাজারো বঞ্চিতের জীবনকে আলোকিত করতে পারবেন সঙ্ঘবদ্ধভাবে।
৯৬. বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরের মনছবি করে আপনি এক মানবিক মহাসমাজ নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
৯৭. ফেসবুক, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম, সেলফি, ইউটিউব, ওয়েব সিরিজ, টিভি সিরিয়াল, ভার্চুয়াল গেম, অনলাইন শপিং, স্মার্ট টিভি, ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন-এর আসক্তি সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবেন। লাভ করবেন আসক্তিমুক্ত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন।
৯৮. কার্যকর দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রযুক্তির আসক্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নিজে মুক্ত হবেন এবং এর মরণ-আগ্রাসন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারবেন পরিবার-আত্মীয়-বন্ধুদের।
৯৯. ভার্চুয়াল জগতে কৃত্রিম সামাজিকতা ও ঠুনকো বায়বীয় সম্পর্কের পরিবর্তে মনোযোগী হয়ে উঠবেন বাস্তব জীবন ও সম্পর্কগুলোর প্রতি।
১০০. বাঁচবেন সাইবার অপরাধ ও প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে। শনাক্ত করতে পারবেন শোষকদের নিত্যনতুন কৌশল।
১০১. জানতে পারবেন কীভাবে প্রযুক্তির অপরিমিত ব্যবহারে হ্রাস পাচ্ছে আপনার ও আপনার পরিবারের-বিশেষত শিশু-কিশোরদের চিন্তাশক্তি, দক্ষতা ও মনোযোগ। সেইসাথে লাভ করবেন প্রযুক্তি ব্যবহারের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মাত্রাজ্ঞান।
লাখো মানুষের মতো আপনিও বলবেন
‘শোকর আলহামদুলিল্লাহ! বেশ ভালো আছি! প্রভুকে ধন্যবাদ! বেশ ভালো আছি!’